শাহজালালে দালালসহ ২৮ রোহিঙ্গা পাকড়াও, বিদেশী মুদ্রা উদ্ধার
জাল ও গলাকাটা পাসপোর্টে বিদেশ গমনকালে ১৬ রোহিঙ্গা ও ৫ দালালসহ ২৮ জনকে আটক করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে রোহিঙ্গাদের বিদেশ পাঠানোর পূর্বমুহূর্তে পাকড়াও করা হয়। এ সময় এক দালালের কাছ থেকে ২৬ লাখ টাকার দেশী-বিদেশী মুদ্রা উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে বিমান বন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আজ তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে।
জানা যায়, এটাই সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে বড় অভিযান। সাঁড়াশি এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন এএসপি এহতেশাম। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান আগে থেকেই খবর পায় রোহিঙ্গা নাগরিকদের একটি বড় দল কম্বোডিয়া ও মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে আসবে। সে অনুযায়ী এহতেশামের নেতৃত্বে সাদা পোশাক ও ইউনিফরমধারী ২০/২৫ জনের একটি বিশেষ দল বিমানবন্দরের ১ ও ৩ নং বহির্গমন গেটের আশপাশে অবস্থান নেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রোহিঙ্গারা বিমানবন্দরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ২ দালালকে অনুসরণ করতে থাকে সাদা পোশাকের বিমানবন্দর এপিবিএন সদস্যরা। তারা দালালদের ফোনের কথার সূত্র ধরে ৩ রোহিঙ্গাকে বিমানবন্দরের বহুতল কার পার্কিং এলাকা থেকে আটক করে। এরপর দালাল ও রোহিঙ্গাদের তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দরের টার্মিনাল এলাকা থেকে মোট ১২ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ৪ রোহিঙ্গাকে গাড়িতে করে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করে এপিবিএন সদস্যরা। ১৬ রোহিঙ্গা নাগরিক এবং ৫ দালালসহ মোট ২৮ জনকে আটক করা হয়। এএসপি এহতেশাম জানান আটককৃত রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তাদেরকে রাজধানীর ফকিরাপুলভিত্তিক একটি আদম পাচারচক্র জনপ্রতি আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার চুক্তিতে দেশের বাইরে পাঠানোর রফা করে। এ কাজে দালালরা বিমানবন্দর দিয়ে পাচারের দায়িত্ব পালন করে। দালালের মাধ্যমেই ফকিরাপুল হয়ে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট গঐ-১৯৭ এবং টাইগার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট ঞজ-২৬৫৫ যোগে মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে।
এএসপি মনিরুল ইসলাম বুধবার বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক বিফ্রিংয়ে বলেন আটককৃতদের কাছ থেকে ২৩টি পিসি পাসপোর্ট (গলাকাটা) এবং পাচারের উদ্দেশ্যে আনা বাংলাদেশী প্রায় ২৬,২১,০৬৮/- (ছাব্বিশ লাখ একুশ হাজার আটষট্টি) টাকা মূল্যমানের বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। এএসপি মেরিনা জানানÑ এদের দলনেতা হিসেবে মূল ভূমিকা পালন করেন নওয়াব খান। তার পিতার নাম আব্দুল হামিদ খান, সাং-রণখোলা, পোস্ট-চন্দ্রপুর, থানা-পালং, জেলা-শরীয়তপুর। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশী-বিদেশী মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। এমনকি তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় চারটি ক্রেডিট কার্ড। এতে ছিল আরও প্রায় ৬ লাখ টাকার ব্যালেন্স। এগুলো নওয়াবের শরীরে বিভিন্ন অংশে বিশেষ কায়দায় লুকানো ছিল।
জানা যায়, এটাই সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে বড় অভিযান। সাঁড়াশি এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন এএসপি এহতেশাম। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান আগে থেকেই খবর পায় রোহিঙ্গা নাগরিকদের একটি বড় দল কম্বোডিয়া ও মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে আসবে। সে অনুযায়ী এহতেশামের নেতৃত্বে সাদা পোশাক ও ইউনিফরমধারী ২০/২৫ জনের একটি বিশেষ দল বিমানবন্দরের ১ ও ৩ নং বহির্গমন গেটের আশপাশে অবস্থান নেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রোহিঙ্গারা বিমানবন্দরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ২ দালালকে অনুসরণ করতে থাকে সাদা পোশাকের বিমানবন্দর এপিবিএন সদস্যরা। তারা দালালদের ফোনের কথার সূত্র ধরে ৩ রোহিঙ্গাকে বিমানবন্দরের বহুতল কার পার্কিং এলাকা থেকে আটক করে। এরপর দালাল ও রোহিঙ্গাদের তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দরের টার্মিনাল এলাকা থেকে মোট ১২ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ৪ রোহিঙ্গাকে গাড়িতে করে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করে এপিবিএন সদস্যরা। ১৬ রোহিঙ্গা নাগরিক এবং ৫ দালালসহ মোট ২৮ জনকে আটক করা হয়। এএসপি এহতেশাম জানান আটককৃত রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তাদেরকে রাজধানীর ফকিরাপুলভিত্তিক একটি আদম পাচারচক্র জনপ্রতি আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার চুক্তিতে দেশের বাইরে পাঠানোর রফা করে। এ কাজে দালালরা বিমানবন্দর দিয়ে পাচারের দায়িত্ব পালন করে। দালালের মাধ্যমেই ফকিরাপুল হয়ে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট গঐ-১৯৭ এবং টাইগার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট ঞজ-২৬৫৫ যোগে মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে।
এএসপি মনিরুল ইসলাম বুধবার বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক বিফ্রিংয়ে বলেন আটককৃতদের কাছ থেকে ২৩টি পিসি পাসপোর্ট (গলাকাটা) এবং পাচারের উদ্দেশ্যে আনা বাংলাদেশী প্রায় ২৬,২১,০৬৮/- (ছাব্বিশ লাখ একুশ হাজার আটষট্টি) টাকা মূল্যমানের বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। এএসপি মেরিনা জানানÑ এদের দলনেতা হিসেবে মূল ভূমিকা পালন করেন নওয়াব খান। তার পিতার নাম আব্দুল হামিদ খান, সাং-রণখোলা, পোস্ট-চন্দ্রপুর, থানা-পালং, জেলা-শরীয়তপুর। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশী-বিদেশী মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। এমনকি তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় চারটি ক্রেডিট কার্ড। এতে ছিল আরও প্রায় ৬ লাখ টাকার ব্যালেন্স। এগুলো নওয়াবের শরীরে বিভিন্ন অংশে বিশেষ কায়দায় লুকানো ছিল।
No comments