নাটকের কথা আসছে ম্যানপাওয়া
ৰুধা, দারিদ্র্য, জীবন-মানের অপ্রতুলতা এই সব কিছু নিয়েই উন্নয়নশীল একটি দেশ বাংলাদেশ। আমাদের অর্থনীতির মূল ভিত্তি হলো কৃষি, দেশের শতকরা ৭০ শতাংশ মানুষ এই জীবিকার ওপর নির্ভরশীল।
এর পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান এই জনসংখ্যার বিশাল একটি অংশ উন্নত জীবন ব্যবস্থা এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লৰ্যে প্রতিবছর পাড়ি জমায় মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ কিংবা মধ্য এশিয়ার উন্নত দেশসমূহে। প্রবাসী বাংলাদেশীদের বৈদেশিক মুদ্রা বর্তমানে আমাদের রিজার্ভকে নিয়ে যায় মজবুত একটি অবস্থানে। দেশীয় মুদ্রার শক্তিশালী অবস্থানের পাশাপাশি তাদের অবদানের ফসল হলো প্রতিটি প্রবাসী পরিবারের উন্নত জীবন।প্রবাসী জীবন তাই বাংলাদেশীদের জীবনে বয়ে নিয়ে আসে অনেক হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখ প্রভৃতি। এমনি এক বিষয় নিয়ে নাটক নির্মাণ এবং রচনা করেছেন জনপ্রিয় প্রতিভাবান নির্মাতা আশুতোষ সুজন। নাটকটির নাম 'ম্যান পাওয়ার'। যার অর্থ জনশক্তি। নাটকটির নাটকের সারসংৰেপ :
হাজী খালিদ হোসেনের দুই স্ত্রী। এক পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকায় বসবাস করেন। মাঝে মাঝে গ্রামে যান যেখানে তার দ্বিতীয় স্ত্রী থাকেন। দ্বিতীয় স্ত্রী পূর্বে খালিদ হোসেনের বড় ভাইয়ের স্ত্রী ছিলেন। বড় ভাই ঔরসে দুই সনত্মান রেখা ও পলাশ। বড় ভাইয়ের মৃতু্যর পর সম্পত্তি ঠিক রাখার জন্য খালিদ হোসেন বড় ভাইয়ের স্ত্রী-সনত্মানসহ বিয়ে করেন। ঢাকার পরিবারে তার পাঁচ সনত্মান। দুই ছেলে তিন মেয়ে। খালিদ হোসেন পুরনো ঢাকায় চকবাজারে পস্নাস্টিকের ব্যবসা করেন। বড় ছেলে একটি গার্মেন্টসের জিএম। বড় মেয়ের স্বামী আমেরিকা প্রবাসী। ছোট দুই মেয়ে ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। ছোট ছেলেটার পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ নেই। এদিকে গ্রামের পরিবারে ছেলে দীর্ঘদিন অলস ও বেকার সময় কাটিয়ে দেশের বাইরে যাবার রাসত্মা খোঁজে। পলাশের বোন একটি এনজিও কমর্ীর সঙ্গে প্রেম করে পালিয়ে যায়। পলাশ ঢাকায় এসে প্রথমে মালয়েশিয়া যাবার সব ব্যবস্থা করে কিন্তু ভুয়া প্রতিষ্ঠানের খপ্পরে পড়ে আর বিদেশ যেতে পারে না। পলাশ কিছুদিনের মধ্যে বৈধভাবে বিদেশ যায় কিন্তু আবার ফিরে আসে। এবার দেশে ফিরে আসার পর পলাশের রূপ পাল্টে যায়। খালিদ হোসেনের পুরো পরিবার পলাশের কর্মকা-ে প্রভাবিত হতে থাকে।
এতে অভিনয় করেছেন : এসএম মহসীন, নাসিমা খান, শামস সুমন, মম, শ্রাবনত্মী, সোহেল খান, হাসান মাসুদ, জেনী, তারেক, জর্জ, যাকের, মারজুক রাসেলসহ অনেকেই। নাটকটি শীঘ্রই একটি প্রাইভেট চ্যানেলে প্রচারিত হবে। হ
No comments