সিঙ্গাপুরে পাঠানো কতটা যৌক্তিক ছিল?
দামিনীকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক ছিল, তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সংকটজনক অবস্থা সত্ত্বেও তাঁকে কেন স্থানান্তর করা হলো এবং এই কাজের পেছনে রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি না_এসব ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া যাচ্ছে।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার সিন্দে দাবি করেছেন, চিকিৎসকদের পরামর্শেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না।
গত ১৬ ডিসেম্বর ধর্ষণের শিকার হন দামিনী। শুরুতে তাঁকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে পাঠানোর দুই দিনের মাথায় তিনি মারা যান। ভারতের চিকিৎসকরা জানান, দিল্লিতে হাসপাতালে ভর্তির চার দিন পর থেকেই দামিনীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। গত ১০ দিনে তাঁর শরীরে ছোট-বড় তিনটি অস্ত্রোপচার করা হয়। তৃতীয় অস্ত্রোপচারের পর তাঁর অবস্থার আরো অবনতি হয়। ভারতে চিকিৎসাধীন থাকতেই একবার তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল।
ভারতের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দামিনীকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালের অঙ্গ প্রতিস্থাপন বিভাগের চেয়ারম্যান সমিরণ নন্দি জানান, শরীর ও রক্তে গুরুতর সংক্রমণ, তীব্র জ্বর এবং কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস দেওয়া অবস্থায়ও দামিনীকে বিদেশে পাঠানোয় তিনি বিস্মিত। দামিনীর মস্তিষ্কও জখম হয়েছিল। ফুসফুস ও পাকস্থলীতে সংক্রমণ ছিল। নন্দি বলেন, 'আমি এ স্থানান্তরের পক্ষে যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না। হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পরও মেয়েটিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত ছিল অস্বাভাবিক। অবস্থা স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে ভারতে রাখা উচিত ছিল।'
অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসের স্নায়ুরোগ বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, 'মেয়েটিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। চিকিৎসক হিসেবে আমি এ সিদ্ধান্তকে একেবারেই অনুচিত বলব। হার্ট অ্যাটাকের কয়েক ঘণ্টা পরেই রোগীকে বিদেশে পাঠানোর কথা চিন্তাও করা যায় না।'
তবে সফদরজং হাসপাতালে দামিনীর চিকিৎসাদলের প্রধান বি ডি আথানি এবং সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার সময় দামিনীর সঙ্গে থাকা এক চিকিৎসক গতকাল এ ধরনের সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেন। ড. আথানি বলেন, 'সিঙ্গাপুরে পাঠানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল মেয়েটিকে বাঁচানো। পুরো জাতিই তার জন্য প্রার্থনা করেছে। আমরাও আশা ছাড়িনি। আমরা তাকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম।'
দিল্লির মেদান্ত মেডিসিটি হাসপাতালের আইসিইউ বিশেষজ্ঞ যতিন মেহতা বলেন, 'এক চিকিৎসকের সিদ্ধান্তকে আরেক চিকিৎসকের সমালোচনা অনেক পুরনো প্রবণতা। এটা ঠিক নয়। ভারতের হাসপাতালগুলোর সঙ্গে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের তুলনাই চলে না। আমি চিকিৎসকদের মান নিয়ে কথা বলছি না। কিন্তু সিঙ্গাপুরের অবকাঠামোই আলাদা। আমাদের বিষয়টি বুঝতে হবে।'
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার সিন্দে জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শেই মেয়েটিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। গতকাল শনিবার দামিনীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি।' অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করারও নিশ্চয়তা দেন তিনি। সূত্র : জিনিউজ।
গত ১৬ ডিসেম্বর ধর্ষণের শিকার হন দামিনী। শুরুতে তাঁকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে পাঠানোর দুই দিনের মাথায় তিনি মারা যান। ভারতের চিকিৎসকরা জানান, দিল্লিতে হাসপাতালে ভর্তির চার দিন পর থেকেই দামিনীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। গত ১০ দিনে তাঁর শরীরে ছোট-বড় তিনটি অস্ত্রোপচার করা হয়। তৃতীয় অস্ত্রোপচারের পর তাঁর অবস্থার আরো অবনতি হয়। ভারতে চিকিৎসাধীন থাকতেই একবার তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল।
ভারতের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দামিনীকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালের অঙ্গ প্রতিস্থাপন বিভাগের চেয়ারম্যান সমিরণ নন্দি জানান, শরীর ও রক্তে গুরুতর সংক্রমণ, তীব্র জ্বর এবং কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস দেওয়া অবস্থায়ও দামিনীকে বিদেশে পাঠানোয় তিনি বিস্মিত। দামিনীর মস্তিষ্কও জখম হয়েছিল। ফুসফুস ও পাকস্থলীতে সংক্রমণ ছিল। নন্দি বলেন, 'আমি এ স্থানান্তরের পক্ষে যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না। হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পরও মেয়েটিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত ছিল অস্বাভাবিক। অবস্থা স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে ভারতে রাখা উচিত ছিল।'
অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসের স্নায়ুরোগ বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, 'মেয়েটিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। চিকিৎসক হিসেবে আমি এ সিদ্ধান্তকে একেবারেই অনুচিত বলব। হার্ট অ্যাটাকের কয়েক ঘণ্টা পরেই রোগীকে বিদেশে পাঠানোর কথা চিন্তাও করা যায় না।'
তবে সফদরজং হাসপাতালে দামিনীর চিকিৎসাদলের প্রধান বি ডি আথানি এবং সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার সময় দামিনীর সঙ্গে থাকা এক চিকিৎসক গতকাল এ ধরনের সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেন। ড. আথানি বলেন, 'সিঙ্গাপুরে পাঠানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল মেয়েটিকে বাঁচানো। পুরো জাতিই তার জন্য প্রার্থনা করেছে। আমরাও আশা ছাড়িনি। আমরা তাকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম।'
দিল্লির মেদান্ত মেডিসিটি হাসপাতালের আইসিইউ বিশেষজ্ঞ যতিন মেহতা বলেন, 'এক চিকিৎসকের সিদ্ধান্তকে আরেক চিকিৎসকের সমালোচনা অনেক পুরনো প্রবণতা। এটা ঠিক নয়। ভারতের হাসপাতালগুলোর সঙ্গে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের তুলনাই চলে না। আমি চিকিৎসকদের মান নিয়ে কথা বলছি না। কিন্তু সিঙ্গাপুরের অবকাঠামোই আলাদা। আমাদের বিষয়টি বুঝতে হবে।'
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার সিন্দে জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শেই মেয়েটিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। গতকাল শনিবার দামিনীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি।' অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করারও নিশ্চয়তা দেন তিনি। সূত্র : জিনিউজ।
No comments