আলাপচারিতায় সিগবে ব্রেক্কে- ‘ডিজিটাল ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে গ্রামীণফোন’
গ্রামীণফোনের চেয়ারম্যান সিগবে ব্রেক্কে বলেছেন, ডিজিটাল ভবিষ্যতের জন্য গ্রামীণফোন প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভয়েস সার্ভিসের পর এখন তথ্যসেবা (ডেটা সার্ভিস) দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। থ্রিজি প্রযুক্তি আসছে, তথ্যসেবাদানের ক্ষেত্রে বিশাল অগ্রগতি হবে।
রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ব্রেক্কে এসব কথা বলেন। এ সময় গ্রামীণফোনের নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ভিভেক সুদ উপস্থিত ছিলেন। গ্রামীণফোনের চেয়ারম্যান বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছেন।গ্রামীণফোনের চেয়ারম্যান আরও জানান, গ্রামীণফোন ডিজিটাল সার্ভিস ইউনিট নামের আরেকটি শাখা স্থাপন করতে যাচ্ছে। তিনি জানান, জিপিআইটি নামের প্রতিষ্ঠানটি অভ্যন্তরীণ সেবা (ইন সোর্সিং) প্রদান করবে। এটি শুধু বাংলাদেশে নয়, এশিয়ায় টেলিনরের অন্য কোম্পানিকেও সেবা দেবে।
ব্রেক্কের মতে, এশিয়ায় মোবাইল ফোন ব্যবহার ও তথ্যসেবা-সংক্রান্ত ব্যবসার প্রবৃদ্ধি রয়েছে। ইউরোপের মোবাইল ফোন ব্যবহারের ব্যবসার প্রবৃদ্ধি শেষ পর্যায়ে। তবে এখনো সেখানে তথ্যসেবার প্রবৃদ্ধি রয়েছে।
বাংলাদেশে থ্রিজি প্রযুক্তি সম্পর্কে তিনি জানান, এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও হিসাব নিরীক্ষা নিয়ে বেশ কিছু বিরোধ রয়েছে। মূসক প্রদান ও নিরীক্ষাপ্রক্রিয়া আরও সহজ করার ওপর জোর দেন তিনি।
ব্রেক্কে বলেন, থ্রিজি প্রযুক্তি চালু করা চ্যালেঞ্জের বিষয়। কীভাবে বিনিয়োগ হবে, ভবিষ্যৎ কেমন হবে—এসব বিষয় নিয়ে তাই বাংলাদেশের সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।
টেলিযোগাযোগ খাতে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি এখনো শেষ হয়ে যায়নি উল্লেখ করে গ্রামীণফোনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘থ্রিজিসেবা দিতে হলে সব গ্রাহকদের ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। কম্পিউটারসহ আনুষঙ্গিক প্রযুক্তিসুবিধা লাগবে না। আবার সাধারণ মানের মুঠোফোন থাকলেই হবে না, স্মার্টফোন প্রয়োজন হবে। এত দামি ফোনসেট গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আছে কি না, সেটাও বিবেচনা করতে হবে। সেটের দাম কমলে এই টেলিযোগাযোগ খাতের আরও সুফল পাওয়া যাবে।’
সিগবে ব্রেক্কে বলেন, সিমকার্ডের ওপর কর এই খাতের বিকাশের জন্য একটি বাধা। আর সিম বিক্রির প্রক্রিয়ায় অনেক জটিলতা রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে কর নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা প্রসঙ্গে ব্রেক্কে বলেন, ‘আদালতের রায় আমাদের পক্ষে রয়েছে। একই সেবার ওপর আমরা কেন দুবার কর দেব? এ জন্য আমরা সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চাইছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে ব্রেক্কে বলেন, টেলিনর মিয়ানমারে ব্যবসা শুরু করতে চায়। এ জন্য তারা আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
No comments