নিয়মকানুন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হোক-ভূমিদস্যুতার অভিযোগ
পাঁচ দিনের রিহ্যাব আবাসন মেলায় দর্শক ও ক্রেতাদের ভিড় এটাই প্রমাণ করে যে শিল্পের এ খাতটি যথেষ্ট তেজি। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোয় যখন আবাসনশিল্প সংকটে, তখন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে—এটা নিঃসন্দেহে সুসংবাদ। সুতরাং আবাসনশিল্পের বিকাশের জন্য বিদ্যমান সুবিধাগুলো বাড়ানো ও সমস্যাগুলো দূর করার দিকে নজর দিতে হবে।
রোববার সচিবালয়ে আবাসন নির্মাণ ও ভূমি উন্নয়ন-সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের দুটি সমিতির সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়গুলো আলেচিত হয়। প্রতিমন্ত্রী সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি একটি গুরুতর অভিযোগ তুলে প্রশ্ন করেন, ‘ভূমিদস্যু উপাধি নিয়ে আপনারা ঘুমান কী করে?’
বিষয়টি বহুল আলোচিত। ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে গত ৩০ বছরে আবাসনশিল্পের আকাশচুম্বী উত্থান যেমন অর্থনীতির একটি শক্তির দিক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে, তেমনি এ শিল্পে নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা এর বিকাশের পথে নৈতিক ও আইনগত বাধা সৃষ্টি করেছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, আবাসন প্রকল্পের নামে সামান্য একখণ্ড জমি ক্রয় করে এরপর তার চারপাশের জমি একতরফাভাবে দখল করে নিয়ে প্রকল্পভুক্ত জমি হিসেবে দেখানো হয়েছে। ওই সব জমির মালিক ন্যায্য দর পান না, এমনকি পানির দরে জমি বিক্রি না করলে জবরদখল করে নেওয়ার অভিযোগও কম নয়। এসব কারণে আবাসনশিল্পের অনেক প্রতিষ্ঠান ‘ভূমিদস্যু’ আখ্যা লাভ করে। শহরতলির সাধারণ গ্রামবাসী এসব ভূমিদস্যুর অসহায় শিকারে পরিণত হয়। কেরানীগঞ্জের উদাহরণ টানা যায়, এ ধরনের ভূমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত বিক্ষোভ হচ্ছে, থানায় একের পর এক জিডি হচ্ছে। আমরা দেখছি, প্রভাবশালী এ দখলদার চক্রের বিরুদ্ধে সাধারণ গ্রামবাসীর এ ধরনের উদ্যোগ কাজে আসছে না। অনেক সময় জলাভূমিতে একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে প্রকল্পের জমি হিসেবে দেখানো হয়। অনেকে ফ্ল্যাট কেনার পর তা বুঝে পান না, টাকাও ফেরত পান না। অনেকে প্রকল্পের লোভনীয় বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে প্লট কিনে দেখেন, সেখানে রাজউক ভবন নির্মাণের অনুমতি দেয় না। এগুলো তো স্রেফ প্রতারণা।
প্রতিমন্ত্রী তাদের এ ভূমিদস্যুতার অপবাদমুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েই যদি ক্ষান্ত হন, তাহলে সেটা অভিহিত ‘দস্যু’দের জন্য শাপে বর হয়ে দাঁড়াবে। সুতরাং এ ধরনের দস্যুবৃত্তি বন্ধে মন্ত্রণালয়ের কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
এটা ঠিক যে আবাসন প্রকল্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১৩ থেকে ১৪টি প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। আর টেবিলে টেবিলে ফাইল গতিশীল রাখার জন্য দরকার লেনদেন, যা ‘স্পিডমানি’ বা সোজা কথা ঘুষ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে। এ ঘুষের রাজত্ব রাজউক পর্যন্ত বিস্তৃত। গত শনিবার রিহ্যাবের একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম নিজেই রাজউকের টেবিলে টেবিলে ঘুষের কথা বলে এ ব্যাধির সর্বজনীন ব্যাপ্তির করুণ চিত্রটি ফাঁস করে দিয়েছেন। পরদিন রাজউক চেয়ারম্যান একাধারে ঘুষগ্রহীতা ও ঘুষদাতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলায় আশ্বস্ত হওয়া চলে যে অন্তত টনক নড়েছে।
দুর্নীতি, প্রতারণা বা দস্যুবৃত্তির ওপর নির্ভর করে কোনো শিল্পের সুস্থ বিকাশ সম্ভব নয়। আবাসনশিল্পের সব পর্যায়ে নিয়মকানুনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা অপরিহার্য। প্রতিটি আবাসন প্রকল্পে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ, উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ, জলাশয় প্রভৃতি রাখার যেসব শর্ত সম্প্রতি দেওয়া হয়েছে, তা যেন ব্যতিক্রমহীনভাবে পালিত হয়, সেটা মন্ত্রণালয়কে নিশ্চিত করতে হবে। এসব আইন মেনে চললেও আবাসনশিল্পে যথেষ্ট মুনাফা থাকবে। মালিকদের শুধু ‘অতি মুনাফা’র লোভ সংবরণ করাই এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট।
বিষয়টি বহুল আলোচিত। ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে গত ৩০ বছরে আবাসনশিল্পের আকাশচুম্বী উত্থান যেমন অর্থনীতির একটি শক্তির দিক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে, তেমনি এ শিল্পে নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা এর বিকাশের পথে নৈতিক ও আইনগত বাধা সৃষ্টি করেছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, আবাসন প্রকল্পের নামে সামান্য একখণ্ড জমি ক্রয় করে এরপর তার চারপাশের জমি একতরফাভাবে দখল করে নিয়ে প্রকল্পভুক্ত জমি হিসেবে দেখানো হয়েছে। ওই সব জমির মালিক ন্যায্য দর পান না, এমনকি পানির দরে জমি বিক্রি না করলে জবরদখল করে নেওয়ার অভিযোগও কম নয়। এসব কারণে আবাসনশিল্পের অনেক প্রতিষ্ঠান ‘ভূমিদস্যু’ আখ্যা লাভ করে। শহরতলির সাধারণ গ্রামবাসী এসব ভূমিদস্যুর অসহায় শিকারে পরিণত হয়। কেরানীগঞ্জের উদাহরণ টানা যায়, এ ধরনের ভূমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত বিক্ষোভ হচ্ছে, থানায় একের পর এক জিডি হচ্ছে। আমরা দেখছি, প্রভাবশালী এ দখলদার চক্রের বিরুদ্ধে সাধারণ গ্রামবাসীর এ ধরনের উদ্যোগ কাজে আসছে না। অনেক সময় জলাভূমিতে একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে প্রকল্পের জমি হিসেবে দেখানো হয়। অনেকে ফ্ল্যাট কেনার পর তা বুঝে পান না, টাকাও ফেরত পান না। অনেকে প্রকল্পের লোভনীয় বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে প্লট কিনে দেখেন, সেখানে রাজউক ভবন নির্মাণের অনুমতি দেয় না। এগুলো তো স্রেফ প্রতারণা।
প্রতিমন্ত্রী তাদের এ ভূমিদস্যুতার অপবাদমুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েই যদি ক্ষান্ত হন, তাহলে সেটা অভিহিত ‘দস্যু’দের জন্য শাপে বর হয়ে দাঁড়াবে। সুতরাং এ ধরনের দস্যুবৃত্তি বন্ধে মন্ত্রণালয়ের কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
এটা ঠিক যে আবাসন প্রকল্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১৩ থেকে ১৪টি প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। আর টেবিলে টেবিলে ফাইল গতিশীল রাখার জন্য দরকার লেনদেন, যা ‘স্পিডমানি’ বা সোজা কথা ঘুষ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে। এ ঘুষের রাজত্ব রাজউক পর্যন্ত বিস্তৃত। গত শনিবার রিহ্যাবের একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম নিজেই রাজউকের টেবিলে টেবিলে ঘুষের কথা বলে এ ব্যাধির সর্বজনীন ব্যাপ্তির করুণ চিত্রটি ফাঁস করে দিয়েছেন। পরদিন রাজউক চেয়ারম্যান একাধারে ঘুষগ্রহীতা ও ঘুষদাতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলায় আশ্বস্ত হওয়া চলে যে অন্তত টনক নড়েছে।
দুর্নীতি, প্রতারণা বা দস্যুবৃত্তির ওপর নির্ভর করে কোনো শিল্পের সুস্থ বিকাশ সম্ভব নয়। আবাসনশিল্পের সব পর্যায়ে নিয়মকানুনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা অপরিহার্য। প্রতিটি আবাসন প্রকল্পে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ, উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ, জলাশয় প্রভৃতি রাখার যেসব শর্ত সম্প্রতি দেওয়া হয়েছে, তা যেন ব্যতিক্রমহীনভাবে পালিত হয়, সেটা মন্ত্রণালয়কে নিশ্চিত করতে হবে। এসব আইন মেনে চললেও আবাসনশিল্পে যথেষ্ট মুনাফা থাকবে। মালিকদের শুধু ‘অতি মুনাফা’র লোভ সংবরণ করাই এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট।
No comments