আন্তর্জাতিক নারীদিবস
প্রতিবছরই ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারীদিবস
পালিত হয়। এইদিন নানান অনুষ্ঠান, সেমিনার ও র্যালির মধ্য দিয়ে দিবসটি
উদযাপিত হয়। কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশেই আজ অবধি নারী-পুরুষের সমঅধিকার
প্রতিষ্ঠিত হয়নি্।
এমনকি উন্নত অনেক দেশেও নারীদের
পরিপূর্ণ নিরাপত্তা নেই। বেশিরভাগ দেশে নারী এখনও বঞ্চনা, লাঞ্ছনা ও
নির্যাতনের শিকার। বহুকাল থেকে বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিশেষ করে
কৃষি উৎপাদনের ৰেত্রে নারীদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কোন কোন পরিসংখ্যান থেকে
দেখা গেছে, গ্রামীণ
অর্থনৈতিক উৎপাদনে নারীর অবদান শতকরা ষাট থেকে সত্তর ভাগ। গ্রামে নারীরা পুরম্নষের সাথে কৃষিকাজে অংশ নিচ্ছে, সেই সঙ্গে সাংসারিক দায়-দায়িত্বও পালন করছে। বর্তমানে কেবল গ্রামেই নয়, শহরেও নারী নানারকম উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। আবার তাকে সংসার দেখাশোনার কাজও করতে হয়। অথচ সমাজ ও সংসারে এত অবদান থাকা সত্ত্বেও শুধু নারী হওয়ার কারণে অনেকেই বঞ্চিত ও অবহেলিত। তাই একবিংশ শতাব্দিতে এসেও সমাজে নারীরা তাদের প্রাপ্য অধিকার পায়নি। এই আধুনিক যুগে নারীরা সমাজে এতখানি বঞ্চিত ও লাঞ্ছিত কেন? জাতীয় কবি কাজী নজরম্নল ইসলামের কথায় বলতে হয়_ এ জগতে যা কিছু চিরকল্যাণকর তার অর্ধেক এনেছে নারী আর অর্ধেক এনেছে নর। কিন্তু পুরম্নষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা সর্বত্র কোণঠাসা হয়ে পড়ে। কখনও পারিপাশ্বর্িক, কখনও বা অন্ধসংস্কারের কারণে তারা বঞ্চিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান মহাজোট সরকার ৰমতা গ্রহণের পর সরকারেরর বিভিন্ন গুরম্নত্বপূর্ণ পদে নারীরা কাজ করছেন। এদেশে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী। এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নারীকে নিযোগ দান করা হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে নারী উন্নয়নের দিক দিয়ে একটি ইতিবাচক ব্যাপার। এটা হয়ত দেশের অবহেলিত ও অবরম্নদ্ধ নারী সমাজকে তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী করবে এবং অনুপ্রেরণা জোগাবে। সমাজের বিভিন্ন দিকে তাকালে আজও নারীসমাজের একটি করম্নণ চিত্র আমরা অবলোকন করি। কোন কোন সংসারে নারীশিশুকে জন্মের পর থেকে বৈষম্যের শিকার হতে হয়। কিশোরী বয়স থেকে নারীকে অনেক বাধা বিপত্তির মুখে চলতে হয়। তার স্কুলে যাওয়ার পথে অনেক বাধা। অনেক সময় বখাটেদের উপদ্রবের কারণে তাদের স্কুলে যাওয়া-আসা দুঃসহ হয়ে ওঠে। নারীর উচ্চ শিৰালাভের ৰেত্রে এগুলো বাধা হয়ে আসে। কোন কোন পরিবারেই এখনও একটি ভ্রানত্ম ধারণা আছে_নারীর উচ্চ শিৰালাভের কোন প্রয়োজন নেই। বাবা-মা মনে করেন, বিবাহের পর পরিবারের দেখাশোনা ও সনত্মানের প্রতিপালন নারীর প্রধান কাজ।
এত বাধার পর নারী শিৰা সমাপ্ত করে চাকরি গ্রহণ করে। এদেশে অনেক নারীকেই পথে-ঘাটে অবহেলা ও অপমানের শিকার হতে হয়। সুতরাং নারীদের অবস্থার উন্নয়নে সরকারকে আরও পরিকল্পিতভাবে অগ্রসর হতে হবে। নারীদের উন্ন্য়ন ছাড়া কোন দেশেই প্রকৃত উন্নয়ন কখনই সম্ভব নয়। সেকারণে তৃণমূল পর্যায় থেকে নারীশিৰা ও নারী উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়া দরকার। সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ৰেত্রে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
শ্র্রমিক কেবলই জীবন হারায়
শ্রমিকদের জন্য যেন জীবনের নিরাপত্তা নেই_ একের পর এক নানান দুর্ঘটনায় ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। কোন কোন কর্মৰেত্র যেন মৃতু্যগহ্বর। সর্বশেষ দুর্ঘটনাটি খোদ রাজধানীর হাজারীবাগ ট্যানারিতে। মৃতু্য কেড়ে নিল তিন শ্রমিকের প্রাণ, মারাত্মক আহত কয়েকজন। চামড়া প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় বিষাক্ত গ্যাস এই প্রাণহানি ঘটায়। রাসায়নিক পদার্থের ড্রামে ভুল মিশ্রণে ওই বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়েছিল। কোন কারখানায় শ্রমিকদের মৃতু্যর পর মালিকপৰ যে ধরনের সাফাই গেয়ে থাকেন এখানেও তাই করা হলো। এ ধরনের ভুল হওয়ার নাকি কারণ ছিল না। কারখানায় নাকি সব ধরনের সুরৰা ব্যবস্থা ছিল ইত্যাদি। শ্রমিক আইন কিংবা শিল্পনীতি কতটুকু কার্যকর রয়েছে এসব কারখানায়_ এমনতর প্রশ্ন ইদানীং বার বার দেখা দিচ্ছে। সম্প্রতি গাজীপুরে এক সোয়েটার কারখানায় শ্রমিকদের মর্মানত্মিক মৃতু্যর কারণ হিসেবে দেখা গেছে নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা বা সক্রিয় সরঞ্জাম ছিল না। হাজারীবাগের ট্যানারিতে মালিকপৰ যতই সাফাই গেয়ে যান না কেন এখানেও তদ্রূপ অনিয়ম এবং নিরাপত্তাহীনতা বিদ্যমান ছিল।
ট্যানারির কেমিস্ট জানান, এটি নিছক দুর্ঘটনা। কোন কারণে ভুল করে শ্রমিকরা ড্রামে ক্যালসিয়াম অক্সাইডের পরিবর্তে ক্রোমিয়াম এ্যাসিড দেয়ায় ড্রামের ভেতর বিষাক্ত গ্যাস সৃষ্টি হয়। ট্যানারির শ্রমিকরা নাকি এর আগে কখনও ভুল করেননি। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বলেছেন, কারখানা প্রতিষ্ঠার ৩৬ বছরে এ ধরনের দুর্ঘটনা কখনও ঘটেনি। শ্রমিকদের কোন প্রশিৰণ ছিল না এবং তারা যে দেখে দেখে কাজ শিখেছেন, এটাই সত্য। রাসায়নিক মিশ্রণের প্রক্রিয়া, প্রতিক্রিয়া, আনুপাতিক হার কোন ব্যাপারেই তাঁরা অভিজ্ঞ ছিলেন না। কতর্ৃপৰ এসব বিষয়ের ওপর কখনই গুরম্নত্ব আরোপ করেননি। এছাড়া বিপজ্জনক রাসায়নিক নিয়ে কাজের সময় যে মাস্ক, গস্নাভস, পায়ে বুট এবং চোখে সানগস্নাস ব্যবহার করতে হয় তা কারখানা কর্তৃপৰ শ্রমিকদেরকে নির্দেশ দেননি। এহেন উদাসীনতা, অবজ্ঞা এবং আত্মপৰ সমর্থনের প্রয়াস বাসত্মবতার সাথে সঙ্গতিহীন। কিছু পারিশ্রমিকের বিনিময়ে শ্রমিকদের জীবন কেড়ে নেয়া কি তাহলে অলিখিত বিধান হয়ে দাঁড়াবে?
ট্যানারি শ্রমিকদের মধ্যে অনেকেই দূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রানত্ম। কারণ সর্বৰণই তাদের নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে হয়। রাসায়নিক দূষণের ৰতি সম্পর্কে অনেকেই অজ্ঞতার কারণে কিছু জানেন না। এসব ট্যানারিতে অদৰ এবং শিশু শ্রমিকও বাঁচার তাগিদে কাজ করতে গিয়ে বাঁচতে পারে না। কেউ দুর্ঘটনায় মারা যান, কেউ নীরব মৃতু্যকে কাছে টানেন। দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করার যাবতীয় ব্যবস্থা না রেখে কারখানা চালু করা যে অন্যায়_ এই বোধ জাগ্রত রাখতে হবে। সরকার এ ব্যাপারে দৃঢ় পদৰেপ না নিলে শ্রমিকদের লাশের সংখ্যা কেবলই বাড়তে থাকবে।
অতর্কিতে আক্রমণ
ম্যানিলা শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে কমিউনিস্ট বিদ্রোহীরা হঠাৎ করেই সামরিক বাহিনীর একটি কনভয়ে আক্রমণ করে। বিদ্রোহীদের এই চোরাগোপ্তা হামলায় দিশেহারা হয়ে যায় সামরিক বাহিনীর এই ইউনিটটি। এতে ৪ জন মারা যায় এবং ডজনখানেক সৈন্য আহত হয় ।
আইএইচটি ২৬ ফেব্রম্নয়ারি, ২০১০
ছয় মিলিয়ন গাড়ি
যান্ত্রিক ত্রম্নটি ধরা পড়ার কারণে বিশ্ববিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টয়োটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ছয় মিলিয়ন বা ষাট লৰ গাড়ি ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধানত্ম নিয়েছে। মূলত এ গাড়িগুলোর বিরম্নদ্ধে গতি নিয়ন্ত্রণহীনতার অভিযোগ উঠেছে। গাড়িগুলো যখন দ্রম্নতগতিতে চলাচল করে তখন গাড়ির ইঞ্জিন গতি নিয়ন্ত্রণে অৰম হয়ে পড়ে। এ ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হবার পরই টয়োটা তাদের গাড়িগুলো ফিরিয়ে নেবার সিদ্ধানত্ম নেয়।
আইএইচটি ৩ মার্চ, ২০১০
অর্থনৈতিক উৎপাদনে নারীর অবদান শতকরা ষাট থেকে সত্তর ভাগ। গ্রামে নারীরা পুরম্নষের সাথে কৃষিকাজে অংশ নিচ্ছে, সেই সঙ্গে সাংসারিক দায়-দায়িত্বও পালন করছে। বর্তমানে কেবল গ্রামেই নয়, শহরেও নারী নানারকম উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। আবার তাকে সংসার দেখাশোনার কাজও করতে হয়। অথচ সমাজ ও সংসারে এত অবদান থাকা সত্ত্বেও শুধু নারী হওয়ার কারণে অনেকেই বঞ্চিত ও অবহেলিত। তাই একবিংশ শতাব্দিতে এসেও সমাজে নারীরা তাদের প্রাপ্য অধিকার পায়নি। এই আধুনিক যুগে নারীরা সমাজে এতখানি বঞ্চিত ও লাঞ্ছিত কেন? জাতীয় কবি কাজী নজরম্নল ইসলামের কথায় বলতে হয়_ এ জগতে যা কিছু চিরকল্যাণকর তার অর্ধেক এনেছে নারী আর অর্ধেক এনেছে নর। কিন্তু পুরম্নষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা সর্বত্র কোণঠাসা হয়ে পড়ে। কখনও পারিপাশ্বর্িক, কখনও বা অন্ধসংস্কারের কারণে তারা বঞ্চিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান মহাজোট সরকার ৰমতা গ্রহণের পর সরকারেরর বিভিন্ন গুরম্নত্বপূর্ণ পদে নারীরা কাজ করছেন। এদেশে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী। এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নারীকে নিযোগ দান করা হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে নারী উন্নয়নের দিক দিয়ে একটি ইতিবাচক ব্যাপার। এটা হয়ত দেশের অবহেলিত ও অবরম্নদ্ধ নারী সমাজকে তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী করবে এবং অনুপ্রেরণা জোগাবে। সমাজের বিভিন্ন দিকে তাকালে আজও নারীসমাজের একটি করম্নণ চিত্র আমরা অবলোকন করি। কোন কোন সংসারে নারীশিশুকে জন্মের পর থেকে বৈষম্যের শিকার হতে হয়। কিশোরী বয়স থেকে নারীকে অনেক বাধা বিপত্তির মুখে চলতে হয়। তার স্কুলে যাওয়ার পথে অনেক বাধা। অনেক সময় বখাটেদের উপদ্রবের কারণে তাদের স্কুলে যাওয়া-আসা দুঃসহ হয়ে ওঠে। নারীর উচ্চ শিৰালাভের ৰেত্রে এগুলো বাধা হয়ে আসে। কোন কোন পরিবারেই এখনও একটি ভ্রানত্ম ধারণা আছে_নারীর উচ্চ শিৰালাভের কোন প্রয়োজন নেই। বাবা-মা মনে করেন, বিবাহের পর পরিবারের দেখাশোনা ও সনত্মানের প্রতিপালন নারীর প্রধান কাজ।
এত বাধার পর নারী শিৰা সমাপ্ত করে চাকরি গ্রহণ করে। এদেশে অনেক নারীকেই পথে-ঘাটে অবহেলা ও অপমানের শিকার হতে হয়। সুতরাং নারীদের অবস্থার উন্নয়নে সরকারকে আরও পরিকল্পিতভাবে অগ্রসর হতে হবে। নারীদের উন্ন্য়ন ছাড়া কোন দেশেই প্রকৃত উন্নয়ন কখনই সম্ভব নয়। সেকারণে তৃণমূল পর্যায় থেকে নারীশিৰা ও নারী উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়া দরকার। সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ৰেত্রে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
শ্র্রমিক কেবলই জীবন হারায়
শ্রমিকদের জন্য যেন জীবনের নিরাপত্তা নেই_ একের পর এক নানান দুর্ঘটনায় ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। কোন কোন কর্মৰেত্র যেন মৃতু্যগহ্বর। সর্বশেষ দুর্ঘটনাটি খোদ রাজধানীর হাজারীবাগ ট্যানারিতে। মৃতু্য কেড়ে নিল তিন শ্রমিকের প্রাণ, মারাত্মক আহত কয়েকজন। চামড়া প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় বিষাক্ত গ্যাস এই প্রাণহানি ঘটায়। রাসায়নিক পদার্থের ড্রামে ভুল মিশ্রণে ওই বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়েছিল। কোন কারখানায় শ্রমিকদের মৃতু্যর পর মালিকপৰ যে ধরনের সাফাই গেয়ে থাকেন এখানেও তাই করা হলো। এ ধরনের ভুল হওয়ার নাকি কারণ ছিল না। কারখানায় নাকি সব ধরনের সুরৰা ব্যবস্থা ছিল ইত্যাদি। শ্রমিক আইন কিংবা শিল্পনীতি কতটুকু কার্যকর রয়েছে এসব কারখানায়_ এমনতর প্রশ্ন ইদানীং বার বার দেখা দিচ্ছে। সম্প্রতি গাজীপুরে এক সোয়েটার কারখানায় শ্রমিকদের মর্মানত্মিক মৃতু্যর কারণ হিসেবে দেখা গেছে নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা বা সক্রিয় সরঞ্জাম ছিল না। হাজারীবাগের ট্যানারিতে মালিকপৰ যতই সাফাই গেয়ে যান না কেন এখানেও তদ্রূপ অনিয়ম এবং নিরাপত্তাহীনতা বিদ্যমান ছিল।
ট্যানারির কেমিস্ট জানান, এটি নিছক দুর্ঘটনা। কোন কারণে ভুল করে শ্রমিকরা ড্রামে ক্যালসিয়াম অক্সাইডের পরিবর্তে ক্রোমিয়াম এ্যাসিড দেয়ায় ড্রামের ভেতর বিষাক্ত গ্যাস সৃষ্টি হয়। ট্যানারির শ্রমিকরা নাকি এর আগে কখনও ভুল করেননি। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বলেছেন, কারখানা প্রতিষ্ঠার ৩৬ বছরে এ ধরনের দুর্ঘটনা কখনও ঘটেনি। শ্রমিকদের কোন প্রশিৰণ ছিল না এবং তারা যে দেখে দেখে কাজ শিখেছেন, এটাই সত্য। রাসায়নিক মিশ্রণের প্রক্রিয়া, প্রতিক্রিয়া, আনুপাতিক হার কোন ব্যাপারেই তাঁরা অভিজ্ঞ ছিলেন না। কতর্ৃপৰ এসব বিষয়ের ওপর কখনই গুরম্নত্ব আরোপ করেননি। এছাড়া বিপজ্জনক রাসায়নিক নিয়ে কাজের সময় যে মাস্ক, গস্নাভস, পায়ে বুট এবং চোখে সানগস্নাস ব্যবহার করতে হয় তা কারখানা কর্তৃপৰ শ্রমিকদেরকে নির্দেশ দেননি। এহেন উদাসীনতা, অবজ্ঞা এবং আত্মপৰ সমর্থনের প্রয়াস বাসত্মবতার সাথে সঙ্গতিহীন। কিছু পারিশ্রমিকের বিনিময়ে শ্রমিকদের জীবন কেড়ে নেয়া কি তাহলে অলিখিত বিধান হয়ে দাঁড়াবে?
ট্যানারি শ্রমিকদের মধ্যে অনেকেই দূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রানত্ম। কারণ সর্বৰণই তাদের নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে হয়। রাসায়নিক দূষণের ৰতি সম্পর্কে অনেকেই অজ্ঞতার কারণে কিছু জানেন না। এসব ট্যানারিতে অদৰ এবং শিশু শ্রমিকও বাঁচার তাগিদে কাজ করতে গিয়ে বাঁচতে পারে না। কেউ দুর্ঘটনায় মারা যান, কেউ নীরব মৃতু্যকে কাছে টানেন। দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করার যাবতীয় ব্যবস্থা না রেখে কারখানা চালু করা যে অন্যায়_ এই বোধ জাগ্রত রাখতে হবে। সরকার এ ব্যাপারে দৃঢ় পদৰেপ না নিলে শ্রমিকদের লাশের সংখ্যা কেবলই বাড়তে থাকবে।
অতর্কিতে আক্রমণ
ম্যানিলা শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে কমিউনিস্ট বিদ্রোহীরা হঠাৎ করেই সামরিক বাহিনীর একটি কনভয়ে আক্রমণ করে। বিদ্রোহীদের এই চোরাগোপ্তা হামলায় দিশেহারা হয়ে যায় সামরিক বাহিনীর এই ইউনিটটি। এতে ৪ জন মারা যায় এবং ডজনখানেক সৈন্য আহত হয় ।
আইএইচটি ২৬ ফেব্রম্নয়ারি, ২০১০
ছয় মিলিয়ন গাড়ি
যান্ত্রিক ত্রম্নটি ধরা পড়ার কারণে বিশ্ববিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টয়োটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ছয় মিলিয়ন বা ষাট লৰ গাড়ি ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধানত্ম নিয়েছে। মূলত এ গাড়িগুলোর বিরম্নদ্ধে গতি নিয়ন্ত্রণহীনতার অভিযোগ উঠেছে। গাড়িগুলো যখন দ্রম্নতগতিতে চলাচল করে তখন গাড়ির ইঞ্জিন গতি নিয়ন্ত্রণে অৰম হয়ে পড়ে। এ ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হবার পরই টয়োটা তাদের গাড়িগুলো ফিরিয়ে নেবার সিদ্ধানত্ম নেয়।
আইএইচটি ৩ মার্চ, ২০১০
No comments