মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার-‘আলোকদী গ্রামের হত্যার সঙ্গে কাদের মোল্লা জড়িত ছিলেন’
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গতকাল বুধবার অভিযোগ উপস্থাপন শুরু করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ অভিযোগ উপস্থাপনকালে রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, একাত্তরে মিরপুরের আলোকদী গ্রামের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কাদের মোল্লা জড়িত ছিলেন।
ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই মামলার অভিযোগের বিষয়ে শুনানি পর্যায়ে থাকা অবস্থায় গত ১৬ এপ্রিল এটি ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হয়। এ জন্য অভিযোগের বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল-২-এ শুনানি শুরু হয়েছে। এই ট্রাইব্যুনালে গতকালই মামলাটির কার্যক্রম শুরু হয়।
সকালে বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২-এ কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোহাম্মদ আলী। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় কাদের মোল্লা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ উপস্থাপনকালে কৌঁসুলি বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে কাদের মোল্লা মিরপুর ও মোহাম্মদপুরের ‘জল্লাদ’ বা ‘কসাই’ নামে পরিচিত ছিলেন। স্থানীয় লোকজন জানায়, মিরপুরের শিয়ালবাড়ী ও রূপনগরে হাজার হাজার বাঙালি হত্যার মূলক নায়ক ছিলেন তিনি।
মোহাম্মদ আলী বলেন, একাত্তরের ৫ এপ্রিল কাদের মোল্লার নির্দেশে সরকারি বাঙলা কলেজের ছাত্র পল্লবকে মিরপুর ১২ নম্বর সেক্টরের ঈদগাহ মাঠে গাছে ঝুলিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। মার্চ মাসে কবি মেহেরুননিসা ও খন্দকার আবু তালেব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও তিনি জড়িত ছিলেন। ২৪ এপ্রিল মিরপুরের আলোকদী গ্রামের পূর্ব দিকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার নামে। আর কাদের মোল্লা অর্ধশতাধিক অবাঙালি ও রাজাকার নিয়ে ওই গ্রামের পশ্চিম দিক থেকে ঢুকে গুলিবর্ষণ করেন। সেদিন ওই গ্রামে ৩৪৪ জনের বেশি মারা যান।
কৌঁসুলি কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগে উল্লেখ করা সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করেন। ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগ উপস্থাপন না করে তিনি এগুলো ট্রাইব্যুনালের জুডিশিয়াল নোটিশে নেওয়ার আবেদন জানান।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে উল্লেখ নেই এমন একটি অভিযোগ উপস্থাপন করে মোহাম্মদ আলী বলেন, একাত্তরের ২৬ মার্চ মিরপুর ১২ নম্বরের বাসিন্দা হযরত আলী লস্কর, তাঁর স্ত্রী আমেনা খাতুন, তিন মেয়ে ও দুই বছরের এক ছেলের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কাদের মোল্লা জড়িত ছিলেন। এই অভিযোগ সংযোজন করার জন্য আলাদাভাবে আবেদন করা হয়েছে।
দুপুরে শুনানি অসমাপ্ত অবস্থায় এ মামলার কার্যক্রম আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
ট্রাইব্যুনাল-১-এ ৭ মার্চ কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে শুনানি শুরু হয়েছিল। ওই সময়ের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উপস্থাপন করে অভিযোগ গঠনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনও করেছিল। এ বিষয়ে আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন বাকি ছিল।
সকালে বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২-এ কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোহাম্মদ আলী। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় কাদের মোল্লা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ উপস্থাপনকালে কৌঁসুলি বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে কাদের মোল্লা মিরপুর ও মোহাম্মদপুরের ‘জল্লাদ’ বা ‘কসাই’ নামে পরিচিত ছিলেন। স্থানীয় লোকজন জানায়, মিরপুরের শিয়ালবাড়ী ও রূপনগরে হাজার হাজার বাঙালি হত্যার মূলক নায়ক ছিলেন তিনি।
মোহাম্মদ আলী বলেন, একাত্তরের ৫ এপ্রিল কাদের মোল্লার নির্দেশে সরকারি বাঙলা কলেজের ছাত্র পল্লবকে মিরপুর ১২ নম্বর সেক্টরের ঈদগাহ মাঠে গাছে ঝুলিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। মার্চ মাসে কবি মেহেরুননিসা ও খন্দকার আবু তালেব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও তিনি জড়িত ছিলেন। ২৪ এপ্রিল মিরপুরের আলোকদী গ্রামের পূর্ব দিকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার নামে। আর কাদের মোল্লা অর্ধশতাধিক অবাঙালি ও রাজাকার নিয়ে ওই গ্রামের পশ্চিম দিক থেকে ঢুকে গুলিবর্ষণ করেন। সেদিন ওই গ্রামে ৩৪৪ জনের বেশি মারা যান।
কৌঁসুলি কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগে উল্লেখ করা সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করেন। ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগ উপস্থাপন না করে তিনি এগুলো ট্রাইব্যুনালের জুডিশিয়াল নোটিশে নেওয়ার আবেদন জানান।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে উল্লেখ নেই এমন একটি অভিযোগ উপস্থাপন করে মোহাম্মদ আলী বলেন, একাত্তরের ২৬ মার্চ মিরপুর ১২ নম্বরের বাসিন্দা হযরত আলী লস্কর, তাঁর স্ত্রী আমেনা খাতুন, তিন মেয়ে ও দুই বছরের এক ছেলের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কাদের মোল্লা জড়িত ছিলেন। এই অভিযোগ সংযোজন করার জন্য আলাদাভাবে আবেদন করা হয়েছে।
দুপুরে শুনানি অসমাপ্ত অবস্থায় এ মামলার কার্যক্রম আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
ট্রাইব্যুনাল-১-এ ৭ মার্চ কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে শুনানি শুরু হয়েছিল। ওই সময়ের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উপস্থাপন করে অভিযোগ গঠনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনও করেছিল। এ বিষয়ে আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন বাকি ছিল।
No comments