গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি মিটিয়ে অপচিকিত্সা দূর করুন-কবিরাজের বুমেরাং
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুতুল নাচের ইতিকথা উপন্যাসের যাদব পণ্ডিত অ্যালোপ্যাথি চিকিত্সাপদ্ধতির সঙ্গে রেষারেষি করে নিজের মৃত্যুর তারিখ ঘোষণা করে ঘোষিত তারিখে আফিম খেয়ে মরে বিজয়ী হতে চেয়েছিলেন। আর সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার কবিরাজ ময়দান আলী নিজের তৈরি ওষুধের গুণাগুণ প্রমাণে সেই ওষুধ খেয়ে মৃত্যুবরণ করলেন।
তাঁর ওই ওষুধ খেয়ে এক রোগীর মৃত্যু হলে তিনি আত্মঘাতী সিদ্ধান্তটি নেন এবং নিজের অস্ত্রে নিজেই ঘায়েল হন।
গত রোববারের প্রথম আলোয় প্রকাশিত ওই দুঃখজনক ঘটনাটি প্রমাণ করে, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের আধুনিক চিকিত্সকদের কাছে উপযুক্ত চিকিত্সা না পাওয়ায় অনেকেই বিকল্প হিসেবে কবিরাজি ও ঝাড়ফুঁকের মতো অবৈজ্ঞানিক চিকিত্সাপদ্ধতির আশ্রয় নেন। বিদ্যমান স্বাস্থ্য-ব্যবস্থার এ ঘাটতিকে পুঁজি করেই নানা কুসংস্কার ও অবৈজ্ঞানিক চিকিত্সাপদ্ধতি গ্রামের দরিদ্র রোগীদের অপচিকিত্সার শিকার করে। প্রায়ই তাঁদের হাতে রোগীর ভোগান্তি, এমনকি মৃত্যু পর্যন্তও ঘটতে দেখা যায়।
দেশে অ্যালোপ্যাথি চিকিত্সাপদ্ধতির বাইরে ক্ষুদ্র পরিসরে হোমিওপ্যাথি ও আয়ুর্বেদ চিকিত্সাও প্রচলিত রয়েছে। এ তিন ধরনের চিকিত্সাই চর্চা, গবেষণা ও শিক্ষাদানের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান এসবের তদারকও করে। এর বাইরে যাঁরাই চিকিত্সার দায়িত্ব তুলে নিন না কেন, তা অবৈধ, বিপজ্জনক এবং অপরাধমূলক কাজ। কিন্তু এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগ যথেষ্ট সজাগ রয়েছে বলে মনে হয় না।
দেশে প্রায় ৫০ হাজার চিকিত্সক রয়েছেন। সরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৫৮৯টি, কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে প্রায় ১০ হাজার। বাংলাদেশে প্রতি ১০ হাজার রোগীর জন্য চিকিত্সক রয়েছেন মাত্র তিনজন। এ সংখ্যা অপ্রতুল। দেশের বেশির ভাগ চিকিত্সকই আর্থিক সুবিধার জন্য বড় শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেন। অন্যদিকে দেশের বাজারে চালু থাকা ২২ হাজার ওষুধের মান তদারকের প্রতিষ্ঠান মাত্র দুটি। সুতরাং জনবল ঘাটতি, প্রতিষ্ঠানের অভাব এবং চিকিত্সক ও স্বাস্থ্য প্রশাসনের গাফিলতির জন্যই অনেকে বিকল্প খুঁজতে গিয়ে অপচিকিত্সার শিকার হন। এর দায় কেবল কবিরাজদের দিলেই হবে না, অপচিকিত্সার উত্স ও চর্চা বন্ধ করতে সর্বস্তরে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার হাত প্রসারিত করতে হবে।
গত রোববারের প্রথম আলোয় প্রকাশিত ওই দুঃখজনক ঘটনাটি প্রমাণ করে, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের আধুনিক চিকিত্সকদের কাছে উপযুক্ত চিকিত্সা না পাওয়ায় অনেকেই বিকল্প হিসেবে কবিরাজি ও ঝাড়ফুঁকের মতো অবৈজ্ঞানিক চিকিত্সাপদ্ধতির আশ্রয় নেন। বিদ্যমান স্বাস্থ্য-ব্যবস্থার এ ঘাটতিকে পুঁজি করেই নানা কুসংস্কার ও অবৈজ্ঞানিক চিকিত্সাপদ্ধতি গ্রামের দরিদ্র রোগীদের অপচিকিত্সার শিকার করে। প্রায়ই তাঁদের হাতে রোগীর ভোগান্তি, এমনকি মৃত্যু পর্যন্তও ঘটতে দেখা যায়।
দেশে অ্যালোপ্যাথি চিকিত্সাপদ্ধতির বাইরে ক্ষুদ্র পরিসরে হোমিওপ্যাথি ও আয়ুর্বেদ চিকিত্সাও প্রচলিত রয়েছে। এ তিন ধরনের চিকিত্সাই চর্চা, গবেষণা ও শিক্ষাদানের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান এসবের তদারকও করে। এর বাইরে যাঁরাই চিকিত্সার দায়িত্ব তুলে নিন না কেন, তা অবৈধ, বিপজ্জনক এবং অপরাধমূলক কাজ। কিন্তু এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগ যথেষ্ট সজাগ রয়েছে বলে মনে হয় না।
দেশে প্রায় ৫০ হাজার চিকিত্সক রয়েছেন। সরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৫৮৯টি, কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে প্রায় ১০ হাজার। বাংলাদেশে প্রতি ১০ হাজার রোগীর জন্য চিকিত্সক রয়েছেন মাত্র তিনজন। এ সংখ্যা অপ্রতুল। দেশের বেশির ভাগ চিকিত্সকই আর্থিক সুবিধার জন্য বড় শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেন। অন্যদিকে দেশের বাজারে চালু থাকা ২২ হাজার ওষুধের মান তদারকের প্রতিষ্ঠান মাত্র দুটি। সুতরাং জনবল ঘাটতি, প্রতিষ্ঠানের অভাব এবং চিকিত্সক ও স্বাস্থ্য প্রশাসনের গাফিলতির জন্যই অনেকে বিকল্প খুঁজতে গিয়ে অপচিকিত্সার শিকার হন। এর দায় কেবল কবিরাজদের দিলেই হবে না, অপচিকিত্সার উত্স ও চর্চা বন্ধ করতে সর্বস্তরে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার হাত প্রসারিত করতে হবে।
No comments