৪৫ বছরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
তীব্র শীত আর হাড় কাঁপুনে উত্তুরে হাওয়ার দাপটে কাঁপছে দেশ। দিনাজপুরে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। চলতি মৌসুমে তো বটেই, গত চার দশকের মধ্যে এটা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গত দুই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শীত ও গরম দুই-ই তীব্র আকার ধারণ করছে। এর ওপর হিমালয় থেকে আসা উত্তুরে হিমেল হাওয়া চলতি মৌসুমে শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিজুড়ে সারা দেশের ওপর দিয়ে আরো একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, গতকাল বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত চার দশকের মধ্যে দেশের কোথাও এত কম তাপমাত্রা অনুভূত হয়নি। এর আগে ১৯৯৬ সালের ১৭ জানুয়ারি দিনাজপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ১৯০৫ সালে সর্বনিম্ন ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ১৯৬৮ সালে শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ১৯৬৪ সালের পর সর্বনিম্ন। এ ছাড়া গতকাল সৈয়দপুরে ৩.৫, ঈশ্বরদী ও চুয়াডাঙ্গায় ৩.৯, রংপুর ও যশোরে ৪.২, রাজশাহী ও শ্রীমঙ্গলে ৪.৪, টাঙ্গাইলে ৫.৫, ফরিদপুরে ৫.৬, চট্টগ্রামে ৯.৬ ও সিলেটে ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়- ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আগামী দুই দিন অব্যাহত থাকবে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসায় কুঁকড়ে গেছে জনজীবন। গতকাল ভোরে জেলা শহরের দক্ষিণ চাউলিয়াপট্টিতে প্রচণ্ড শীতে শাহজাহান হোসেন (৬৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। শীতের কারণে রাস্তাঘাট ও হাটবাজারে লোকের উপস্থিতি অনেক কমে গেছে। ছিন্নমূল ও দরিদ্র মানুষ দল বেঁধে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আহমেদ শামীম আল রাজী জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এ ছাড়া সিভিল সার্জনকে প্রধান করে একটি মেডিক্যাল টিম করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশিকুর রহমান জানান, জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বইছে ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটার গতিতে। দুপুরের দিকে সূর্য উঁকি দিলেও তেজ ছিল না।
কুড়িগ্রামে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় মঙ্গলবার রাতে ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তারা হলো রাজীবপুরের পাইকানটারী গ্রামের পনির উদ্দিন, চরসাজাই গ্রামের ওসকর আলী, কারখানাপাড়া গ্রামের মফিজল হক, শংকরকুরপাড়া গ্রামের শরীফ উদ্দিন এবং রৌমারীর বারবান্ধা গ্রামের সালেহা বেগম ও বারবান্দা গ্রামের নবীরন বেগম। তারা সবাই খেটে খাওয়া মানুষ।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, গতকাল এখানে সর্বনিম্ন ৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
নীলফামারীতে দুই দিনে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলো ডিমলার দক্ষিণ খড়িবাড়ী গ্রামের আফছার, তেলীবাজারের ইসমাইল, ভাটিয়াপাড়া গ্রামের দুখাইন বেওয়া, নিচপাড়া গ্রামের ইছা মামুদ, গয়াবাড়ী গ্রামের করিমন বেওয়া এবং ডোমারের উত্তর গোমনাতি গ্রামের রেজাউল করিম। এদিকে শীত নিবারণে আগুন পোহাতে গিয়ে ডোমার ও জলঢাকায় তিনজন অগ্নিদগ্ধ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
উত্তুরে হিমেল হাওয়ার দাপটে অচল হয়ে পড়েছে বগুড়ার জীবনযাত্রা। গতকাল জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতে দুপচাঁচিয়া উপজেলার লালুকা গ্রামে গতকাল ভোরে আশরাফ আলী নামের এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
জয়পুরহাটে শীতের কারণে মঙ্গলবার দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলো চকদাদরা গ্রামের বেলাল ও হারাইল গ্রামের মন্তাজ আলী। গতকাল জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬.২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে রংপুর অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ এবং নদীর উপকূল ও চরাঞ্চলের মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। গতকাল এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
শ্রীমঙ্গলে কুয়াশার সঙ্গে ধেয়ে আসা কনকনে ঠাণ্ডায় জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। গতকাল এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে এটিই শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
ঠাকুরগাঁওয়ের জগন্নাথপুরে শীতে ফাতেমা নামে এক গর্ভবতী গৃহবধূর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তিনি গতকাল সদর হাসপাতালে মারা যান। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, অধিক রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত আট বছরের মধ্যে রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে গতকাল ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০০৬ সালে তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল।
মানিকগঞ্জে তীব্র শীতে বুধবার রাতে দৌলতপুর উপজেলায় দুই কৃষক মারা গেছেন। তাঁরা হলেন বাচামারা গ্রামের আবদুল মালেক ও মীরপুর গ্রামের আয়নাল। নদী-তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, গতকাল বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত চার দশকের মধ্যে দেশের কোথাও এত কম তাপমাত্রা অনুভূত হয়নি। এর আগে ১৯৯৬ সালের ১৭ জানুয়ারি দিনাজপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ১৯০৫ সালে সর্বনিম্ন ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ১৯৬৮ সালে শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ১৯৬৪ সালের পর সর্বনিম্ন। এ ছাড়া গতকাল সৈয়দপুরে ৩.৫, ঈশ্বরদী ও চুয়াডাঙ্গায় ৩.৯, রংপুর ও যশোরে ৪.২, রাজশাহী ও শ্রীমঙ্গলে ৪.৪, টাঙ্গাইলে ৫.৫, ফরিদপুরে ৫.৬, চট্টগ্রামে ৯.৬ ও সিলেটে ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়- ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আগামী দুই দিন অব্যাহত থাকবে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসায় কুঁকড়ে গেছে জনজীবন। গতকাল ভোরে জেলা শহরের দক্ষিণ চাউলিয়াপট্টিতে প্রচণ্ড শীতে শাহজাহান হোসেন (৬৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। শীতের কারণে রাস্তাঘাট ও হাটবাজারে লোকের উপস্থিতি অনেক কমে গেছে। ছিন্নমূল ও দরিদ্র মানুষ দল বেঁধে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আহমেদ শামীম আল রাজী জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এ ছাড়া সিভিল সার্জনকে প্রধান করে একটি মেডিক্যাল টিম করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশিকুর রহমান জানান, জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বইছে ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটার গতিতে। দুপুরের দিকে সূর্য উঁকি দিলেও তেজ ছিল না।
কুড়িগ্রামে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় মঙ্গলবার রাতে ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তারা হলো রাজীবপুরের পাইকানটারী গ্রামের পনির উদ্দিন, চরসাজাই গ্রামের ওসকর আলী, কারখানাপাড়া গ্রামের মফিজল হক, শংকরকুরপাড়া গ্রামের শরীফ উদ্দিন এবং রৌমারীর বারবান্ধা গ্রামের সালেহা বেগম ও বারবান্দা গ্রামের নবীরন বেগম। তারা সবাই খেটে খাওয়া মানুষ।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, গতকাল এখানে সর্বনিম্ন ৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
নীলফামারীতে দুই দিনে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলো ডিমলার দক্ষিণ খড়িবাড়ী গ্রামের আফছার, তেলীবাজারের ইসমাইল, ভাটিয়াপাড়া গ্রামের দুখাইন বেওয়া, নিচপাড়া গ্রামের ইছা মামুদ, গয়াবাড়ী গ্রামের করিমন বেওয়া এবং ডোমারের উত্তর গোমনাতি গ্রামের রেজাউল করিম। এদিকে শীত নিবারণে আগুন পোহাতে গিয়ে ডোমার ও জলঢাকায় তিনজন অগ্নিদগ্ধ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
উত্তুরে হিমেল হাওয়ার দাপটে অচল হয়ে পড়েছে বগুড়ার জীবনযাত্রা। গতকাল জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতে দুপচাঁচিয়া উপজেলার লালুকা গ্রামে গতকাল ভোরে আশরাফ আলী নামের এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
জয়পুরহাটে শীতের কারণে মঙ্গলবার দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলো চকদাদরা গ্রামের বেলাল ও হারাইল গ্রামের মন্তাজ আলী। গতকাল জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬.২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে রংপুর অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ এবং নদীর উপকূল ও চরাঞ্চলের মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। গতকাল এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
শ্রীমঙ্গলে কুয়াশার সঙ্গে ধেয়ে আসা কনকনে ঠাণ্ডায় জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। গতকাল এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে এটিই শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
ঠাকুরগাঁওয়ের জগন্নাথপুরে শীতে ফাতেমা নামে এক গর্ভবতী গৃহবধূর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তিনি গতকাল সদর হাসপাতালে মারা যান। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, অধিক রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত আট বছরের মধ্যে রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে গতকাল ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০০৬ সালে তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল।
মানিকগঞ্জে তীব্র শীতে বুধবার রাতে দৌলতপুর উপজেলায় দুই কৃষক মারা গেছেন। তাঁরা হলেন বাচামারা গ্রামের আবদুল মালেক ও মীরপুর গ্রামের আয়নাল। নদী-তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
No comments