প্রত্যাখ্যান করছি- ০ ভারত-বাংলাদেশ যৌথ ইশতেহার সম্পর্কে বেগম জিয়া- ০ এটা মহাজোট সরকার ও ভারত সরকারের ইশতেহার
প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা বিষয়ক একটি গোপন চুক্তি করেছেন_ এমন অভিযোগ করে বিরোধী দলের নেতা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, এই চুক্তির বিসত্মারিত জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে।
তিনি বলেন, চুক্তিতে দেশের মানুষ আজ উদ্বিগ্ন। দেশবিরোধী চুক্তি প্রত্যাখ্যান ছাড়াও তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর উপলৰে প্রণীত যৌথ ইশতেহার আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। তাঁর মতে, এটা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের সঙ্গে ভারত সরকারের ইশতেহার। প্রতিবাদে সারাদেশে আন্দোলন গড়ে তুলতে সকল মহলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। কর্মসূচী কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমত এটা একটা রাজনৈতিক বিষয়। রাজনৈতিকভাবেই এটা মোকাবেলা করা হবে। শীঘ্রই আন্দোলনের কর্মসূচী দেয়া হবে। ্#২৪৫৩;্#২৪৯৬; ধরনের আন্দোলন যথাসময়ে দেখতে পাবেন বলে মনত্মব্য করেন চেয়ারপার্সন।বেগম খালেদা জিয়া বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই আন্দোলনের কর্মসূচী গ্রহণ করেছি। ধাপে ধাপে এ কর্মসূচী এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, শুধু সংসদেই নয়, সংসদের বাইরেও আলোচনা চলতে পারে। তবে অচিরেই আমরা ছাত্র, যুবক, শ্রমিক, নারী, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করব, কথা বলব। পাশাপাশি চলতে থাকবে আন্দোলনের কর্মসূচী।
ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের একদিন পর রবিবার বিকেলে গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। সরকারবিরোধী আন্দোলনের হুঁশিয়ারি উচারণ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এক শ' ভাগ ব্যর্থ হয়েছে। এই চুক্তির তথ্য গোপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনেও প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা বিষয়ক চুক্তির ব্যাপারে কিছু প্রকাশ করেননি। ৰমতায় গেলে এই চুক্তি বাতিল করা হবে কিনা এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, চুক্তিতে কি আছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে তাদের ইশতেহারে বোঝা গেছে, প্রধানমন্ত্রী যে চুক্তি করেছেন তা দেশবিরোধী চুক্তি।
গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন বিকেল সাড়ে তিনটায় হওয়ার কথা থাকলেও এক ঘণ্টা পর বেগম জিয়া শুরম্ন করেন সংবাদ সম্মেলন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, ড. আর এ গণি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরম্নল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আসম হান্নান শাহ, বেগম সারোয়ারী রহমান, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরম্নল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সদস্য রিয়াজ রহমান, এম এ কাইয়ুম, শওকত মাহমুদ, সংসদের বিরোধী দলের চীফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারম্নক, কোষাধ্যৰ আব্দুল মান্নান, মহিলা দলের নেত্রী শিরিন সুলতানা।
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, এ সরকার জনগণের বোটে নির্বাচিত হয়নি। ্#২৪৫৩;্#২৪৯৪;্#২৪৮০;্#২৪৫৮;্#২৪৯৭;্#২৪৭৪;্#২৪৯৫;্#২৪৮০; ্#২৪৭৮;্#২৪৯৪;্#২৪৭১;্#২৫০৯;্#২৪৭৯;্#২৪৭৮;্#২৫০৩; ্#২৪৫৩;্#২৫০৯;্#২৪৮৭;্#২৪৭৮;্#২৪৬৮;্#২৪৯৪;্#২৫২৭; এসেছে তারা। এজন্য জনগণের স্বার্থ রৰা করেনি। তিনি বলেন, এই সরকারের এক বছর হয়েছে। এই এক বছরে সরকারকে আমরা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতে চেয়েছি। অনেক সময় দিয়েছি। অথচ আমাদের সরকারের ছয় মাসের মাথায় আওয়ামী লীগ হরতাল কর্মসূচী দিয়েছিল। তিনি বলেন, বিএনপির কাউন্সিল হয়েছে। কাউন্সিলের পর সারাদেশে দল সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে। সরকার এক বছরে দেশের জন্য কিছুই করতে পারেনি। মানুষ দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে অতিষ্ঠ। আন্দোলনের কর্মসূচী দিতে সারাদেশের জনগণের পৰ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। সরকারের বিরম্নদ্ধে সারাদেশের মানুষ আজ সোচ্চার। গত ১০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করে ভারতের সঙ্গে অপরাধ দমন বিষয়ক তিনটি চুক্তি করেছেন। চুক্তিগুলো হলো অপরাধ সংক্রানত্ম বিষয়ে দ্বিপাৰিক সহযোগিতা চুক্তি, দ-াদেশ পাওয়া অপরাধীদের হসত্মানত্মর চুক্তি এবং আনত্মর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও অবৈধ মাদক পাচার রোধ চুক্তি। সব চুক্তি ভারতের স্বার্থের পৰে হয়েছে দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, যৌথ ইশতেহারেই তা স্পষ্ট হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে লাভবান হয়েছে মূলত ভারত সরকার। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে এসেছেন দাবি করে বেগম জিয়া দাবি করে বেগম জিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর ভারতের জন্য শতভাগ সফল হলেও সফল হলেও বাংলাদেশ কিছুই পায়নি। এ অবস্থায় আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে চেয়েছি। আলোচনা করতে চেয়েছি। কিন্তু আমাদের সেই আলোচনার পথ তারাই বন্ধ করে দিয়ে রাজপথে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া। এখন দাসখত দিয়ে আসার পর আলোচনার অবকাশ কোথায়। ভারত সফরের আগেই আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য স্থাপন করা প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল। আমরা আহ্বান করেছিলাম কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সাড়া দেননি। এখন আন্দোলনের বিকল্প নেই।
ভারত সফরকে 'নিষ্ফলা' বলে অভিহিত করে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম জিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে কিছুই আনতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর শেষে রিক্ত হাতে ফিরেছেন। সবই ভারতকে উজাড় করে দিয়ে এসেছেন। এতে দেশের মানুষ ৰুব্ধ হয়েছে। এই দাসখত লিখে দেয়ার পর কেন তাঁকে আবার সংবর্ধনা। তাঁকে সংবর্ধনা দিতে পারে একমাত্র ভারত। বিরোধী দলের নেতা বলেন, ভারতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর এ সফর সফল হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য স্বার্থহানি ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সফর ব্যর্থ ও ভারতের কাছে নতজানু করতেই বিমানবন্দরে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। সংবর্ধনা দেয়ার নামে হৈচৈ করা হয়েছে বলেও জানান খালেদা জিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সত্য আড়াল করেছেন এবং অসত্য তথ্য উপস্থাপন করেছেন দাবি করে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ভারতকে ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে এখন মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রানত্ম করছেন। প্রায় ৪০ মিনিটের লিখিত বক্তব্যে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে এসেছেন বলে অভিযোগ করেন।
ভারতের টিপাইমুখ প্রকল্প নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী শুধু একটি আশ্বাস সম্বল করে ফিরেছেন।ভারত সফরে স্বাৰরিত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বিসত্মারিত প্রকাশের দাবি করে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে একটি গোপন নিরাপত্তা চুক্তি হয়েছে। শেখ হাসিনা তাঁর ভারত সফর শতভাগ সফল বলে জানিয়েছেন। কিন্তু বিরোধী দলের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী শনিবার বলেছিলেন শেখ হাসিনা দেশ বেচে না। আমরা (আওয়ামী লীগ) এটা করি না, করতে পারি না। দেশের জন্য আমার মা-বাবা প্রাণ দিয়েছে। ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন। যারা বলে আমরা দেশ বিক্রি করে দিয়েছি। তা কী উদ্দেশ্যে এটা বলে, তা সবাই জানে।
বেগম জিয়া বলেন, ভারতের লেখকদের বই অবাধে বাংলাদেশে এলেও আমাদের লেখকদের বই ভারতে অপাঙক্তেয়। তাছাড়া বাংলা সাহিত্যির কালজয়ী দুই ব্যক্তি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরম্নল ইসলাম ভারতে জন্মগ্রহণ করলেও রবীন্দ্রনাথের গান আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। আর নজরম্নলের গান আমাদের রণসঙ্গীত। উপরন্তু নজরম্নল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ভারতে গিয়ে আমাদের জাতীয় কবিকে সম্পূর্ণ উপেৰা করে কেবল রবীন্দ্রজয়নত্মী যৌথভাবে উদযাপনে সম্মতি দিয়েছেন। এটাও জনগণকে হতবাক করেছে বলে মনে করেন বিরোধী দলের নেতা।
সম্ভাব্য তিসত্মা চুক্তি নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে খালেদা জিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগ আগের মতোই গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে একটি চুক্তি করতে চায়। যাতে বাংলাদেশের স্বার্থহানি ঘটবে। এই আওয়ামী লীগ সরকার কখনও অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে কোন পদৰেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, তারা বিষয়টি ভারতের করম্নণার ওপর ছেড়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, বন্দর ব্যবহারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রানত্ম করেছেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের ৪০ শতাংশ এবং মংলা বন্দরের ১০ শতাংশ বর্তমানে ব্যবহার হয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শনিবার বলেছিলেন, এ দু'টি বন্দরকে আরও উন্নত করতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া হবে। খালেদা জিয়া এই চুক্তি ও সমঝোতা নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দেবেন না। তিনি বলেন, এসবের মাধ্যমে জাতীয় বিভাজন ও উত্তেজনার রাজনীতি উস্কে দেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়া দাবি করেন, বর্তমান সরকার ৰমতায় আসার পর বিডিআর হত্যাকা-সহ নানা কারণে প্রতিরৰা নাজুক হয়ে পড়েছে। দেশের জাতীয় অসত্মিত্ব পড়েছে হুমকির মুখে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ভারতকে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের সবুজ সঙ্কেত এবং ট্রানজিট সুবিধা দিয়ে এসেছেন বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ১৫ কোটি মানুষের দেশে রাসত্মা বন্দর ভাড়া দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। ভারতের ১০০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে বেগম জিয়া বলেন, ভারতের স্বার্থেরই অবকাঠামো উন্নয়নে বেশি সুদে এ ঋণ নেয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, এর চেয়ে বিশ্বব্যাংকের সুদ কম। বিদু্যত আমদানির নামে ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দেয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ খালেদা জিয়ার।
আন্দোলন কর্মসূচীর আগে আমরা সব পেশাজীবীর সঙ্গে আলোচনা করব। তবে রাজনৈতিকভাবেই সকল কিছু মোকাবেলা করা হবে। সংসদে যোগদান করার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা সংসদে যাব না তা কখনও বলিনি। সব সময় সংসদে যেতে প্রস্তুত আমরা। কিনত্মু সরকার সংসদকে অকার্যকর করে রেখেছে। সরকারকেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। তবে সংসদের পাশাপাশি সংসদের বাইরেও আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
বেগম জিয়া আরও বলেন, ভারতীয় শিল্পীরাও অবাধে বাংলাদেশে এসে অনুষ্ঠান করছেন। কিন্তু বাংলাদেশী শিল্পীদের ভারতে গিয়ে অনুষ্ঠান করার েেত্র নানা রকম প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে কোনো কথা না বলে এবং বৈষম্য দূর করার কোন উদ্যোগ না নিয়ে দুদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রটোকল সই করায় সাংস্কৃতিক আগ্রাসনই আরও বিসত্মৃত হবার আশঙ্কা সৃষ্টি করবে বলে বাংলাদেশের মানুষ মনে করে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এবং তাদের আন্দোলনের ফসল জরম্নরী সরকারের আমল মিলিয়ে গত তিন বছরে এই দেশে কোনো বিনিয়োগ হচ্ছে না। ব্যাংকে অলস টাকা পড়ে আছে। জাতীয় স্বার্থে কোথাও কোন অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নের প্রয়োজন হলে তা আমরা দেশের টাকাতেই করতে পারতাম। কিন্তু জাতীয় স্বার্থে নয়, বর্তমান সরকার ভারতের স্বার্থে, ভারতের ব্যবহারের জন্য অবকাঠামো তৈরির উদ্দেশ্যে এই ঋণ নিচ্ছে। এই ঋণের টাকা ভারতীয় পণ্য পরিবহনের অবকাঠামো তৈরি এবং ভারতীয় যানবাহন, রেল কোচ ও ইঞ্জিন কেনায় ব্যবহার করা হবে। আর সুদসহ ঋণ শোধ করতে হবে বাংলাদেশের গরিব জনগণকে। বাংলাদেশ বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে অনেকদিন থেকেই দ্বিপীয় ঋণ নেয়াকে নিরম্নতসাহিত করছে। এই ঋণের সুদের হার বিশ্বব্যাংকের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, আমরা ভারত-বিদ্বেষী নই। সকল প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সার্বভৌম সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক উন্নয়নে আমরা সব সময় বিশ্বাসী। কিন্তু বাংলাদেশ কেবল দিয়েই যাবে, বিনিময়ে তেমন কিছুই পাবে না, এটা আত্মমর্যাদাশীল ও কোনো স্বাধীন জাতি মেনে নিতে পারে না। কাজেই জাতীয় স্বার্থ, নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রায় আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া জনগণের সামনে সরকার আর কোন বিকল্প রাখেনি বলে মনে করেন বেগম জিয়া। এক প্রশ্নের জবাবে বেগম জিয়া বলেন, চুক্তিতে কি আছে তা আমরা জানি না। কারণ ভারতের সঙ্গে গোপন চুক্তি করা হয়েছে। এজন্য বলেছি চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। তবে যৌথ ইশতেহারে বোঝা গেছে এটা দেশবিরোধী চুক্তি। গোপন চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে সবাইকে এর বিরম্নদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিরোধীদ
No comments