বিএনপির ক্রান্তিকালের কাউন্সিল by আতাউস সামাদ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) বহু প্রতীক্ষিত কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল (মঙ্গলবার)। ক্ষমতাসীন মহাজোট তথা আওয়ামী লীগের তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে, বিএনপির এই সম্মেলনে তারা কোনো রকম বিঘ্ন ঘটাবে না। বিএনপি শিবিরেও কাউন্সিল সম্মেলন নিয়ে বেশ উত্সাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে।
দলের জাতীয় কাউন্সিলে প্রতিনিধি পাঠানো নিয়ে কিছু জায়গায় হাঙ্গামা-হুজ্জত হওয়ার দরুন অনেকেই মনে করছিলেন এই বুঝি সব পণ্ড হয়ে গেল। অবশ্য বিএনপির নেতারা বলছিলেন যে, এসব সমস্যা অতিক্রম করে সময় মতোই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে, কারণ দলের ঐক্য অটুট আছে। আজ তারা দলের এই অতি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সম্মেলনের দ্বারপ্রান্তে। সব কিছু ঠিকঠাক মতো চললে বিএনপির কাউন্সিল আগামীকাল শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা যায়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিএনপির ৭২টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৪৯টিতে কাউন্সিল নির্বাচন হয়েছে। যে ২৩টি সাংগঠনিক জেলায় কাউন্সিলর নির্বাচন করা যায়নি অথবা ভণ্ডুল হয়ে গেছে, সেগুলোর আহ্বায়ক কমিটির প্রধান ও প্রথম যুগ্ম প্রধান কাউন্সিলর হিসেবে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে যোগ দেবেন। যেসব সাংগঠনিক জেলায় কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে বা আহ্বায়ক কমিটি তৈরি করা নিয়ে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব ছিল সেগুলো মিটমাট করে দেয়ার জন্য কেন্দ্র থেকে কমিটি করে দেয়া হয়েছিল। এরা বেশ কয়েকটি জায়গায় বিরোধ মিটিয়ে দিতে পেরেছেন বলে দলীয় সূত্রে বলা হয়েছে। এই সূত্রগুলো আশা করছে, মঙ্গলবার কাউন্সিল অধিবেশনে এসব কলহ বা অন্তর্দ্বন্দ্বের প্রকট বা উত্কট বহিঃপ্রকাশ হবে না। অনেক শলা-পরামর্শ ও চেষ্টা-চরিত্র করেও বিএনপির ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক কমিটি তৈরি করা যায়নি। সে জন্য ঢাকা মহানগর বিএনপির থানা কমিটিগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা কাউন্সিলর হিসেবে যোগ দেবেন। ধারণা করা হচ্ছে, দলের চেয়ারপার্সনের হাতে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক কাউন্সিলর মনোনয়ন দেয়ার যে ক্ষমতা আছে তা প্রয়োগ করে বেগম জিয়া বিবদমান নেতাদের কাউন্সিলে জায়গা করে দেবেন। এভাবে আড়াই হাজারের কিছু বেশি কাউন্সিলর ও জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি থেকে ৪০ জন করে মোট ১২ হাজার ডেলিগেট বা প্রতিনিধি বিএনপি কাউন্সিলে সম্মিলিত হচ্ছেন। বিএনপির কাউন্সিল সম্মেলনের সংগঠকরা আশা করছেন, এভাবে দলের ১৫ থেকে ২০ হাজার সদস্য কাউন্সিলে উপস্থিত থাকবেন। এসব বেশ ভালো কথা।
তবে শুনতে খারাপ লাগলেও একথা সত্যি, দলের এর আগের কাউন্সিল হওয়ার পর কাল আরেকটি কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যে দীর্ঘ ষোল বছর পার হয়ে গেল সে জন্য কোনো জোরালো কারণ বা অজুহাত দেখাতে পারবেন না বিএনপি নেতারা। ১৯৯৩ সালে যখন বিএনপির গত কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় দলটি তখন ক্ষমতায় ছিল। অতঃপর ১৯৯৬ সালের জুন মাসের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেরে গিয়ে বিএনপি বিরোধী দলে পরিণত হয়।
যদি তর্কের খাতিরে কেউ বলেন যে, সেই সময় প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য বিএনপি কাউন্সিল করতে পারেনি, সে ক্ষেত্রেও কথা থেকে যাবে কাউন্সিল করতে যদি ক্ষমতায় থাকতে হয় তাহলে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিএনপি সরকার গঠন করে পাঁচ বছর দেশ শাসন করেছে, অথচ তখনও তো দলের কাউন্সিল হলো না। অতএব প্রশ্ন উঠবে, সেই ব্যর্থতা কেন ঘটল? তাছাড়া কোনো একটা দলের তার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নিয়মিতভাবে কাউন্সিল করার দায়িত্ব রয়েছে, ক্ষমতায় না থাকলে সেই কর্তব্য এড়িয়ে চলতে হবে সেটা কোনো যুক্তির কথা হতে পারে না। আদর্শ পরিস্থিতি হতো যদি দলের গঠনতন্ত্রে যখন কাউন্সিল হওয়ার কথা বলা আছে সেই মোতাবেক এই কেন্দ্রীয় সম্মেলনটি হতো। দলের বিভিন্ন পদ ও কমিটির নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কিন্তু বাংলাদেশে কোনো কিছুই আদর্শভাবে হয় না, রাজনৈতিক দলগুলোর বেলায়ও একই দুরবস্থা। সেক্ষেত্রে যদি প্রতি বছর কাউন্সিল হওয়ার কথা থাকে সেখানে অন্তত দুই বছরে একবার তা আয়োজন করা হতো, এমনকি তা না পারলে আদাজল খেয়ে তিন বছরে একবার করে হতো, তাহলেও মনকে কিছুটা প্রবোধ দেয়া যেত। বলা যেত, এরকম অনিয়ম এই শেষবারের মতো হলো, আগামীতে নিয়ম মানা হবে। অথবা প্রতি বছর কাউন্সিল করা সম্ভব না হলে বা বাস্তবসম্মত না হলে দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে দুই বছরে একবার কাউন্সিল করার বিধান করে নেয়া হবে। কিন্তু বিএনপির বেলায় ১৬ বছরের এবং আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে ১৩ বছরের মতো এত বিশাল সময়ের ব্যবধানে কাউন্সিল করা নিয়মের একটু বেশি ব্যতিক্রমই বটে। তবে এই হিসাব থেকে দুই বছর করে বাদ দিতে হবে, কারণ জেনারেল মইন উ আহমেদ ও সাবেক সিএসপি আমলা ফখরুদ্দীন আহমদের অসাংবিধানিক সরকার জরুরি অবস্থার জোরে রাজনৈতিক দলের সভা-সমিতি নিষিদ্ধ করে রেখেছিল। তবে ওই দুই বছর বাদ দিলেও দুটি সময়ের ব্যবধানই বড় থেকে যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশের বড় দুই দলের কাউন্সিল করতে দেরি করা ছাড়াও এই বিষয়ে অতৃপ্তির আরেকটা কারণ আছে। সেটা হলো আওয়ামী লীগের যে কাউন্সিলটা হলো এবং বিএনপির যে কাউন্সিলটা হতে যাচ্ছে—দুটোই হলো নির্বাচন কমিশনে বিধিবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনে। কারণ বিধিবদ্ধ হতে হলে দলের গঠনতন্ত্রকে সংশোধিত জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে। আর গঠনতন্ত্র সংশোধন দলের কাউন্সিলে পাস হতে হবে এবং সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়ার শেষ তারিখ আগামী ২৫ জানুয়ারি। তাই এক অর্থে এসব কাউন্সিল হচ্ছে বাধ্যবাধকতার সম্মেলন। তবু যে কোনো দলের পক্ষে একটা জাতীয় সম্মেলন করা চাট্টিখানি কথা নয়। আর বড় দলের বড় সম্মেলন মানেই বিশাল আয়োজন। তবে বিশাল আয়োজন করতে পারাটাই সাফল্য এবং গুরুত্বের একমাত্র মাপকাঠি হতে পারে না। তেমনটা হওয়া উচিতও নয়।
বিএনপির আগামীকালের কাউন্সিলের বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য ও বিশেষ কয়েকটি কারণে যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। প্রথমত, বিএনপির জন্য এই কাউন্সিল বড় দল হিসেবে ঘুরে দাঁড়ানোর সম্মেলন। জরুরি আইনের সরকারের দু’বছরের আমলে ওই অসাংবিধানিক বা অঘোষিত সামরিক সরকারের রোষানলে পড়ে প্রায় পুরো দলটি তছনছ হয়ে যায়। বিএনপি প্রধান বেগম জিয়া, তার জ্যেষ্ঠ ছেলে দলের অন্যতম সংগঠক তারেক রহমান, দলের গুরুত্বপূর্ণ বহু নেতা, বিশেষ করে যারা মন্ত্রী ছিলেন এবং আঞ্চলিকভাবে প্রভাবশালী জাতীয় সংসদ সদস্যদের দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার এবং রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। তাদের পরিবারগুলো থাকে বিপন্ন অবস্থায়, তাদের ডিজিএফআই-এর একটি শাখা দ্বারা প্রভাবিত গণমাধ্যমের ‘বিচার’ দিয়ে সামাজিকভাবে হেয় করা হয়। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিএনপি নেতাদের অনেকে ওই অসাংবিধানিক সরকার দ্বারা নানাভাবে নির্যাতিত হন। তার ওপর চাপ ও প্রলোভনের মাধ্যমে দলটিকে ভাঙার ব্যবস্থা করা হয়। একাজে নির্বাচন কমিশন প্রকাশ্যে ও সক্রিয়ভাবে ওই সরকারকে মদত দেয়। বিএনপির জন্য এটা অবশ্যই ছিল একটা মহাদুর্যোগ। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে পরাজয় ছিল আরেকটি দুর্যোগ। মাত্র ত্রিশটি আসন সম্বল করে জাতীয় সংসদে দুর্বল অবস্থায় বিএনপি, সেনাপতি-সিএসপি চক্রের সমন্বয়ে গঠিত তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জেল-জুলুম ও মাইনাস ফর্মুলার হামলায় হতোদ্যম এবং এখন মাত্র ত্রিশটি আসন নিয়ে জাতীয় সংসদে দুর্বল অবস্থায় পড়ে যাওয়া বিএনপির ওপর যেন যুগযুগের পুঞ্জীভূত প্রতিশোধ স্পৃহা ও জিঘাংসা নিয়ে হামলে পড়েছে নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের নব্য ক্যাডার বাহিনী। এরা তাদের এসব দৈহিক নির্যাতন প্রক্রিয়ায় দিনের পর দিন ফৌজদারি আইনে দণ্ডনীয় এমন সব অপরাধ করে যে, তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুললিত কণ্ঠনিঃসৃত শান্তি ও সহনশীলতার আহ্বান অচিরেই বাতকি বাতে পরিণত হয়। এসব সশস্ত্র ও হিংস্র আক্রমণ, যার মধ্যে ঘর-বাড়িতে আগুন দেয়া ও সাংবাদিক নির্যাতন অন্তর্ভুক্ত, বহু বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিজ গৃহ ও এলাকা থেকে পালাতে বাধ্য করে। তবে লক্ষণীয় হলো, প্রায় তিন বছর ধরে চক্রান্ত ও নির্যাতনের শিকার হলেও গুটিকয়েক ছাড়া বিএনপির নেতা ও কর্মীরা দলছুট হননি। অথবা ১৯৮৩ সালের মতো পাল্টা বিএনপি (যেটি জেনারেল এরশাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল) দাঁড়িয়ে যায়নি জেনারেল মইন আমলে এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সামরিক গোয়েন্দাদের সর্বাত্মক চেষ্টা এবং তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন হাত মেলানো সত্ত্বেও। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, দেশের প্রাচীনতম এবং বর্তমানে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগও নানান টানাপোড়ন ও প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে ঐক্যবদ্ধ থাকার উদাহরণ প্রতিষ্ঠা করেছে কয়েকবার এবং সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। অপেক্ষাকৃত নবীন বিএনপিও এবার একই ধরনের উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। আগামীকালের কাউন্সিল বিএনপির নির্যাতিত ও বিপর্যস্ত নেতা ও কর্মীদের প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সুসংহত হওয়ার একটা বড় সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে। এ সুযোগ তারা কতখানি কাজে লাগাতে পারবেন তা নির্ভর করছে দলের নেতাদের বিচক্ষণতা ও বিজ্ঞতার ওপর। তবে এটা স্পষ্ট যে, বিএনপির দিক থেকে সংগঠনের নিজ প্রয়োজনে এই কাউন্সিল করতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের জনসাধারণ গভীর আগ্রহ নিয়ে বিএনপির এই কাউন্সিল পর্যবেক্ষণ করবে। আমরা যে যাই বলি অথবা যত সমালোচনাই করি না কেন প্রকৃত অবস্থা হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতি চলে দুটি দলকে কেন্দ্র করে এবং ভোটারদের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব দুটো দলেরই। আর বলাই বাহুল্য, এই দুটো দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা সংক্ষেপে বিএনপি। গত নির্বাচনের ‘বিস্ময়কর ফলাফল’ এই পরিস্থিতি পাল্টাতে পারেনি। ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি যখন নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় গিয়েছে আওয়ামী লীগ তখন ছিল প্রধান বিরোধী দল। এবার আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় গেছে আর বিএনপি হয়েছে প্রধান বিরোধী দল, যেমন হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। আবার যখন নির্বাচন হবে তখন এই দুই দলেরই কোনো একটি ক্ষমতায় যাবে এবং অপরটি থাকবে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায়—এটাই দেশের বেশিরভাগ মানুষের ধারণা (যদিও জেনারেল এরশাদ পরবর্তী নির্বাচনে তার দলকে ক্ষমতায় নিতে চান)। তাই বিএনপির ভূমিকা এখন যুগপত্ দুটো—প্রথমত, বর্তমানে একটি কার্যকর বিরোধী দল হিসাবে, দ্বিতীয়ত, বিকল্প বা আগামীর সরকার পরিচালনাকারী দল হিসাবে। অর্থাত্ বিএনপিকে একদিক থেকে ক্ষমতাসীন মহাজোট তথা আওয়ামী লীগের ভুল কাজকর্মের সমালোচনা করতে হবে এবং শাসকদের অন্যায়, ব্যাপক দুর্নীতি ও নানান অপরাধ প্রতিরোধ করার লাগাতার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, আবার অন্যদিকে তারা ভবিষ্যতে সরকারের দায়িত্ব পেলে কীরকমভাবে দেশ চালাবে জনগণের সামনে তাদেরকে সেটা স্পষ্ট করতে হবে। তদুপরি তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার কর্তব্যটিও তাদের ঘাড়ে চেপে রয়েছে নিজেদের অতীত কর্মকাণ্ডের ফলে। এই বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং অপনীতি ও দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার সক্ষমতার প্রশ্নটিও। জনগণ দেখবে বিএনপির কাউন্সিলে দলটি এসব বিষয়ে কী বলে এবং কী করে। একইসঙ্গে অতীব গুরুত্বপূর্ণ হলো দলটির কাঠামো এবং সাংগঠনিক প্রক্রিয়াগুলোর গণতন্ত্রায়ন করা। আশা করা যায়, জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মানতে গিয়ে কিছুটা, আর বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির চাপে কিছুটা, দলের চেয়ারপার্সন বেগম জিয়ার প্রতিশ্রুত নতুন চেহারার বিএনপি পুরনো গোত্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি (ট্রাইবাল কালচার) ও গোষ্ঠীভিত্তিক আচরণের অভ্যাস থেকে কিছুটা হলেও বেরিয়ে আসার প্রয়াস পাবে। মোদ্দা কথা, বিএনপির জন্য এখন চলছে ক্রান্তিকাল। বিএনপির এই কাউন্সিল সেজন্যই দলের ক্রান্তিকালের কাউন্সিল। জনগণ ভালোভাবেই পর্যবেক্ষণ করবে বিএনপি এই পরীক্ষায় কেমন ফল করে।
লেখক : সম্পাদক, সাপ্তাহিক এখন

No comments

Powered by Blogger.