সংসদ বর্জনের সংস্কৃতির ইতি হোক by আব্দুল মান্নান

৪ জানুয়ারি নবম জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশন শুরু হয়েছে এবং ঘোষণা দিয়েই সংসদে বিরোধী দল বিএনপি সংসদ অধিবেশনে উপস্থিত থাকা হতে বিরত থেকেছে। তাদের দুর্বল মিত্র জামায়াত আর বিজেপি কোন ঘোষণা ছাড়াই তাদের মুরুব্বী সংগঠন বিএনপির সঙ্গে সঙ্গে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন হতেই সংসদ অধিবেশন বর্জন করে আসছে।
বিএনপির হুকুমের বাইরে এক পা-ও রাখে সে মুরোদ তাদের নেই। জামায়াতের আসন সংসদে দুটি আর বিজেপির একটি।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে বেগম জিয়া ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ঢাকার একটি পাঁচ তারা হোটেলে বেশ জাঁকজমকের সঙ্গে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলন করে দলীয় নেতা-কমর্ীদের সামনে তার দলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন। প্রত্যাশিতভাবে নির্বাচনী ইশতাহারে অনেক ভাল কথা ছিল যদিও সেই ইশতেহারে ৩৬টি দফার মধ্যে ক'টির প্রতি সত্যি সত্যি বেগম জিয়া অথবা তাঁর দলীয় নেতা-নেত্রীদের আস্থা ছিল তা নিয়ে স্বাভাবিক কারণেই জনমনে নানা সন্দেহ দানা বেঁধেছিল। ঐতিহাসিক ভাবে বিএনপির কথা আর কাজের মধ্যে পার্থক্য সর্বদা প্রকট ভাবে দৃশ্যমান।
নির্বাচনী ইশতেহারে ভাল ভাল অঙ্গীকার না করে বিএনপির অন্য কোন উপায়ও ছিল না। উপদেষ্টা সরকারের আমলে তাদের ২০০১-২০০৬ সালের মেয়াদকালের সকল অপশাসনের ইতিহাস একেবারে দিবালোকের মতো সকলের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। দলের সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ইমেজ পুনরুদ্ধারের জন্য ভাল ভাল অঙ্গীকারের কোন বিকল্প ছিল না। এই ভাল অঙ্গীকারগুলোর মধ্যে দু'তিনটি উল্লেখযোগ্য। প্রথমটি ছিল সংসদ বর্জন বিষয়ক। বলা হয়েছিল নির্বাচিত হয়ে মতায় গেলে আইন করা হবে, যাতে কোন দল কোন নির্দিষ্ট ইসু্যতে সংসদ হতে ওয়াক আউট করতে পারলেও সংসদ বর্জন করতে পারবে না। কোন সাংসদ এক নাগাড়ে ত্রিশ দিনের বেশি সংসদ বর্জন করলে তার সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাবে। ইশতেহারে বলা হয়েছিল দুনর্ীতি উচ্ছেদ করা হবে এবং একটি সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। নিঃসন্দেহে এই সব অঙ্গীকার খুব আদর্শবাদী অঙ্গীকার। বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশ গণতন্ত্র আর জনগণের কল্যাণ বয়ে আনতে সম। কিন্তু বাস্তবটা হচ্ছে বিএনপি তো আর রা করার জন্য প্রতিশ্রুতি দেয় না। অন্তত অতীত অভিজ্ঞতা তাই বলে।
নবম সংসদের প্রথম অধিবেশন ভালয় ভালয় শুরু হয়েছিল। ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রথম অধিবেশনে বেগম জিয়া তাঁর দলীয় ও মিত্র সাংসদদের নিয়ে সংসদে উপস্থিত থেকে সকলের প্রশংসাও কুড়িয়েছিলেন। সকলে মনে করেছিল যাক বাবা শেষমেষ আর কিছু না হোক বেগম জিয়ার আচরণে গণতন্ত্রের কিছু আবছা ছায়া মনে হয় দেখা যাচ্ছে। দলের জন্য একটি মারাত্মক বিধ্বংসী সংসদ নির্বাচনের পর আর কিছু না হোক বিএনপি সম্ভবত এবার একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করার চেষ্টা করবে। প্রথম দিন শেষেই গোল বাধে প্রথম সারিতে বিরোধী দলের আসনবিন্যাস নিয়ে। বিদায়ী স্পীকার জমির উদ্দিন সরকার সামনের সারিতে যে ক'টি আসন বিরোধী দলের জন্য বরাদ্দ করেন তা তার উত্তরসূরি এ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ পুনর্বিন্যাস করেন, যার ফলে সামনের সারিতে বিএনপির আসন কমে যায়। স্পীকার যুক্তি হিসাবে বলেন, অস্টম সংসদে বিরোধী দলের আসন সংখ্যা বর্তমান বিরোধী দলের চাইতে দ্বিগুণ থাকলেও তাদের দেয়া বসার আসন নতুন বিন্যাসকৃত আসনের চাইতে কম ছিল। এই সব যুক্তি বিএনপি শুনতে নারাজ। শুরু হয় সংসদ হতে ওয়াক আউট, বর্জন। দাবি বিদায়ী স্পীকার জমির উদ্দিনের বিন্যাসকৃত আসন ফেরত না দিলে তারা সংসদে আসছেন না। যাওয়ার সময় নিয়ে গেলেন তিন মিত্র সাংসদকে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে তারা আবার ফিরে এলেন ৭ এপ্রিল, অধিবেশনের শেষ দিনে। বিরোধী দলীয় নেত্রী কোন বাধা ছাড়াই সংসদ নেত্রীর চাইতে অনেক দীর্ঘ সময় বক্তব্য রাখলেন, সবাইকে গণতন্ত্রের সবক দিলেন। সেটিই তাঁকে এবং তাঁর অনুসারীদের শেষ বারের মতো সংসদে দেখা গিয়েছিল। যাওয়ার সময় বলে গিয়েছিলেন সামনের সারিতে তাদের আসনগুলো যদি ফিরিয়ে দেয়া না হয় তাহলে তারা সম্ভবত আর সংসদে ফিরে আসছেন না। এরপর আরও দুটি সংসদ অধিবেশন গেল। নতুন সরকার একটি বিশ্বমন্দার পিঠে সওয়ার হয়ে জাতীয় বাজেট ঘোষণা করল। পিলখানা ট্রাজেডি নিয়ে আলোচনা হলো। আইন শৃক্মখলা পরিস্থিতি, রমজান মাসে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, ঢাকার যানজট, টিপাইমুখ বাঁধ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ইসু্য নিয়ে সংসদে আলোচনা হলো। এমন কি সরকার দলীয় সাংসদদের মাঝে অনেক বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে বাহাস হলো কিন্তু বেগম জিয়া বা তাঁর দলের অথবা মিত্র সাংসদদের সংসদে পাওয়া গেল না। এর মধ্যে বেগম জিয়ার শূন্য আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। সেখান হতে জমির উদ্দিন সরকার এবং অতিথি প্রাথর্ী ব্যারিষ্টার মওদুদ সাংসদ নির্বাচিত হলেন। তাঁরা শপথও গ্রহণ করলেন কিন্তু সংসদে আর যাওয়া হলো না। আবার এরই মধ্যে সংরতি আসনে মহিলা সাংসদরাও নির্বাচিত হলেন। তাঁদের অবস্থাও একই। কারণ বেগম জিয়ার লাগাতার সংসদ বর্জন। এযাবত মোট পঞ্চাশের বেশি কার্য দিবস তারা সংসদে অনুপস্থিত ছিলেন। বলাবাহুল্য তারা ৮৯ দিনে সংসদে সদস্য পদ বাঁচানোর জন্য সংসদে ফিরবেন, যদি তারা ইতোমধ্যে কোন ষড়যন্ত্রমূলক দুরভিসন্ধি নিয়ে দেশ ও গণতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত না হয়ে না থাকেন। সন্দেহ এ কারণেই যে বিরোধী দলীয় চীপ হুইপ ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছেন অবস্থা এরকম চলতে থাকলে বর্তমান সরকার তাদের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে না।
বিএনপির সংসদ অধিবেশন বর্জন শুরু হয়েছিল সংসদে প্রথম সারিতে আসনবিন্যাসকে কেন্দ্র করে। যতই সময় এগিয়েছে এই একটি দফার সঙ্গে ক্রমান্বয়ে নতুন নতুন দফা যোগ হয়েছে। এই এক দফার সঙ্গে প্রথমে যোগ হলো বেগম জিয়ার সেনা নিবাসের বাড়ির লিজ বাতিলের ঘোষণা প্রত্যাহারের বিষয়টি। সেনা নিবাসের বাড়িই যদি না বাঁচল তাহলে সংসদে গিয়ে কী লাভ? বিষয় আদালতে গড়ালো। এই বিষয়ে এখন কোন কথা বলা পাপ। রাতের টিভি চ্যানেলের টকশোতে বিএনপি-আওয়ামী লীগের সাংসদ অথবা তাদের সমর্থকরা মুখোমুখি বসেন এবং বাহাসে (কখনও কখনও ঝগড়া বিবাদে) লিপ্ত হন। বিএনপি প জোরালো ভাবে বলে, দলিল করে দেয়া বাড়ি সরকার কীভাবে বাতিল করে? প্রতিপরে জবাব_ শেখ হাসিনাকে দেয়া গণভবন কীভাবে বাতিল করেছিলেন? আরে ওটাতো রাষ্ট্রের সম্পত্তি। এবার পাল্টা প্রশ্ন_ সেনা নিবাসের বাড়ি কার বাপ-দাদার সম্পত্তি ছিল? তারপর বেগম-বিএনপি পন্থী একেবারে লা-জবাব। এমনটিই চলছে বাড়ি নিয়ে হৈ চৈ বেশ অনেক দিন ধরে।
হাসির গল্প লেখক শিবরাম চক্রবতর্ীর 'মই নিয়ে হৈ চৈ' গল্পের মতো 'বাড়ি নিয়ে হৈ চৈ' গল্পের অথবা বাহাসের শেষ না হতেই শুরু হলো নতুন নতুন দাবি উত্থাপন।
এলো দুনর্ীতির দায়ে দায়ের করা মামলার বিষয়টি। দুনর্ীতির দায়ে দায়ের করা সকল মামলা নাকি প্রত্যাহার করতে হবে! কিছু দিন পর হয়ত দাবিতে সংযোজন হবে বহুল আলোচিত হাওয়া ভবনকে সৎ মানুষদের তীর্থত্রে ঘোষণা করতে হবে। সংসদীয় কমিটিগুলোতে আরও দুটি সভাপতির পদ দিতে হবে। একজন ডেপুটি স্পীকারের পদ চাই-ই চাই। দ্রব্যমূল্য আর আইন-শৃক্মখলা নিয়ে সংসদে কথা বলতে দিতে হবে (বাধা দিল কে বা কখন?)। খোন্দকার দেলোয়ার, চীফ হুইপ জয়নাল আবেদিন ফারুক আর নজরুল ইসলাম খানরা সব কিছুকে এক সাথে করে বলেন, উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে নতুবা আর সংসদমুখী হওয়া যাচ্ছে না। চতুর্থ অধিবেশন শুরু হওয়ার প্রাক্কালে চীফ হুইপ গুনে গুনে বল্লেন, মোট দশ দফা (এ পর্যন্ত) পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সংসদ বর্জন চলতেই থাকবে। অবাক করার বিষয়, এই দশ দফার সঙ্গে আবার বেগম জিয়ার বাড়ির লিজ বাতিলের বিষয়টি অন্তভর্ুক্ত করা হয়নি। এরপর হয়ত আরও দু' চার দফা নতুন করে যোগ হবে। যেমন ধরুন ঢাকা শহরের যানজট। হিমালয় হতে শৈত্যপ্রবাহ ভারতবর্ষ পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ কেন করল? তাতে তো বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হুমকীর সম্মুখিন হয়েছে। অথবা দেশের উচ্চ আদালতে কেন পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করা হলো? ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাই বা কেন শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে চান? যোগ হতে পারে আরও অনেক দাবি। একটি টিভি টকশোতে বিএনপি দলীয় চীফ হুইপ জয়নাল আবেদিন ফারুকের কাছে এক প্রশ্নকর্তা জানতে চেয়েছেন_ সংসদে না গিয়েও কেন সাংসদ হিসাবে সকল সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন? বিজ্ঞ চীফ হুইপের তাৎণিক উত্তর_ কই না তো। সংসদে উপস্থিত থাকলে পাঁচশ' টাকা ভাতা পাওয়া যায়। তাতো আমরা নিচ্ছি না। তাই কী? শুধু পাচশ' টাকা ভাতা! মাসিক বেতনের কী হয়? লাল পাসপোর্ট? দেশের অভ্যন্তরে যাতায়াতের জন্য বিমান, ট্রেন, লঞ্চের বিশেষ সুবিধার (প্রিভিলেজড) টিকেট, বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার, জেলা শহরে গেলে দশ-কুড়ি টাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সরকারী সার্কিট হাউজে অবস্থান, সংসদীয় দলের সদস্য হিসাবে বিদেশ ভ্রমণ, সরকারী এ্যাপার্টমেন্টে বসবাস, টেলিফোনের ব্যবহার ইত্যাদি সুবিধা কি সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত? সব সময় দেশের সকল মানুষকে বোকা না ভাবা বুদ্ধিমানের কাজ।
দেশের মানুষ সাংসদদের নির্বাচিত করে, যাতে তারা সংসদে উপস্থিত থেকে তাদের স্বার্থের কথা বলেন, দেশের মঙ্গলের কথা বলেন। একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সরকার আর বিরোধী দল থাকবে। তর্ক-বিতর্ক হবে। হৈ চৈ চলবে। বাহাস হবে। উত্তাপ ছড়াবে। বছর চারেক আগে কোরিয়ান সংসদে সরকারী দলের এক সাংসদ বিরোধী দলের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছিলেন। তাতে নিজ দলীয় সদস্যরা প্তি হয়ে তাকে সংসদের ভিতরেই জুতাপেটা করেছিল। কেউ সংসদ বর্জন করেনি। এমন সব ঘটনা ইতালি, ফ্রান্স, জাপানে আগে হরহামেশা ঘটত। এখন কমলেও বন্ধ হয়নি। লাগাতার সংসদ বর্জন এটি একান্তভাবে বাংলাদেশের নিজেদের উদ্ভাবিত সংস্কৃতি। ভারতের লোকসভার মতো এত হৈ চৈ, হট্টগোলের পার্লামেন্ট বর্তমান বিশ্বে সম্ভবত দ্বিতীয়টা নেই। যা কিছু সংসদেই ফয়সালা হয়। কয়েক বছর আগে পাকিস্তানের সংসদের চেয়ার ছোড়াছুড়ি রাজপথে এসেছিল। সকলে কান্ত হয়ে আবার সংসদে ফিরে গিয়েছিল।
সমালোচকরা বলেন, বিএনপির আসলে গণতন্ত্রের প্রতি আস্থার ঘাটতি আছে বলেই সংসদে ফিরতে তাদের এত অনীহা। তার ওপর আছে দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল। বেগম জিয়াতো এখনও ঠিক করতে পারলেন না তাঁর পাশের সীটে কে বসবেন! সাকাচৌ নাকি ব্যারিস্টার মওদুদ। সমালোচকরা আরও বলেন, বেগম জিয়া নিজেকে মতার বাইরে চিন্তা করতে অভ্যস্ত নন। তিনি এ দেশের প্রধানমন্ত্রী নন, তা তাঁর প েচিন্তা করা খুবই দুরূহ।
সমালোচকদের এই সব কথা ভুল প্রমাণ করার দায়িত্ব বেগম জিয়া এবং তাঁর দলের। তাঁরা যে সব কথা দলীয় সভায়, সাংবাদিক সম্মেলনে অথবা রাতের টিভি টকশোতে বলেন সেইসব কথাইতো তাঁরা সংসদে গিয়ে বলতে পারেন! সংসদেই যদি না গেলেন তাহলে দ্রব্যমূল্য আর আইনশৃক্মখলার কথা কীভাবে বলবেন? কীভাবে বুঝবেন যে স্পীকার আপনাদের কথা বলতে দিচ্ছেন না?
গণতন্ত্রের স্বার্থে সংসদ বর্জনের সংস্কৃতি এ দেশ থেকে চিরদিনের জন্য অবসান হওয়া উচিত। সংসদে হৈ হট্টগোল হবে। চলবে তর্ক-বিতর্ক আর কুতর্ক। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়া বিচিত্র নয়। মাঝে-মধ্যে কেউ কেউ জামার আস্তিনও গুটাবে, যদিও তা একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়। তারপরও সব কিছুর ফয়সালা সংসদেই হবে। সরকারী দল সংযমের পরিচয় দেবে। এটিই হওয়া উচিত গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার স্ট্র্যাটেজি বা কৌশল। না হলে গণতন্ত্র বিপন্ন হতে বাধ্য। তাতে দেশ ও জনগণেরই অমঙ্গল। আশা করি বিএনপি তার মিত্রদের নিয়ে আর সময়পেণ না করে অন্য কারও স্বার্থে না হোক নিজেদের স্বার্থেই সংসদে ফিরে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফিরেছেন। বিএনপি ছাড়া কোন দল বা গোষ্ঠী বলেনি এই সফর এক শ' ভাগ ব্যর্থ। বেগম জিয়া শেখ হাসিনার সফরের পূর্বে বলেছিলেন, ব্যর্থ হয়ে ফিরলে বিমানবন্দরে তিনি এবং তাঁর দল প্রধানমন্ত্রীকে কাঁটা দিয়ে বরণ করে নেবেন। তবে বুধবার শেখ হাসিনা ফেরার সময় কাঁটা হাতে তাদের বিমান বন্দরে দেখা যায়নি। এখনতো সংসদে গিয়ে শেখ হাসিনার 'ব্যর্থ' সফরের কথা তুলে ধরতে পারেন! এত কঠিন কঠিন কথা বলতে পারেন, সহজ কাজটা করতে কেন পারেন না? নাকি তা করার নৈতিক সাহসটুকু হারিয়ে ফেলেছেন?
লেখক : শিাবিদ

No comments

Powered by Blogger.