শতভাগ সফল শতভাগ ব্যর্থ by ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ
আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আমার এক বন্ধু কিছুটা ােভের সাথেই বললেন আপনি বর্তমান রাজনীতির কেবল সমালোচনা করছেন। রাজনীতিকরা ভাল কি কিছু করছেন না? ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজিকে তিনি কিছুটা নরমভাবে দেখতে চান।
তাঁর মতে, এটুকু এই তরম্নণদের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। দীর্ঘদিন এরা ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের হাতে মার খেয়েছে। তাদের চোখের সামনে চাঁদাবাজির টাকায় ছাত্রদল নেতারা ফুলে ফেঁপে উঠেছে। এতকাল পর আজ দল মতায় আসায় এদের মধ্যে অপূর্ণ বাসনা তো জাগতেই পারে। একে অতটা কঠিনভাবে না দেখলে কতটুকু তি হবে? আর দল চালাতে গেলে এটুকু ছাড় তো দিতেই হয়। আমি বললাম, বিলণ। আপনার যুক্তি অনুযায়ী এইসব 'বঞ্চিত' তরম্নণদের প্রতি সহানুভূতি জাগতেই পারে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে আপনার আর আমাদের মধ্যে একটি দৃষ্টিভঙ্গিগত ফারাক আছে। আমাদের অর্থাৎ যারা কোন দলের কমর্ী সমর্থক হিসেবে সংশিস্নষ্ট নই তারা যেভাবে দেখতে পাই আপনি তেমন করে দেখতে পান না। এই সঙ্কটটি হয়েছে আমাদের প্রচলিত রাজনৈতিক শিার কারণে। রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকলে দলের প্রতি একটি অন্ধ মোহ কাজ করে। একই রকম কাজে বিরোধী প নিন্দিত হলেও নিজ দলের প্রতি সহানুভূতির অভাব থাকে না। অপরাধ লঘু করতে নতুন নতুন যুক্তি তৈরি হতে থাকে। আর আমাদের মতো অতি সাধারণ যারা, যাদের কোন দলীয় সংশিস্নষ্টতা নেই তাদের মনসত্মাত্তি্বক বা দৃশ্যমান কোন দায়বদ্ধতা থাকে না। তাদের শত্রম্ন-মিত্র আলাদা নেই। তাই সকলের অসঙ্গতিটা চোখে বড় লাগে। রাজনীতিকরা ভাল অনেক কিছু করেন নিশ্চয়ই, কিন্তু মন্দের আবর্তে তা প্রায়ই নিমজ্জিত হয়ে যায়। আমাদের কলমের শব্দাঘাত লাঞ্ছিত করার জন্য নয়_চৈতন্যে আঘাত দিয়ে চেতনায় ফিরিয়ে আনার জন্য। বঙ্গবন্ধু চলে যাওয়ার পর যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা পূরণের আকাঙ্ৰা কি সচেতন বিবেকের থাকবে না! এ কারণে কার না ইচ্ছে হয় আমাদের দেশেও একজন মাহাথির মোহাম্মদের জন্ম হোক। বার বারই মনে হয় কী অপার সম্ভাবনার দেশ এটি। দেশকে পাল্টে দেয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছে বিপুল জনশক্তি। আছে গ্যাস আর কয়লার মতো প্রাকৃতিক সম্পদ। আছে সমুদ্র সীমা আর বন্দর সুবিধা। উর্বর কৃষি জমির উদারতা তো রয়েছেই। এসব সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে এদেশ তাইওয়ান মালয়েশিয়ার মতো এগিয়ে যাওয়া কঠিন কিছু ছিল না। কিন্তু একটি অভাব সকল সম্ভাবনার দ্বার রম্নদ্ধ করে দিচ্ছে। তা হচ্ছে বুদ্ধিদীপ্ত, প্রত্যয়ী ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব। যে রাজনীতিতে প্রায়োগিক েেত্র দলের চেয়ে দেশ বড়। গণতন্ত্রকে পদদলিত করে ব্যক্তি পূজা বড় হয়ে যায় না। চিহ্নিত দুনর্ীতিবাজ অসৎ মানুষগুলো আরও বেপরোয়া হয়ে যায় না দলের আশ্রয়ে। আর অমন প্রশ্রয় দেখে মনোকষ্ট হলেও কোন নেতা কমর্ী প্রতিবাদ করেন না। অমন দেশের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ কোথায়?আসলে নেতৃত্বের সঙ্কট আমাদের ভবিষ্যতের আলোকিত পথের দিশা দেখাতে পারছে না। বঙ্গবন্ধুর কাছাকাছি একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ক্যারিশমাটিক নেতা-নেত্রী আমরা পেলাম কোথায়! যিনি দলীয় হয়েও জাতীয় নেতা হতে পেরেছেন। দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের ভালবাসার জায়গায় যার বসবাস। যার আহ্বানে মানুষ ব্যক্তি আর দলীয় স্বার্থ ভুলে দেশ উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়বে। তাই কষ্টের সাথেই বার বার মনে হয় একমাত্র যোগ্য দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের অভাব আমাদের প্রতিদিন পেছনের দিকে টানছে।
এমন একটি ক্যান্সার আক্রানত্ম রাজনৈতিক পরিবেশের জালে আমরা বন্দী হয়েছি যে একুশ শতকের প্রগতির সাথে আমরা নিজেদের যুক্ত করে আধুনিক হতে পারছি না। আমাদের সরকারী আর বিরোধী দলের কার্যক্রম এবং দুই পরে নেতা-নেত্রীদের আচরণ ও বক্তব্যের সুর আর শব্দ চয়ন শুনলে মনে হয় না একটি পরিশীলিত মেধাবী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার আমরা। যে কোন একজন মনোযোগী এবং সূৰ্নদশর্ী মানুষ নেতা-নেত্রী ও অনুগামীদের কথাবার্তা আর আচরণ দেখলে সহজেই বুঝতে পারেন 'দেশ' ও 'জনগণ' শব্দ দুটো হচ্ছে এদের ঢাল তলোয়ার। মো একটাই। আর তা হচ্ছে রাষ্ট্রমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া। অমন পঙ্কিল আবর্তে দু একটি পদ্ম যে ফোটে না তা নয়। এরা কিছুটা শোভা বাড়াতে পারলেও তাতে পঙ্ক নিকষিত হওয়ার সাধ্য থাকে না। এসব কারণে আমাদের সরকারী আর বিরোধী দলের আচরণ কেমন হবে তা অগ্রিম ঠিকঠাক বলে দিতে প্রয়োজন হয় না কোন জ্যোতিষীর।
এ ধরনের নিম্নমানের রাজনীতির সর্বশেষ নিকৃষ্টতম আচরণ শুরম্ন হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে কেন্দ্র করে। স্বাভাবিকভাবে এই নাটকের প্রধান কুশীলব প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। ভারত আমাদের প্রতিবেশী বিশাল দেশ। ভূ-রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক েেত্র ভারতের সঙ্গে এদেশের একটি ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব বিচ্ছিন্ন থাকা রাজনৈতিক অর্থনৈতিক স্বার্থেই বাংলাদেশের কখনও কাম্য হওয়া উচিত হবে না। পূর্ব ভারতীয় আঞ্চলিক দৃষ্টিতে বাংলাদেশ ভাটি অঞ্চলে অবস্থিত একটি কৃষি ভিত্তিক দেশ। এদেশের সিংহভাগ নদীর উৎস ভারতে। বাসত্মব কারণেই নিজের স্বাধীন সত্তা সমুন্নত রেখে শাণিত কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে পানির হিস্যা আদায় করতে হবে বাংলাদেশকেই। আনত্মর্জাতিক আদালত আর বিচার আচার এ েেত্র খুব কাজে আসে না। স্নায়ুযুদ্ধের পর থেকে বর্তমানের অর্থনৈতিক যুদ্ধের যে রাজনৈতিক বাসত্মবতা দাঁড়িয়েছে তাতে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা সবল প্রতিপ প্রতিবেশীকে মনসত্মাত্তি্বক চাপে ফেলে নিজ আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টা করবেই। এমন অবস্থায় প্রতিবেশী রাজ্য অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও সবল হলে কারও ধার না ধারার মনোভাব প্রকাশ করতে পারে। তাই প্রতিবেশী ছোট রাষ্ট্রের কূটনৈতিক তৎপরতায় নিজ স্বার্থ অুণ্ন্ন রেখে বন্ধুত্ব বজায় রাখার বিকল্প নেই। এই বাসত্মব রাজনৈতিক ধারণা স্বার্থবাদী অভ্যনত্মরীণ রাজনীতির কারণে আমরা বিস্মৃত হলে বা হওয়ার ভান করলেও মধ্যযুগের বাংলার সুলতানরা ঠিক মনে রেখেছিলেন। ১৩৩৮ সালে সোনারগাঁওয়ে ফখরউদ্দিন মুবারক শাহ স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিলস্নীর সুলতানী শাসন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিলেন। ১৩৫২ সালে সুলতান ইলিয়াস শাহ পুরো বাংলাকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাজ্যে পরিণত করেন। এসময় বাংলা রাজ্যটির প্রবল প্রতিপ দিলস্নীর সুলতানরা। দিলস্নীর সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে বাংলার। তবুও বাংলা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল। কারণ তখন এদেশ অর্থনৈতিকভাবে ভারতের যে কোন অঞ্চলের চেয়ে সমৃদ্ধ ছিল। কৃষি ও শিল্প সমৃদ্ধি এদেশকে ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছিল। আমদানি নির্ভরতা ছিল না বললেই চলে। বাংলার দ্রব্য সামগ্রীর বিশাল রফতানির বাজার তৈরি হয় পশ্চিম ভারত, দণি-পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের নানা দেশে। তাই দিলস্নীর সুলতানদের কোন ধরনের পরোয়া না করে বাংলা নিজের অবস্থান সবল রাখতে পেরেছিল। আবার ১৫২৬ সালে বাবর দিলস্নীর সুলতানদের পরাজিত করে ভারতে মোগল প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। এসময়ের বাংলার বিখ্যাত সুলতান নাসিরউদ্দিন নুসরত শাহ কূটনৈতিক মেধা দিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন নবাগত মোগল শক্তিকে সঠিকভাবে না চিনে ঘাটানো ঠিক হবে না। তাই তিনি দিলস্নীর সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। পাঠিয়েছিলেন রাষ্ট্রদূত আর উপঢৌকন। এসব কারণে বাবর তাঁর জীবদ্দশায় বাংলায় অভিযান প্রেরণ করেননি।
কিন্তু আমাদের অপরিণামদশর্ী রাজনীতি চায় তাৎণিক দলীয় স্বার্থসিদ্ধি। কতণে বিপ দলকে মতা চ্যুত করে নিজেরা মসনদে আসীন হতে পারে সেটাই হচ্ছে মো। এতে দেশের কতটা তি হবে তা বিবেচনায় আনার কোন প্রয়োজন নেই। নষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতি এমন একপর্যায়ে পৌঁছেছে যে আজ যদি বিএনপি মতায় থাকত আর বেগম খালেদা জিয়া যদি অভিন্ন উদ্দেশে ভারত সফরে যেতেন এবং একই ধরনের সমঝোতা চুক্তি করে ফিরতেন তাহলে অতীত অভিজ্ঞতা থেকে মুক্ত মনের মানুষ বলবে বিরোধী দলে থেকে আওয়ামী লীগ হয়তো বিএনপির মতো একই ক্যাসেট বাজাতো।
গত সপ্তাহের কলামে প্রসঙ্গক্রমে বিএনপি মহাসচিবের বয়ান লিখেছিলাম এভাবে_ "একজন দিকভ্রানত্ম হতাশ নাবিকের মতো_নাকি জ্যোতিষীর মতো তিনি আবার অগ্রিম মনত্মব্য করতে ছাড়লেন না যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়ে ব্যর্থ হবেন। কোন কিছুই আদায় করতে পারবেন না।" বিএনপি সভানেত্রী তো আরও আগেই অমেধাবী নিম্নমানের শব্দ প্রয়োগ করে কাঁটা বিছানোর তত্ত্ব প্রচার করেছিলেন। আমাদের ধারণাটি খুব সহজেই সত্য হয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভারতে থাকতেই বিএনপি চুক্তি বর্জন করতে লাগল। দেশে ফেরার পর তা আরও স্পষ্ট হলো। দেশের মানুষকে মোটেও বিস্মিত না করে বাজাতে লাগল চুক্তিবিরোধী কলের রেকর্ড। অসংস্কৃত রাজনৈতিক পরিবেশে হাবুডুবু খাওয়া মানুষ তাই চরম শব্দ শুনতে লাগলো। আওয়ামী লীগ বলতে লাগল ভারত সফর শতভাগ সফল হয়েছে আর বিএনপি বলতে লাগল শতভাগ ব্যর্থ হয়েছে। মাঝামাঝি কিছু নেই। খুব কৌতুকপ্রদ ছিল এসময়ের টিভি চ্যানেলের রিপোর্টিং। আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রীর প্রতিক্রিয়ায় অত্যনত্ম সফল ও যুগানত্মকারী সফর, বিশেষজ্ঞ এবং সুশীল সমাজের সুপরিচিত বিশেস্নষকরা চুলচেরা বিচার করে সফরকে অনেক েেত্র ইতিবাচক বলেছেন। আবার কোন কোন েেত্র অপূর্ণতার কথাও বলেছেন। অন্যদিকে বিএনপি তাদের মজ্জাগত রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে বেরম্নতে পারল না। যেহেতু একই ওজনে বিরোধিতা করতে হবে তাই আওয়ামী লীগের শতভাগ সফল হওয়ার বিপরীতে শতভাগ ব্যর্থ হয়েছে বলা ছাড়া কোন বিকল্প ছিল না। সংস্কৃতিবান রাজনৈতিক সচেতন দেশবাসী এসব মন্ধাতার রাজনীতি দেখে, গাড়ল শব্দ চয়ন শুনে কি ভাবল তা বিবেচনায় রাখার কোন প্রয়োজন মনে করল না। শতভাগে না গিয়ে বাসত্মবে যা অর্জিত হয়েছে, যেটুকু সীমাবদ্ধতা রয়েছে এবং অমীমাংসিত বিষয়গুলো ভবিষ্যতে কিভাবে নিষ্পন্ন হবে তার স্বচ্ছ চিত্র উপস্থাপন করলে কি সরকার ছোট হয়ে যেত? (অবশ্য আজ শনিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সফর সম্পর্কে বিসত্মারিত বক্তব্য দেবেন বলে টিভি সংবাদে জানা গেল)। যুক্তিবাদী মানুষ আশা করে না মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এক সফরে সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তারপরও যেটুকু অর্জন হয়েছে তাকে খাটো করে দেখছে না মুক্ত মনের মানুষ। অবশ্য কিছু অপূর্ণতাও রয়েছে। সীমানত্মে প্রায়ই বিএসএফ-এর গুলিতে বাংলাদেশী খুন হচ্ছে, এ বিষয়ে কথা তোলা হবে বলে মানুষের আশা ছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প নীরব থেকেছে। মানুষের প্রত্যাশা অনেক বড় ছিল বলে টিপাই মুখ এবং তিসত্মার পানি বণ্টন নিয়ে আরও কার্যকর সিদ্ধানত্ম আশা করেছিল। তারপরও সার্বিক বিবেচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে নিষ্ফলা বলার কোন কারণ নেই। যে সমসত্ম চুক্তি ও সমঝোতা হয়েছে তা দেশের জন্য কল্যাণকর। এেেত্র ভারত সফরকে বিএনপি মহাসচিবের সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলা এবং দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেয়ার মতো উক্তি করা এক ধরনের নিম্নমানের রাজনৈতিক বিকার ছাড়া কিছু নয়। বর্তমান সময়ের জাগ্রত মানুষ এসব প্রলাপকে ভালভাবে নেবে বলে মনে হয় না। প্রধানমন্ত্রী ফিরে আসার পর প্রতিক্রিয়া প্রকাশের জন্য বিএনপির বৈঠক বসেছিল। আমার এক রসিক বন্ধু বললেন ছিদ্রান্বেষণ কমিটি মিটিংয়ে বসেছে। আসলে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব মানুষের কাছে এত খেলো হয়ে যাওয়া জাতির জন্য কল্যাণকর নয়।
প্রকৃত প েতেমন গুরম্নতর কারণ ছাড়াই বিএনপির প্রতিক্রিয়া আর আন্দোলনের প্রস্তুতির কথা শুনে মনে হচ্ছিল দলটি নিজ অসত্মিত্ব রার জন্য এখন তাওয়া গরম রাখতে চায়। কিন্তু প্রকৃত ইসু্য ছাড়া শুধু গলাবাজি করে আর ভারত বিরোধিতার ধুয়ো তুলে আন্দোলন শাণানো এত সহজ নয়। ভারতের সাথে দীর্ঘদিনে জমে থাকা নানা সমস্যার জট এক বৈঠকে ফয়সালা সম্ভব নয়। মানুষ যদি উল্টো বিএনপি নেতৃত্বকে প্রশ্ন করে শেখ হাসিনা তবু তো এগিয়েছেন, আপনারা যে দীর্ঘকাল মতায় ছিলেন তখন কটি সমস্যার ফয়সালায় ভূমিকা রেখেছিলেন? কি জবাব থাকবে আপনাদের? শূন্যতার মধ্যে দাঁড়িয়ে বিএনপির আন্দোলন জমানো কঠিন হবে। তার আগে উত্তপ্ত করা প্রয়োজন জাতীয় সংসদ। সুখের কথা বোধকরি বিএনপি নেতৃত্বের বোধোদয় হয়েছে। আভাসে মনে হচ্ছে বিএনপি সংসদে যাওয়ার মতো 'পরিবেশ' একটু একটু খুঁজে পাচ্ছে। এ খবর জাতি এবং বিএনপি উভয়ের জন্যই কল্যাণকর।
No comments