সিরিয়ায় পর্যবেক্ষক মিশন ছোট করার প্রস্তাব জাতিসংঘের

সিরিয়ায় মোতায়েন নিরস্ত্র পর্যবেক্ষকদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মহাসচিব বান কি মুন। একই সঙ্গে সিরিয়া সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের ওপর জোর দেন তিনি। নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া প্রতিবেদনে তিনি বলেন, অস্ত্রবিরতি নজরদারির পরিবর্তে সিরিয়ার বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে সংলাপ আয়োজনেই পর্যবেক্ষক মিশনের বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত।


এদিকে সিরিয়া সংকট নিরসনের উপায় বের করতে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আয়োজিত বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারকে সরাতে দামেস্কের ওপর চাপ আরো বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। সিরিয়ায় গত এপ্রিল থেকে জাতিসংঘ-আরব লিগ মনোনীত দূত কফি আনানের প্রস্তাবিত অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয়। এর পর থেকেই এই অস্ত্রবিরতির নজরদারিতে প্রায় ৩০০ পর্যবেক্ষককে সিরিয়ায় পাঠানো হয়।
আগামী বুধবার নিরাপত্তা পরিষদ এই মিশনের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। ওই দিনই এই মিশনের মেয়াদের ব্যাপারে ভোটাভুটি হবে। গত শুক্রবার বান কি মুনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় অবস্থানকারী সামরিক পর্যবেক্ষকদের সংখ্যা কমাতে হবে। তবে পর্যবেক্ষকদের পুরোপুরি প্রত্যাহার করার কথা এতে বলা হয়নি। বান কি মুন তাঁর প্রতিবেদনে সিরিয়ায় অবস্থানকারী মিশনের কাজ দেশটির রাজধানী দামেস্কভিত্তিক হবে বলে প্রস্তাব দেন। পূর্বে পুরো সিরিয়া ঘুরে মাঠপর্যায়ে অস্ত্রবিরতি পর্যবেক্ষণই ছিল তাঁদের প্রধান কাজ। এ কাজ করতে গিয়ে কয়েকবার হামলার মুখেও পড়েন তাঁরা।
এদিকে গত শুক্রবার প্যারিসে অনুষ্ঠিত ফ্রেন্ডস অব সিরিয়া গ্রুপ আয়োজিত বৈঠক থেকে দামেস্কের বিরুদ্ধে আরো কঠোর অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। আনানের ছয় দফা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানান তাঁরা। সিরিয়ায় ক্ষমতার পটপরিবর্তন করতে বৈঠকে জাতিসংঘের আরো নিষেধাজ্ঞা এবং সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাসেরও পথ খোঁজেন নেতারা। এই বৈঠকে রাশিয়া ও চীন যোগ না দিলেও ১০৭টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিরিয়ার পাশে থাকার জন্য চীন ও রাশিয়াকে কটাক্ষ করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। তাদের এর জন্য মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করে দেন তিনি। বৈঠকে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের ব্যাপক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.