রেলের তেল চুরি-পাঁচ কর্মকর্তা ও কর্মচারী বরখাস্ত, দুজন গ্রেপ্তার

পার্বতীপুর রেল লোকোশেডে ইঞ্জিন থেকে তেল চুরির ঘটনায় রেলওয়ের পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ একই অভিযোগে চোরচক্রের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আমজাদ হোসেন।


বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন: পার্বতীপুর লোকোশেডের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (ফুয়েল) আবু বকর সিদ্দিক, ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক) দেব দুলাল রায়, উপসহকারী প্রকৌশলী (ফুয়েল) কাফিউল ইসলাম, রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান ও প্রহরী তারেক হোসেন।
এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী দুলাল কুমার রায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কমান্ড্যান্ট আমিনুর রশীদ ও বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক পঙ্কজ কুমার। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন বলেন, চুরি বন্ধে রেলওয়ে কঠোর অবস্থান নেবে। এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করায় প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
গ্রেপ্তার: তেল চোরচক্রের সদস্য সন্দেহে গতকাল রাতে মনির হোসেন নামের একজন যুবককে আটক করেছে পার্বতীপুর জিআরপি থানার পুলিশ। সন্ধ্যায় কুসুম নামের আরেকজনকে আটক করা হয়। দুজনকেই তেল চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
‘রেলইঞ্জিন থেকে তেল চুরি: নেতৃত্বে বহিষ্কৃত নেতা, বড় চক্র জড়িত’ শিরোনামে গতকাল প্রথম আলোয় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সকালেই স্থানীয় সাংসদ ও ভূমি প্রতিমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান থানার পুলিশকে তেল চুরি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সন্ধ্যায় জিআরপি পুলিশ লোকোশেড এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করে।
পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভূমি প্রতিমন্ত্রী তাঁকে ফোনে ওই নির্দেশ দেন। কিছুক্ষণ পর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মঈনুল হোসেনও তাঁকে তেল চুরি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন।
পার্বতীপুর জিআরপি থানার ওসি এমদাদুল হক জানান, রাতে আরও অভিযান চালানো হবে।
অভিযোগ আছে, ডিজেল চোরচক্রের নেতৃত্বে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত ত্রাণ সম্পাদক ফয়সাল আলম (বিজ্ঞান)।

No comments

Powered by Blogger.