কাউন্সিলরদের প্রধানমন্ত্রীঃ ‘ভেবেছিলাম নতুন নেতৃত্ব নিয়ে আসবেন’ by শামীম খান
আবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সপ্তমবারের মত দলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, “এই দায়িত্বের জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না।
ভেবেছিলাম আপনারা নতুন নেতৃত্ব নিয়ে আসবেন। কিন্তু যেহেতু নির্বাচন সামনে, তাই সময় বিবেচনায় আপনাদের দেওয়া দায়িত্ব মাথা পেতে নিলাম। তবে আগামীতে আপনারা নতুন নেতৃত্ব বেছে নেবেন। আপনাদের প্রতি আবারও কৃতজ্ঞতা জানাই।‘
শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলটির ১৯তম কাউন্সিল অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনাকে পুনর্নির্বাচিত করা হয়।
একইভাবে স্থানীয়সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলাম। তখন দলে অনেক সমস্যা ছিল। এখন দল অনেক সংগঠিত। এতো শান্তিপূর্ণভাবে কাউন্সিল কখনো হয়নি। আমি মা-বাবা, ভাই সবাইকে হারিয়েছি। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই আমার পরিবার।
দেশের মানুষকে আপনজন মনে করে দায়িত্বপালন করেছি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।বাবার বড় সন্তান হিসেবে দেখেছি তিনি (বঙ্গবন্ধু) দেশের মানুষকে ভালবেসেছেন। তাদের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাদের পাশে থেকেছেন।
আপনারা আমাকে পুনরায় সভাপতি এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেছেন। বিগত দিনে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। আপনারা পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য আমাদের ওপর সর্বসম্মতিক্রমে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি সৈয়দ আশরাফ এবং দলের মুরব্বি যারা আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে দেব।
এর আগে কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনাকে সভাপতি ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করার পর কাউন্সিলররা সর্বসম্মতিক্রমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য নবনির্বাচিত সভাপতি শেখ হাসিনাকে দায়িত্ব দেন।
এদিকে কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার আগ মুহূর্ত্বে কাউন্সিল অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘বাংলাদেশে ঐ ধরনের সরকার জনগণ চায় না। বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে গণতন্ত্র চলে বাংলাদেশেও সেভাবেই গণতন্ত্র চলবে। ঐসব দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হবে। অনির্বাচিত কারো হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার পথে ঠেলে দিতে চাই না।
কাউন্সিলে সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম, এতে সম্মতি জানান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সৈয়দ আশরাফের নাম প্রস্তাব করেন মাহবুব-উল-আলম হানিফ, এতে সম্মতি জানান স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। দুটি প্রস্তাবেই বিকল্প নাম না থাকায় বিপুল হর্ষধ্বনির মাধ্যমে সম্মতি জানান বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কাউন্সিলরা।
শনিবার দুপুর ১২টা ৩৪ মিনিটে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এর আগে ১১টা ২৮ মিনিটে তিনি সম্মেলনমঞ্চে এসে পৌঁছান।
এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক এবং আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীসহ যারা অবদান রাখেন, তাদের সবার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি ভাষা আন্দোলনসহ স্বাধীনতাযুদ্ধে সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
উদ্বোধনী ঘোষণা সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগের এই কাউন্সিল শুধু নিয়ম রক্ষার কাউন্সিল নয়। এ কাউন্সিলের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে আরও সুদৃঢ় করা হবে এবং নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এদেশে অর্থনৈতিক-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি এসেছে। আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক ও জনগণের অধিকার আদায়ের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। এ রাজনীতি করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। আগামীতে মানুষের অধিকার আদায়ের রাজনীতি অব্যাহত রাখা হবে।
উদ্বোধন ঘোষণার পর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল পাঠ করা হয়।
একইভাবে স্থানীয়সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলাম। তখন দলে অনেক সমস্যা ছিল। এখন দল অনেক সংগঠিত। এতো শান্তিপূর্ণভাবে কাউন্সিল কখনো হয়নি। আমি মা-বাবা, ভাই সবাইকে হারিয়েছি। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই আমার পরিবার।
দেশের মানুষকে আপনজন মনে করে দায়িত্বপালন করেছি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।বাবার বড় সন্তান হিসেবে দেখেছি তিনি (বঙ্গবন্ধু) দেশের মানুষকে ভালবেসেছেন। তাদের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাদের পাশে থেকেছেন।
আপনারা আমাকে পুনরায় সভাপতি এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেছেন। বিগত দিনে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। আপনারা পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য আমাদের ওপর সর্বসম্মতিক্রমে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি সৈয়দ আশরাফ এবং দলের মুরব্বি যারা আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে দেব।
এর আগে কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনাকে সভাপতি ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করার পর কাউন্সিলররা সর্বসম্মতিক্রমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য নবনির্বাচিত সভাপতি শেখ হাসিনাকে দায়িত্ব দেন।
এদিকে কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার আগ মুহূর্ত্বে কাউন্সিল অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘বাংলাদেশে ঐ ধরনের সরকার জনগণ চায় না। বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে গণতন্ত্র চলে বাংলাদেশেও সেভাবেই গণতন্ত্র চলবে। ঐসব দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হবে। অনির্বাচিত কারো হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার পথে ঠেলে দিতে চাই না।
কাউন্সিলে সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম, এতে সম্মতি জানান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সৈয়দ আশরাফের নাম প্রস্তাব করেন মাহবুব-উল-আলম হানিফ, এতে সম্মতি জানান স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। দুটি প্রস্তাবেই বিকল্প নাম না থাকায় বিপুল হর্ষধ্বনির মাধ্যমে সম্মতি জানান বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কাউন্সিলরা।
শনিবার দুপুর ১২টা ৩৪ মিনিটে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এর আগে ১১টা ২৮ মিনিটে তিনি সম্মেলনমঞ্চে এসে পৌঁছান।
এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক এবং আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীসহ যারা অবদান রাখেন, তাদের সবার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি ভাষা আন্দোলনসহ স্বাধীনতাযুদ্ধে সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
উদ্বোধনী ঘোষণা সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগের এই কাউন্সিল শুধু নিয়ম রক্ষার কাউন্সিল নয়। এ কাউন্সিলের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে আরও সুদৃঢ় করা হবে এবং নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এদেশে অর্থনৈতিক-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি এসেছে। আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক ও জনগণের অধিকার আদায়ের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। এ রাজনীতি করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। আগামীতে মানুষের অধিকার আদায়ের রাজনীতি অব্যাহত রাখা হবে।
উদ্বোধন ঘোষণার পর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল পাঠ করা হয়।
No comments