বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা চুক্তি
তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে। আজ তিনি তাঁর দেশে ফিরে যাবেন। বাংলাদেশে তিন দিনের সফরে তিনি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গত সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার একযোগে কাজ করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন শ্রীলঙ্কার সফররত প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় অর্থনীতি, কৃষি, শিক্ষা এবং যোগাযোগ উন্নয়নে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো হচ্ছে বাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও শ্রীলঙ্কার রপ্তানি উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক, দুই দেশের মধ্যে সংস্কৃতি বিনিময়বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, শ্রীলঙ্কার টারশিয়ারি ও ভোকেশনাল এডুকেশন কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক, বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং শ্রীলঙ্কার মৎস্য ও অ্যাকুয়াটিক সম্পদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তি এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বার্ক) ও শ্রীলঙ্কার কৃষি গবেষণানীতিবিষয়ক কাউন্সিলের (এসএলসিএআরপি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসার প্রসার, এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও খাদ্যনিরাপত্তায় একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। আলোচনায় শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং খাদ্যনিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশের অস্থায়ী পদের বিষয়ে শ্রীলঙ্কা সরকার বিবেচনা করবে বলেও বৈঠকে আশ্বাস দেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সরাসরি বিমান ও নৌযোগাযোগের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শ্রীলঙ্কার বাজারে বাংলাদেশের চামড়াজাত দ্রব্য, মেলামাইন ও প্লাস্টিক সামগ্রী, নিটওয়্যার, সাবান ও সিরামিক সামগ্রীর শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, চামড়া ও ওষুধ শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
বৈঠকে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিজ সম্পদে দুই দেশের অবাধ সম্ভাবনার বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই খাতগুলোতে উন্নয়নে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আঞ্চলিক ঐক্যবদ্ধ অবস্থান তৈরিতে শ্রীলঙ্কার সহযোগিতা চান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সার্ক, বিমসটেক, আইওআর-এআরসি, কমনওয়েলথ, ন্যামসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা পরস্পরকে সহযোগিতা করে আসছে। বন্ধুপ্রতিম এই দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরো উন্নয়নে বাণিজ্য প্রসারের দিকটি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। একদিকে যেমন শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের পণ্যের জন্য বাজার সৃষ্টি হতে পারে, তেমনি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ এখন একটি উজ্জ্বল বিনিয়োগ সম্ভাবনার দেশ। সে হিসেবে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ নিতে পারে শ্রীলঙ্কা। তাতে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরো গভীর হবে বলে আমরা মনে করি। বর্তমান বিশ্বে বাণিজ্যিক কূটনৈতিক সম্পর্কের গুরুত্ব রয়েছে। সেদিক বিবেচনায় শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বিনিময়ের মধ্য দিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় অর্থনীতি, কৃষি, শিক্ষা এবং যোগাযোগ উন্নয়নে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো হচ্ছে বাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও শ্রীলঙ্কার রপ্তানি উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক, দুই দেশের মধ্যে সংস্কৃতি বিনিময়বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, শ্রীলঙ্কার টারশিয়ারি ও ভোকেশনাল এডুকেশন কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক, বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং শ্রীলঙ্কার মৎস্য ও অ্যাকুয়াটিক সম্পদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তি এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বার্ক) ও শ্রীলঙ্কার কৃষি গবেষণানীতিবিষয়ক কাউন্সিলের (এসএলসিএআরপি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসার প্রসার, এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও খাদ্যনিরাপত্তায় একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। আলোচনায় শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং খাদ্যনিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশের অস্থায়ী পদের বিষয়ে শ্রীলঙ্কা সরকার বিবেচনা করবে বলেও বৈঠকে আশ্বাস দেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সরাসরি বিমান ও নৌযোগাযোগের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শ্রীলঙ্কার বাজারে বাংলাদেশের চামড়াজাত দ্রব্য, মেলামাইন ও প্লাস্টিক সামগ্রী, নিটওয়্যার, সাবান ও সিরামিক সামগ্রীর শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, চামড়া ও ওষুধ শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
বৈঠকে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিজ সম্পদে দুই দেশের অবাধ সম্ভাবনার বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই খাতগুলোতে উন্নয়নে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আঞ্চলিক ঐক্যবদ্ধ অবস্থান তৈরিতে শ্রীলঙ্কার সহযোগিতা চান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সার্ক, বিমসটেক, আইওআর-এআরসি, কমনওয়েলথ, ন্যামসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা পরস্পরকে সহযোগিতা করে আসছে। বন্ধুপ্রতিম এই দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরো উন্নয়নে বাণিজ্য প্রসারের দিকটি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। একদিকে যেমন শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের পণ্যের জন্য বাজার সৃষ্টি হতে পারে, তেমনি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ এখন একটি উজ্জ্বল বিনিয়োগ সম্ভাবনার দেশ। সে হিসেবে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ নিতে পারে শ্রীলঙ্কা। তাতে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরো গভীর হবে বলে আমরা মনে করি। বর্তমান বিশ্বে বাণিজ্যিক কূটনৈতিক সম্পর্কের গুরুত্ব রয়েছে। সেদিক বিবেচনায় শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বিনিময়ের মধ্য দিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় হতে পারে।
No comments