সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে আগুন দিয়েছে ছাত্রলীগ- প্রথম তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ
সিলেট অফিস ॥ সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাস পুড়িয়েছে ছাত্রলীগের বহিরাগত ক্যাডাররা। কলেজ কর্তৃক গঠিত অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে এ রিপোর্ট তুলে ধরেন কমিটির আহ্বায়ক ওই কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আল হেলাল ভুঁইয়া।
কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁর দেয়া ২শ’ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের সারাংশ সাংবাদিকদের সামনে পড়ে শোনান তিনি। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৮ জুলাই ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষে ছাত্রলীগের এক কর্মী গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনার জের ধরে বহিরাগত ছাত্রলীগ ক্যাডাররা এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে। ছাত্রাবাসে প্রবেশের সময় পুলিশ গেটে অবস্থান করলেও তাদের বাধা না দেয়ায় ওই দলের ক্যাডাররাই ছাত্রবাস পুড়িয়ে দেয়।
কর্তব্যরত পুলিশকে দায়ী করে প্রতিবেদনে বলা হয়, বহিরাগতদের বাধা দিলে এ অগ্নিকান্ডের মতো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটত না। এ সময় ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক বশির আহমেদের দায়িত্ব পালনে মারাত্মক গাফিলতি হয় বলে উল্লেখ করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে কলেজ অধ্যক্ষ, হোস্টেল সুপার, ক্ষতিগ্রস্ত ২৩ জন শিক্ষার্থী, সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও ভিডিও ফুটেজ এবং স্থিরচিত্রগুলো সংযোজন করা হয়েছে। চিত্রগুলোতে অগ্নিসংযোগের পর ঘটনাস্থল ছেড়ে যাওয়া বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উল্লাস ও মিছিলের চিত্র ফুটে ওঠে।
তদন্ত কার্যক্রম সম্পর্কে কমিটির প্রধান উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আল হেলাল ভূঁইয়া জানান, নির্ধারিত সময়সীমার ১৫ দিনে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় তদন্তের স্বার্র্থে আরও ১০ কার্যদিবস বাড়ানো হয়। এরই মধ্যে তদন্ত কাজের সিংহভাগ সম্পন্ন হলেও পবিত্র রমজান ও ঈদ-উল-ফিতরের ছুটিসহ সদস্যদের কর্মব্যস্ততার কারণে বিলম্বে ২৮ আগস্ট অধ্যক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল ও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে আগুন লাগানোর কারণ ও দমকল বাহিনীর ভূমিকা উল্লেখ করেন এবং সুপারিশে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অতি দরিদ্রদের বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা করতে ও নষ্ট হয়ে যাওয়া সনদপত্র সহজে উত্তোলনের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে তত্ববধায়কদের বাসাগুলো মেরামত ও বাড়িভাড়া ফ্রি করে দেয়ারও সুপারিশ করা হয়। পুরানো কাঠামোতে ছাত্রাবাস পূনঃনির্মাণের সুপারিশ করে বলা হয়, সিলেটবাসীর দাবি অনুযায়ী পূর্বের স্থাপত্যশৈলী অক্ষুণœ রেখে ছাত্রাবাস পুনর্নির্মাণ করা যেতে পারে। পাশাপাশি ছাত্রাবাসের চার পাশে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ দারোয়ান ও নৈশপ্রহরীর যথাযথ দায়িত্বপালনের বিষয়টির প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া ছাত্রাবাসের নিরাপত্তার স্বার্থে সীমানার ভেতরে গড়ে ওঠা বসতি উচ্ছেদে ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়।
গত ৮ জুলাই ছাত্রলীগ-শিবিরের সংঘর্ষের জের ধরে বহিরাগত ছাত্রলীগ ক্যাডাররা ঐতিহ্যের স্মারক সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কলেজ কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও অন্যগুলোর প্রতিবেদন এখনও আলোর মুখ দেখেনি।
এদিকে হোস্টেল পোড়ানোর ৫১ দিন পর বুধবার খুলেছে সিলেট সরকারী মুরারী চাঁদ কলেজ (এমসি কলেজ)। ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষের সময় ছাত্রাবাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গত ৯ জুলাই অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বুধবার খোলার প্রথম দিনে ক্লাস হলেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম দেখা গেছে। তবে ক্যাম্পাসে পুলিশ ও র্যাবের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
কর্তব্যরত পুলিশকে দায়ী করে প্রতিবেদনে বলা হয়, বহিরাগতদের বাধা দিলে এ অগ্নিকান্ডের মতো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটত না। এ সময় ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক বশির আহমেদের দায়িত্ব পালনে মারাত্মক গাফিলতি হয় বলে উল্লেখ করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে কলেজ অধ্যক্ষ, হোস্টেল সুপার, ক্ষতিগ্রস্ত ২৩ জন শিক্ষার্থী, সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও ভিডিও ফুটেজ এবং স্থিরচিত্রগুলো সংযোজন করা হয়েছে। চিত্রগুলোতে অগ্নিসংযোগের পর ঘটনাস্থল ছেড়ে যাওয়া বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উল্লাস ও মিছিলের চিত্র ফুটে ওঠে।
তদন্ত কার্যক্রম সম্পর্কে কমিটির প্রধান উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আল হেলাল ভূঁইয়া জানান, নির্ধারিত সময়সীমার ১৫ দিনে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় তদন্তের স্বার্র্থে আরও ১০ কার্যদিবস বাড়ানো হয়। এরই মধ্যে তদন্ত কাজের সিংহভাগ সম্পন্ন হলেও পবিত্র রমজান ও ঈদ-উল-ফিতরের ছুটিসহ সদস্যদের কর্মব্যস্ততার কারণে বিলম্বে ২৮ আগস্ট অধ্যক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল ও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে আগুন লাগানোর কারণ ও দমকল বাহিনীর ভূমিকা উল্লেখ করেন এবং সুপারিশে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অতি দরিদ্রদের বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা করতে ও নষ্ট হয়ে যাওয়া সনদপত্র সহজে উত্তোলনের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে তত্ববধায়কদের বাসাগুলো মেরামত ও বাড়িভাড়া ফ্রি করে দেয়ারও সুপারিশ করা হয়। পুরানো কাঠামোতে ছাত্রাবাস পূনঃনির্মাণের সুপারিশ করে বলা হয়, সিলেটবাসীর দাবি অনুযায়ী পূর্বের স্থাপত্যশৈলী অক্ষুণœ রেখে ছাত্রাবাস পুনর্নির্মাণ করা যেতে পারে। পাশাপাশি ছাত্রাবাসের চার পাশে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ দারোয়ান ও নৈশপ্রহরীর যথাযথ দায়িত্বপালনের বিষয়টির প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া ছাত্রাবাসের নিরাপত্তার স্বার্থে সীমানার ভেতরে গড়ে ওঠা বসতি উচ্ছেদে ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়।
গত ৮ জুলাই ছাত্রলীগ-শিবিরের সংঘর্ষের জের ধরে বহিরাগত ছাত্রলীগ ক্যাডাররা ঐতিহ্যের স্মারক সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কলেজ কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও অন্যগুলোর প্রতিবেদন এখনও আলোর মুখ দেখেনি।
এদিকে হোস্টেল পোড়ানোর ৫১ দিন পর বুধবার খুলেছে সিলেট সরকারী মুরারী চাঁদ কলেজ (এমসি কলেজ)। ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষের সময় ছাত্রাবাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গত ৯ জুলাই অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বুধবার খোলার প্রথম দিনে ক্লাস হলেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম দেখা গেছে। তবে ক্যাম্পাসে পুলিশ ও র্যাবের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
No comments