কালীগঞ্জের ১০ হাজার মানুষ উচ্ছেদ আতঙ্কে
উচ্ছেদ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের বড়কাই ও পাড়াবর্তা গ্রামের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দা। সেখানকার বনাঞ্চল ও কৃষিজমি ধ্বংস করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) গড়তে যাচ্ছে 'পূর্বাচল নতুন শহর'।
এলাকাবাসী জানায়, এর ফলে ধ্বংস হয়ে যাবে তাদের বসতবাড়ি, ধানিজমি ও বনাঞ্চল।
এদিকে গত মঙ্গলবার পূর্বাচল প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করতে গিয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান এলাকাবাসীকে প্রতিশ্রুতি দেন, মানুষ ও পরিবেশের ক্ষতি করে সরকার কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে না।
ওই সময় প্রতিমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে দুঃখ-কষ্টের কথা জানায় এলাকাবাসী। নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধসহ এলাকার হাজারো মানুষ কান্নাজড়িত কণ্ঠে তাদের বসতবাড়ি, কৃষিজমি নষ্ট না করে প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানায়।
নাগরী ইউনিয়নের এক নারী কাঁদতে কাঁদতে প্রতিমন্ত্রীকে বলেন, 'এহান থেকে আমাদের উঠায়া দিলে আমরা কই যামু। কই থাকমু। দোহায় আপনাদের, আমাদের উঠায়া দিবেন না।' আরেক বৃদ্ধ নারী কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন, 'রাজউকের হাতে ধরি, পায়ে পড়ি। ক্ষমা করুক। আমাগো এলাকা ছাইড়া দিক।'
জানা গেছে, রাজউক কালীগঞ্জ উপজেলার বড়কাই ও পাড়াবর্তা মৌজার প্রায় এক হাজার ৬০০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে বসতভিটাসহ ঘন শালবন, অসংখ্য বনজ, ফলদ ও ঔষধি গাছের বন এবং কৃষিজমি রয়েছে। এদিকে অধিগ্রহণের আওতাভুক্ত বড়কাই, বাশাবাশি, কালিকুঠি, গুচ্ছগ্রাম ও পাড়াবর্তা গ্রামের হাজার হাজার মানুষের প্রতিবাদ সত্ত্বেও বালু ফেলে জলাশয় ভরাট শুরু করেছে।
প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে স্থানীয় স্কুল মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান বলেন, 'পূর্বাচল কোনো ব্যক্তি-মানুষের স্বার্থরক্ষার জন্য নয়। জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য এ প্রকল্প করা হয়েছে। এই এলাকার পরিবেশ ও গাজীপুরের সৌন্দর্য আমরা হানি করতে দেব না। এলাকাবাসীর কোনো ক্ষতি আমরা করতে চাই না, করবও না।'
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান বলেন, 'কাউকে কোনো আঘাত না দিয়ে, ব্যথা না দিয়ে, ক্ষতি না করে আমরা এই প্রকল্পের কাজ করতে চাই। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেই সরকার কাজ করবে।'
এদিকে গত মঙ্গলবার পূর্বাচল প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করতে গিয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান এলাকাবাসীকে প্রতিশ্রুতি দেন, মানুষ ও পরিবেশের ক্ষতি করে সরকার কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে না।
ওই সময় প্রতিমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে দুঃখ-কষ্টের কথা জানায় এলাকাবাসী। নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধসহ এলাকার হাজারো মানুষ কান্নাজড়িত কণ্ঠে তাদের বসতবাড়ি, কৃষিজমি নষ্ট না করে প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানায়।
নাগরী ইউনিয়নের এক নারী কাঁদতে কাঁদতে প্রতিমন্ত্রীকে বলেন, 'এহান থেকে আমাদের উঠায়া দিলে আমরা কই যামু। কই থাকমু। দোহায় আপনাদের, আমাদের উঠায়া দিবেন না।' আরেক বৃদ্ধ নারী কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন, 'রাজউকের হাতে ধরি, পায়ে পড়ি। ক্ষমা করুক। আমাগো এলাকা ছাইড়া দিক।'
জানা গেছে, রাজউক কালীগঞ্জ উপজেলার বড়কাই ও পাড়াবর্তা মৌজার প্রায় এক হাজার ৬০০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে বসতভিটাসহ ঘন শালবন, অসংখ্য বনজ, ফলদ ও ঔষধি গাছের বন এবং কৃষিজমি রয়েছে। এদিকে অধিগ্রহণের আওতাভুক্ত বড়কাই, বাশাবাশি, কালিকুঠি, গুচ্ছগ্রাম ও পাড়াবর্তা গ্রামের হাজার হাজার মানুষের প্রতিবাদ সত্ত্বেও বালু ফেলে জলাশয় ভরাট শুরু করেছে।
প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে স্থানীয় স্কুল মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান বলেন, 'পূর্বাচল কোনো ব্যক্তি-মানুষের স্বার্থরক্ষার জন্য নয়। জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য এ প্রকল্প করা হয়েছে। এই এলাকার পরিবেশ ও গাজীপুরের সৌন্দর্য আমরা হানি করতে দেব না। এলাকাবাসীর কোনো ক্ষতি আমরা করতে চাই না, করবও না।'
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান বলেন, 'কাউকে কোনো আঘাত না দিয়ে, ব্যথা না দিয়ে, ক্ষতি না করে আমরা এই প্রকল্পের কাজ করতে চাই। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেই সরকার কাজ করবে।'
No comments