সংস্কৃতি সংবাদ- সমগীতের ভিন্নধারার গানে উজ্জীবিত দর্শক by মেখ্যাইউ মারমা
ভিন্নধারার সংগীত দল সমগীতের গানে উজ্জীবিত হলেন চট্টগ্রামের দর্শক শ্রোতারা। পথচলার শুরু থেকেই গণমানুষের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরেছে ঢাকার এই সংগীত দলটি।
গত শুক্রবার ৪ জানুয়ারি ‘চেরাগি ওয়ান আওয়ার মিউজিক ক্যাফে’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংগীত সন্ধ্যায় তারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল আরও একবার।
শীতের সন্ধ্যায় সমগীতের গান শুনতে হাজির হয়েছিলেন চেরাগি পাহাড়ের শ খানেক তরুণ আড্ডারু। নগরের চেরাগি পাহাড়ের খোলা চত্বরে সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হয় এই সংগীত আসর। গান করেন সমগীতের সদস্য অমল আকাশ ও বিশ্বজিৎ সোহাগ। যন্ত্রানুসঙ্গে ছিলেন সাইফুল ইসলাম ও অঞ্জন দাশ।
শারমিন রহমানের উপস্থাপনায় সমগীতের শিল্পী অমল দাশ প্রথমেই তাঁদের হাওয়া অ্যালবাম থেকে ‘রোদের হাট’ গানটি গেয়ে শোনান। গানের ফাঁকে ফাঁকে চলে কথাও। শিল্পীরা তাঁদের গাওয়া গানের বিষয় ও আঙ্গিক সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা করেন।
জানা গেল সমগীতের গান রচনার পটভূমিও। হাওয়া অ্যালবামের ‘হাওয়া’ গানটি সম্পর্কে শিল্পী অমল আকাশ জানান, জাতীয় আন্দোলনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বামপন্থীদের অগ্রযাত্রা থাকলেও ক্ষমতার সুফল ভোগ করেন অন্যরা। বামপন্থী রাজনীতির এই সীমাবদ্ধতার কথাই এই গানে উঠে এসেছে।
অমল আকাশের পর বিশ্বজৎ সোহাগ গিটার আর মাউথ অরগান বাজিয়ে শোনান ‘বসে বসে ভাবছ কী?’ গানটি। কবি শঙ্খ ঘোষের ‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’ কবিতাটির সুরারোপ করেছেন সোহাগ। তাঁর কণ্ঠে সেই গানটিও শুনলেন দর্শকেরা।
আসরের এক ফাঁকে ৩১ ডিসেম্বর মেহেদীবাগ এলাকায় নিজ বাসার অদূরে দুষ্কৃতকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত পলিটেকনিকের ছাত্র ও গিটারবাদক সাইদুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক এবং খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান সমগীতের শিল্পীরা।
একটুখানি বিরতির পর অমল আকাশ আবার শুরু করেন ‘আকাশের মেঘে উড়ালি পাখা’ গানটি দিয়ে। এরপর সমাজে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকের করুণ অবস্থা তুলে ধরেন ‘তেলমাখা ওই বাঁশ’ গানটি গেয়ে।
এই গান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষজনের জীবনসংগ্রামের পথটি অনেকটা তেলমাখা বাঁশ বেয়ে বানরের ওঠার চেষ্টার মতো। তাদের অসহায়ত্ব তুলে ধরতেই গানটি রচনায় উদ্বুদ্ধ হয়েছি।’ শেষে গণসংগীত রচয়িতা কফিল আহমেদের ‘এত সুন্দর পৃথিবী’ ও ‘একটা বাছুর’ গেয়ে শোনান শিল্পীরা।
সমগীতের শিল্পীদের প্রায় প্রতিটি গানের সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন দর্শক-শ্রোতারা। গানের এই সেতুবন্ধ অটুট ছিল আসরের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।
শীতের সন্ধ্যায় সমগীতের গান শুনতে হাজির হয়েছিলেন চেরাগি পাহাড়ের শ খানেক তরুণ আড্ডারু। নগরের চেরাগি পাহাড়ের খোলা চত্বরে সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হয় এই সংগীত আসর। গান করেন সমগীতের সদস্য অমল আকাশ ও বিশ্বজিৎ সোহাগ। যন্ত্রানুসঙ্গে ছিলেন সাইফুল ইসলাম ও অঞ্জন দাশ।
শারমিন রহমানের উপস্থাপনায় সমগীতের শিল্পী অমল দাশ প্রথমেই তাঁদের হাওয়া অ্যালবাম থেকে ‘রোদের হাট’ গানটি গেয়ে শোনান। গানের ফাঁকে ফাঁকে চলে কথাও। শিল্পীরা তাঁদের গাওয়া গানের বিষয় ও আঙ্গিক সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা করেন।
জানা গেল সমগীতের গান রচনার পটভূমিও। হাওয়া অ্যালবামের ‘হাওয়া’ গানটি সম্পর্কে শিল্পী অমল আকাশ জানান, জাতীয় আন্দোলনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বামপন্থীদের অগ্রযাত্রা থাকলেও ক্ষমতার সুফল ভোগ করেন অন্যরা। বামপন্থী রাজনীতির এই সীমাবদ্ধতার কথাই এই গানে উঠে এসেছে।
অমল আকাশের পর বিশ্বজৎ সোহাগ গিটার আর মাউথ অরগান বাজিয়ে শোনান ‘বসে বসে ভাবছ কী?’ গানটি। কবি শঙ্খ ঘোষের ‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’ কবিতাটির সুরারোপ করেছেন সোহাগ। তাঁর কণ্ঠে সেই গানটিও শুনলেন দর্শকেরা।
আসরের এক ফাঁকে ৩১ ডিসেম্বর মেহেদীবাগ এলাকায় নিজ বাসার অদূরে দুষ্কৃতকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত পলিটেকনিকের ছাত্র ও গিটারবাদক সাইদুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক এবং খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান সমগীতের শিল্পীরা।
একটুখানি বিরতির পর অমল আকাশ আবার শুরু করেন ‘আকাশের মেঘে উড়ালি পাখা’ গানটি দিয়ে। এরপর সমাজে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকের করুণ অবস্থা তুলে ধরেন ‘তেলমাখা ওই বাঁশ’ গানটি গেয়ে।
এই গান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষজনের জীবনসংগ্রামের পথটি অনেকটা তেলমাখা বাঁশ বেয়ে বানরের ওঠার চেষ্টার মতো। তাদের অসহায়ত্ব তুলে ধরতেই গানটি রচনায় উদ্বুদ্ধ হয়েছি।’ শেষে গণসংগীত রচয়িতা কফিল আহমেদের ‘এত সুন্দর পৃথিবী’ ও ‘একটা বাছুর’ গেয়ে শোনান শিল্পীরা।
সমগীতের শিল্পীদের প্রায় প্রতিটি গানের সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন দর্শক-শ্রোতারা। গানের এই সেতুবন্ধ অটুট ছিল আসরের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।
No comments