পদ্মা সেতুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত-দুদককে যথাযথ অবস্থানেই দেখতে চাই
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞ প্যানেল তিন দিনে চার দফা বৈঠক করেও কোনো সমাধানে পৌঁছতে পারেনি। জানা যায়, বৈঠকে দুই পক্ষে বেশ উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ও হয়েছে এবং পুরো বিষয়টি আবার সেই আবুল হোসেনে গিয়েই অমীমাংসিত থেকে যাচ্ছে।
দুদক বলেছে, আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দালিলিক প্রমাণ না থাকায় তাঁকে মামলার আসামি করা যাচ্ছে না। শুধু বিশ্বব্যাংকের কথায় প্রচলিত আইন ও নিয়মের ব্যত্যয় করা যাবে না। অন্যদিকে বিশ্বব্যাংক প্যানেল বলেছে, তথ্য ও আলামতের ভিত্তিতে তাঁকে আসামি করা যায় এবং তাঁকে আসামি করতে হবে। তারা প্রয়োজনে আইন সংশোধন করারও পরামর্শ দিয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে এখন এ কথাই বলা যায়, সম্প্রতি পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন নিয়ে নতুন করে যে আশার সঞ্চার হয়েছিল, বর্তমান জটিলতার কারণে তা আবারও স্তিমিত হয়ে পড়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের যুক্তিকে আমরা অগ্রাহ্য করছি না। স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করবে, এটাই ছিল জাতির প্রত্যাশা। সে ক্ষেত্রে দেশি হোক, আর বিদেশি হোক, কারো চাপের কাছেই দুর্নীতি দমন কমিশন নত হবে না- এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু এক মুখে দুই কথা কিংবা সকালে এক কথা আর বিকেলে আরেক কথা বললে সেটা মেনে নিতে আমাদের একটু কষ্টই হয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরগুলো যদি সত্য হয়, তাহলে আমরা দেখি একই তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দুদক প্রথমে সাবেক মন্ত্রী আবুল হোসেন ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে মামলা করতে চেয়েছিল। পরে বিশ্বব্যাংক প্যানেলের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের পর সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে আসামি করতে রাজি হলেও সাবেক মন্ত্রীকে আসামি করতে রাজি হয়নি দুদক। দালিলিক প্রমাণের অভাবেই যদি দুদক প্রথমে এই দুজনকে আসামি না করার কথা ভেবে থাকে, তাহলে পরে আবার সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে আসামি করতে সম্মত হয় কিভাবে? স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বব্যাংক প্যানেল বলেছে, একজনকে আসামি করা গেলে আরেকজনকেও আসামি করা সম্ভব। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বর্তমান জটিলতার শুরু থেকেই সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের ব্যাপারে সরকারকে কেমন যেন একটু রাখঢাক নীতি অনুসরণ করতে দেখা গেছে। দুদকের সিদ্ধান্তেও কি সেই রাখঢাক নীতির প্রতিফলন ঘটেছে? জনমনে এমন প্রশ্ন দেখা দেওয়া অসম্ভব নয়। আর এটাও আমাদের বোধগম্য নয়, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগটি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রীকে নিয়ে। বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের তীরও তাঁর দিকে। সে ক্ষেত্রে তাঁকে আসামি করতে দুদকের এত দ্বিধা কেন? দালিলিক প্রমাণ যদি কিছু কম থাকে তো থাকুক। আসামি করা মানে তো আর অপরাধী প্রমাণিত হওয়া নয়। কে অপরাধ করেছেন আর কে করেননি, আদালতই তা নির্ধারণ করবেন। দুদকের কাজ হবে নিরপেক্ষতার সঙ্গে অভিযোগের পক্ষে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহে আরো বেশি সক্রিয় হওয়া এবং বিচারকাজে সহায়তা করা।
পদ্মা সেতুর অর্থায়ন ও দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে অনেক রশি টানাটানি হয়েছে। জাতি আশা করেছিল, এবার এর নিষ্পত্তি হবে। দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু এবার বাস্তব রূপ পেতে শুরু করবে। কিন্তু মনে হচ্ছে সে গুড়ে বালি। কোনো ব্যক্তিবিশেষের জন্য এ রকম একটা পরিণতি হবে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিশ্বব্যাংক যেহেতু এ প্রকল্পের প্রধান অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান, তাই তার বক্তব্য ও যুক্তির প্রতি ন্যূনতম সম্মান প্রদর্শন করাটাই সম্ভবত সংগত ও কাম্য। আমরা আশা করব, সময় থাকতেই দুর্নীতি দমন কমিশন সঠিক সিদ্ধান্তটি নেবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের যুক্তিকে আমরা অগ্রাহ্য করছি না। স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করবে, এটাই ছিল জাতির প্রত্যাশা। সে ক্ষেত্রে দেশি হোক, আর বিদেশি হোক, কারো চাপের কাছেই দুর্নীতি দমন কমিশন নত হবে না- এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু এক মুখে দুই কথা কিংবা সকালে এক কথা আর বিকেলে আরেক কথা বললে সেটা মেনে নিতে আমাদের একটু কষ্টই হয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরগুলো যদি সত্য হয়, তাহলে আমরা দেখি একই তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দুদক প্রথমে সাবেক মন্ত্রী আবুল হোসেন ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে মামলা করতে চেয়েছিল। পরে বিশ্বব্যাংক প্যানেলের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের পর সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে আসামি করতে রাজি হলেও সাবেক মন্ত্রীকে আসামি করতে রাজি হয়নি দুদক। দালিলিক প্রমাণের অভাবেই যদি দুদক প্রথমে এই দুজনকে আসামি না করার কথা ভেবে থাকে, তাহলে পরে আবার সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে আসামি করতে সম্মত হয় কিভাবে? স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বব্যাংক প্যানেল বলেছে, একজনকে আসামি করা গেলে আরেকজনকেও আসামি করা সম্ভব। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বর্তমান জটিলতার শুরু থেকেই সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের ব্যাপারে সরকারকে কেমন যেন একটু রাখঢাক নীতি অনুসরণ করতে দেখা গেছে। দুদকের সিদ্ধান্তেও কি সেই রাখঢাক নীতির প্রতিফলন ঘটেছে? জনমনে এমন প্রশ্ন দেখা দেওয়া অসম্ভব নয়। আর এটাও আমাদের বোধগম্য নয়, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগটি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রীকে নিয়ে। বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের তীরও তাঁর দিকে। সে ক্ষেত্রে তাঁকে আসামি করতে দুদকের এত দ্বিধা কেন? দালিলিক প্রমাণ যদি কিছু কম থাকে তো থাকুক। আসামি করা মানে তো আর অপরাধী প্রমাণিত হওয়া নয়। কে অপরাধ করেছেন আর কে করেননি, আদালতই তা নির্ধারণ করবেন। দুদকের কাজ হবে নিরপেক্ষতার সঙ্গে অভিযোগের পক্ষে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহে আরো বেশি সক্রিয় হওয়া এবং বিচারকাজে সহায়তা করা।
পদ্মা সেতুর অর্থায়ন ও দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে অনেক রশি টানাটানি হয়েছে। জাতি আশা করেছিল, এবার এর নিষ্পত্তি হবে। দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু এবার বাস্তব রূপ পেতে শুরু করবে। কিন্তু মনে হচ্ছে সে গুড়ে বালি। কোনো ব্যক্তিবিশেষের জন্য এ রকম একটা পরিণতি হবে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিশ্বব্যাংক যেহেতু এ প্রকল্পের প্রধান অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান, তাই তার বক্তব্য ও যুক্তির প্রতি ন্যূনতম সম্মান প্রদর্শন করাটাই সম্ভবত সংগত ও কাম্য। আমরা আশা করব, সময় থাকতেই দুর্নীতি দমন কমিশন সঠিক সিদ্ধান্তটি নেবে।
No comments