বিশ্ব সংগীত- অ্যাভেঞ্জড সেভেনফোল্ড
বিলবোর্ড শীর্ষ তালিকায় ২০তম স্থানটি দখল করে আছে ‘অ্যাভেঞ্জড সেভেনফোল্ড’-এর ‘ক্যারি অন’ গানটি। গানটি তারা ২০১২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করেছে তাদের পরবর্তী অ্যালবামের কাজ শুরু করার পর।
‘আনন্দ’-এর পাঠকদের সঙ্গে আজ আমরা অ্যাভেঞ্জড সেভেনফোল্ড নামের ব্যান্ডটির পরিচয় করিয়ে দিতে যাচ্ছি।
অ্যাভেঞ্জড সেভেনফোল্ড ব্যান্ডটি ১৯৯৯ সালে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় তাদের যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা ছিলেন এম শ্যাডোজ, জ্যাকি ভেজেন্স, দ্য রেভ ও ম্যাট ভেন্ড। ব্যান্ডের নামটি প্রস্তাবিত ছিল এম শ্যাডোজের থেকে। বাইবেলের একটি কাহিনির সঙ্গে তাঁদের ব্যান্ডের নামটি সম্পর্কযুক্ত হলেও তাঁরা ধর্ম প্রচারণার উদ্দেশ্যে গান করেন না।
অ্যাভেঞ্জড সেভেনফোল্ড বৈচিত্র্যময় ও নিরীক্ষামূলক রক ধারার গান এবং তাদের নাটকীয় অ্যালবাম প্রচ্ছদ ও টি-শার্টের জন্য বেশ পরিচিত। তারা তাদের কার্যক্রমের শুরুতে মেটালকোর ধারার গান করলেও পরবর্তী সময়ে হার্ড রক ও হেভি মেটাল ধারার দিকেই ধাবিত হতে থাকে। এখন পর্যন্ত তারা তাদের নিজস্ব একটা শব্দের সন্ধানেই আছে।
২০০৯ সালে ব্যান্ডের ড্রামার জেমস দ্য রেভ সুলিভিয়ানের মৃত্যু তাঁদের সবাইকে মর্মাহত করে তোলে। তাঁর স্মৃতি সঙ্গে রেখেই তাঁরা তাঁদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২০১০ সালে তাঁরা মাইক পোর্টনয়ের সহায়তায় তাঁদের পঞ্চম অ্যালবাম নাইটমেয়ার -এর কাজ শেষ করেন। মাইক পোর্টনয় একজন বিশ্ব বিখ্যাত ড্রামার, যিনি ‘ড্রিম থিয়েটার’ নামক প্রোগ্রেসিভ মেটাল ব্যান্ডে বাজানোর মধ্য দিয়ে নিজের দক্ষতা ও সৃষ্টিশীলতা প্রমাণ করেছেন। মাইক পোর্টনয় অ্যাভেঞ্জড সেভেনফোল্ড-এর নাইটমেয়ার অ্যালবামটি বের হওয়ার পর তাদের সঙ্গে বিভিন্ন কনসার্ট ট্যুরে অতিথিশিল্পী হিসেবে বাজান। নাইটমেয়ার বের হওয়ার পর বিলবোর্ড শীর্ষ ২০০ অ্যালবামের মধ্যে প্রথম স্থানটি দখল করে। এর ফলে ব্যান্ডটি তাদের চূড়ান্ত সাফল্য দেখতে পায়। যদিও তাদের মনে গভীর বেদনার ছাপ ফেলে দিয়েছিল দ্য রেভ-এর মৃত্যু। নাইটমেয়ার অ্যালবামে দ্য রেভের স্মৃতির উদ্দেশে গান রয়েছে। গানের ভিডিও দেখলে মন খারাপ হয়ে যাবে। একই সঙ্গে বন্ধু হারানোর শোকগাথা হিসেবে রয়ে যাবে গানগুলো। ব্যান্ডটি এখন পর্যন্ত পাঁচটি স্টুডিও অ্যালবাম, একটি লাইভ ভিডিও, ১৮টি সিঙ্গেল ছেড়েছে। তাদের অ্যালবাম বিক্রির সংখ্যা আট মিলিয়ন কপি ছাড়িয়েছে। অ্যাভেঞ্জড সেভেনফোল্ড ব্যান্ড ২০১১ সালে গোল্ডেন গড অ্যাওয়ার্ডসের বিভিন্ন শাখায় পুরস্কার জয় করে নাইটমেয়ার অ্যালবামের জন্য।
মাইক পোর্টনয় জয় করেন সেরা ড্রামার হিসেবে গোল্ডেন গড অ্যাওয়ার্ড। মিনিস্টার গেইটস ও জ্যাকি ভেনজেন্স জয় করেন গিটারিস্ট হিসেবে গোল্ডেন গড অ্যাওয়ার্ড। এম শ্যাডোজ জয় করেন সেরা ভোকালিস্ট হিসেবে গোল্ডেন গড অ্যাওয়ার্ড এবং নাইটমেয়ার জয়লাভ করে অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার ২০১১ হিসেবে গোল্ডেন গড অ্যাওয়ার্ড। এ কারণে এই অ্যালবামটি তাদের ব্যান্ডের জন্য একটি মাইলফলক।
উল্লেখযোগ্য অ্যালবাম
সাউন্ডিং দ্য সেভেন্থ ট্রামপেট (২০০১)
ওয়েকিং দ্য ফলেন (২০০৩)
নাইটমেয়ার (২০১০)
সদস্যরা
এম শ্যাডোজ—লিড ভোকালস (১৯৯৯-বর্তমান)
জ্যাকি ভেনজেন্স—রিদম গিটার, ব্যাকিং ভোকালস (১৯৯৯-বর্তমান)
মিনিস্টার গেইটস—লিড গিটার, র্যাকিং ভোকালস (২০০১-বর্তমান)
জনি ক্রাইস্ট—বেজ, ব্যাংকি ভোকালস (২০০৩-বর্তমান)
খণ্ডকালীন ও অতিথি শিল্পী:
আরিন ইলেজে—ড্রামাস (২০১১-বর্তমান)
মনোয়ারুল হক
অ্যাভেঞ্জড সেভেনফোল্ড ব্যান্ডটি ১৯৯৯ সালে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় তাদের যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা ছিলেন এম শ্যাডোজ, জ্যাকি ভেজেন্স, দ্য রেভ ও ম্যাট ভেন্ড। ব্যান্ডের নামটি প্রস্তাবিত ছিল এম শ্যাডোজের থেকে। বাইবেলের একটি কাহিনির সঙ্গে তাঁদের ব্যান্ডের নামটি সম্পর্কযুক্ত হলেও তাঁরা ধর্ম প্রচারণার উদ্দেশ্যে গান করেন না।
অ্যাভেঞ্জড সেভেনফোল্ড বৈচিত্র্যময় ও নিরীক্ষামূলক রক ধারার গান এবং তাদের নাটকীয় অ্যালবাম প্রচ্ছদ ও টি-শার্টের জন্য বেশ পরিচিত। তারা তাদের কার্যক্রমের শুরুতে মেটালকোর ধারার গান করলেও পরবর্তী সময়ে হার্ড রক ও হেভি মেটাল ধারার দিকেই ধাবিত হতে থাকে। এখন পর্যন্ত তারা তাদের নিজস্ব একটা শব্দের সন্ধানেই আছে।
২০০৯ সালে ব্যান্ডের ড্রামার জেমস দ্য রেভ সুলিভিয়ানের মৃত্যু তাঁদের সবাইকে মর্মাহত করে তোলে। তাঁর স্মৃতি সঙ্গে রেখেই তাঁরা তাঁদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২০১০ সালে তাঁরা মাইক পোর্টনয়ের সহায়তায় তাঁদের পঞ্চম অ্যালবাম নাইটমেয়ার -এর কাজ শেষ করেন। মাইক পোর্টনয় একজন বিশ্ব বিখ্যাত ড্রামার, যিনি ‘ড্রিম থিয়েটার’ নামক প্রোগ্রেসিভ মেটাল ব্যান্ডে বাজানোর মধ্য দিয়ে নিজের দক্ষতা ও সৃষ্টিশীলতা প্রমাণ করেছেন। মাইক পোর্টনয় অ্যাভেঞ্জড সেভেনফোল্ড-এর নাইটমেয়ার অ্যালবামটি বের হওয়ার পর তাদের সঙ্গে বিভিন্ন কনসার্ট ট্যুরে অতিথিশিল্পী হিসেবে বাজান। নাইটমেয়ার বের হওয়ার পর বিলবোর্ড শীর্ষ ২০০ অ্যালবামের মধ্যে প্রথম স্থানটি দখল করে। এর ফলে ব্যান্ডটি তাদের চূড়ান্ত সাফল্য দেখতে পায়। যদিও তাদের মনে গভীর বেদনার ছাপ ফেলে দিয়েছিল দ্য রেভ-এর মৃত্যু। নাইটমেয়ার অ্যালবামে দ্য রেভের স্মৃতির উদ্দেশে গান রয়েছে। গানের ভিডিও দেখলে মন খারাপ হয়ে যাবে। একই সঙ্গে বন্ধু হারানোর শোকগাথা হিসেবে রয়ে যাবে গানগুলো। ব্যান্ডটি এখন পর্যন্ত পাঁচটি স্টুডিও অ্যালবাম, একটি লাইভ ভিডিও, ১৮টি সিঙ্গেল ছেড়েছে। তাদের অ্যালবাম বিক্রির সংখ্যা আট মিলিয়ন কপি ছাড়িয়েছে। অ্যাভেঞ্জড সেভেনফোল্ড ব্যান্ড ২০১১ সালে গোল্ডেন গড অ্যাওয়ার্ডসের বিভিন্ন শাখায় পুরস্কার জয় করে নাইটমেয়ার অ্যালবামের জন্য।
মাইক পোর্টনয় জয় করেন সেরা ড্রামার হিসেবে গোল্ডেন গড অ্যাওয়ার্ড। মিনিস্টার গেইটস ও জ্যাকি ভেনজেন্স জয় করেন গিটারিস্ট হিসেবে গোল্ডেন গড অ্যাওয়ার্ড। এম শ্যাডোজ জয় করেন সেরা ভোকালিস্ট হিসেবে গোল্ডেন গড অ্যাওয়ার্ড এবং নাইটমেয়ার জয়লাভ করে অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার ২০১১ হিসেবে গোল্ডেন গড অ্যাওয়ার্ড। এ কারণে এই অ্যালবামটি তাদের ব্যান্ডের জন্য একটি মাইলফলক।
উল্লেখযোগ্য অ্যালবাম
সাউন্ডিং দ্য সেভেন্থ ট্রামপেট (২০০১)
ওয়েকিং দ্য ফলেন (২০০৩)
নাইটমেয়ার (২০১০)
সদস্যরা
এম শ্যাডোজ—লিড ভোকালস (১৯৯৯-বর্তমান)
জ্যাকি ভেনজেন্স—রিদম গিটার, ব্যাকিং ভোকালস (১৯৯৯-বর্তমান)
মিনিস্টার গেইটস—লিড গিটার, র্যাকিং ভোকালস (২০০১-বর্তমান)
জনি ক্রাইস্ট—বেজ, ব্যাংকি ভোকালস (২০০৩-বর্তমান)
খণ্ডকালীন ও অতিথি শিল্পী:
আরিন ইলেজে—ড্রামাস (২০১১-বর্তমান)
মনোয়ারুল হক
No comments