সিইসির সঙ্গে দেখা করলেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর-আলোচনার বিষয় জানা যায়নি
ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সংসদ সদস্যপদ নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে_নির্বাচন কমিশনের এ ঘোষণার পরদিন গতকাল বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদার (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সরকারি দলের এই সংসদ সদস্য। তবে সাক্ষাতে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা তিনি বলতে চাননি।
মহীউদ্দীন খান আলমগীর গতকাল দুপুরে কমিশন সচিবালয়ে হাজির হন।
মহীউদ্দীন খান আলমগীর গতকাল দুপুরে কমিশন সচিবালয়ে হাজির হন।
সিইসির সঙ্গে দেখা করার পর কমিশন সচিবালয় থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'কোনো কিছু নিয়ে আলোচনা হয়নি। এটি ছিল একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ। চা খেতে এসেছিলাম।'
আপনার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না_জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এটা বিচারাধীন বিষয়। এ নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি। আর রায় তো আমার পক্ষেই আছে।'
গত মঙ্গলবার সিইসি সাংবাদিকদের জানান, মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নির্বাচনী আসন বিষয়ে নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত গেজেট অবৈধ ঘোষণা করে সম্প্রতি হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন উচ্চ আদালতে আপিল করবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন চাঁদপুর-১ আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ওই গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। পাশাপাশি কারণদর্শাতে রুলও জারি করেন। রুলের ওপর দুই দিন চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ২৯ অক্টোবর হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের গেজেটকে অবৈধ ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জরুরি ক্ষমতা আইনে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়। এ কারণে গত সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে রিট করলে তা খারিজ হয়ে যায়। এরপর তিনি হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে তাঁর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন। পরে তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। কিন্তু গত বছরের ১৫ জুলাই আপিল বিভাগ মহীউদ্দীন খানের লিভ টু আপিল খারিজ করে আদেশ দেন। ওই আদেশের পর নির্বাচন কমিশন চাঁদপুর-১ আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে। অবশ্য জরুরি ক্ষমতা আইনে যে সাজার জন্য নির্বাচন কমিশন এবং আদালতের বিচারে মহীউদ্দীন খান আলমগীর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য ছিলেন, নির্বাচনের পর হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ তা বাতিল করে রায় ঘোষণা করেন।
আপনার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না_জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এটা বিচারাধীন বিষয়। এ নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি। আর রায় তো আমার পক্ষেই আছে।'
গত মঙ্গলবার সিইসি সাংবাদিকদের জানান, মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নির্বাচনী আসন বিষয়ে নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত গেজেট অবৈধ ঘোষণা করে সম্প্রতি হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন উচ্চ আদালতে আপিল করবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন চাঁদপুর-১ আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ওই গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। পাশাপাশি কারণদর্শাতে রুলও জারি করেন। রুলের ওপর দুই দিন চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ২৯ অক্টোবর হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের গেজেটকে অবৈধ ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জরুরি ক্ষমতা আইনে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়। এ কারণে গত সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে রিট করলে তা খারিজ হয়ে যায়। এরপর তিনি হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে তাঁর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন। পরে তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। কিন্তু গত বছরের ১৫ জুলাই আপিল বিভাগ মহীউদ্দীন খানের লিভ টু আপিল খারিজ করে আদেশ দেন। ওই আদেশের পর নির্বাচন কমিশন চাঁদপুর-১ আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে। অবশ্য জরুরি ক্ষমতা আইনে যে সাজার জন্য নির্বাচন কমিশন এবং আদালতের বিচারে মহীউদ্দীন খান আলমগীর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য ছিলেন, নির্বাচনের পর হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ তা বাতিল করে রায় ঘোষণা করেন।
No comments