'জয় বাংলা' নিয়ে ঢাবি এ্যালামনাইয়ে হট্টগোল

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার 'জয় বাংলা সেস্নাগান' নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন বিএনপিপন্থীরা! ১৯৭১ থেকে আপামর বাঙালীর প্রাণের সেস্নাগান 'জয় বাংলা'। শনিবার দেশের সূর্যসনত্মান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে উচ্চারিত 'জয় বাংলা সেস্নাগান'কে 'দলীয় সেস্নাগান' আখ্যায়িত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের মহামিলন অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী।
সংশিস্নষ্টরা বলছেন, এটি বিএনপিপন্থীদের নিছক হীনম্মন্যতা ছাড়া আর কিছুই নয়। শনিবার এ্যালামনাইয়ের মহামিলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা। বেলা সাড়ে বারোটার দিকে উপস্থিত জাতির সূর্যসনত্মান মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয় করিয়ে দিতে একে একে মঞ্চে ডাকেন ওয়ার্ল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা 'জয় বাংলা' 'জয় বঙ্গবন্ধু সেস্নাগান দিয়ে মঞ্চে ওঠেন।
এ পর্ব শেষ হওয়ার পর পর বিএনপি সমর্থক কিছু এ্যালামনাই সদস্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রকীবউদ্দীনের কাছে অভিযোগ করেন_ জয় বাংলা সেস্নাগানের মাধ্যমে নিদর্লীয় এ সংগঠনকে দলীয়করণ করা হয়েছে। এ অভিযোগের প্রেৰিতে রকীবউদ্দীনও মঞ্চে উঠে ঘোষণা দেন "এ সংগঠন নির্দলীয়। তাই এর মঞ্চে দলীয় সেস্নাগান দেয়া উচিত নয়।"
তার এ ঘোষণাকে বিএনপি সমর্থকরা হাত তালি দিয়ে অভিনন্দন জানায়। অন্যদিকে জয় বাংলাকে দলীয় সেস্নাগান হিসেবে অভিহিত করায় এর প্রতিবাদ জানান মুক্তিযোদ্ধারা। তাঁরা বলেন 'জয় বাংলা' কোন দলীয় সেস্নাগান নয়, এ সেস্নাগান মিশে আছে বাঙালীর অসত্মিত্বের সঙ্গে।
এক পর্যায়ে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মঞ্চে উঠে পড়ে সিলেট বিএনপির নেতা ইলিয়াস আলী ও বিএনপি সমর্থকরা। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের পওে বেশকিছু লোক মঞ্চে ওঠেন। বাকবিত-ার এক পর্যায়ে উভয়পরে মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি ।
পরে এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী উভয়পকে শানত্ম করেন। পরবর্তীতে এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মঞ্জুরে এলাহী ও মহাসচিব সবার কাছে মা চান। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা মঞ্চ ত্যাগ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক এ্যালামনাই এ ঘটনায় ৰোভ প্রকাশ করেন।

No comments

Powered by Blogger.