মিরপুরে ট্রাক নিয়ে এসে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি
রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশনের একটি স্বর্ণের দোকানে গতকাল বুধবার ভোর রাতে ডাকাতি হয়েছে। ট্রাক নিয়ে আসা ডাকাতেরা নিরাপত্তা-কর্মীদের বেঁধে ওই দোকান থেকে ১৬১ ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে গেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভোররাত চারটার দিকে ১৩ নম্বর সেকশনের সি ব্লকের জনকল্যাণ সমিতি নামের বিপণির সামনে একটি ট্রাক নিয়ে ১০-১২ জন ডাকাত আসে।
তারা রাম দা ও ছোরার মুখে কর্তব্যরত নিরাপত্তা-কর্মী শাহ আলী, আবদুল খালেক ও আবদুল লতিফের হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর চার-পাঁচজন ডাকাত সাটারের তালা ভেঙে মমতা তৈয়বা জুয়েলার্সে ঢুকে স্বর্ণালংকার লুট করে। ডাকাতেরা ওই বিপণি থেকে বের হওয়ার সময় তিন পথচারী সামনে পড়লে তাদেরও বেঁধে রেখে তারা ট্রাকে করে চলে যায়। ঘটনাটি ঘটে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টায়। পরে নিরাপত্তা-কর্মীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাঁদের ও তিন পথচারীর হাত-পায়ের বাঁধন খুলে দেন। নিরাপত্তা-কর্মীরা কাছেই ওই দোকানের মালিক মামুনুর রহমান চৌধুরীর বাসায় গিয়ে ঘটনাটি জানান।
সকালে পুলিশ, র্যাব ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অপরাধ চিহ্নিতকরণ দল ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দড়ি, একটি হাইড্রোলিক কার্টার ও তিনটি ভাঙা তালা জব্দ করেছে। নিরাপত্তা-কর্মী শাহ আলী, খালেক ও লতিফকে আটক করে কাফরুল থানায় নেওয়া হয়।
মামুনুর রহমানের ভাই মাসুদুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়ে মামুনুর রহমান দোকানে এসে দেখেন স্বর্ণালংকার রাখার ট্রে ও বাক্সগুলো মেঝেতে পড়ে আছে। এরপর তিনি ফোনে কাফরুল থানায় জানান।
নিরাপত্তা-কর্মী শাহ আলী প্রথম আলোকে জানান, ওই বিপণির পাশের কাঁচাবাজারে প্রতিদিন ভোররাতে ট্রাকে করে শাকসবজি আসে। তাই তাঁরা ট্রাকটিকে সবজির ট্রাক মনে করেছিলেন। তাঁরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্রাক থেকে নামা ১০-১২ জন ডাকাত অস্ত্রের মুখে তাঁদের হাত-পা বেঁধে ফেলে। তিনি বলেন, ডাকাতেরা মুখোশ পরা ছিল।
দোকানের মালিক ডাকাতির ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ ডাকাতকে আসামি করে মামলা করেছেন। এজাহারে লুণ্ঠিত স্বর্ণলংকারের মূল্য উল্লেখ করা হয় ৮৮ লাখ টাকা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সারা রাত সেখানে লোক সমাগম হয়। তাই বাইরে থেকে এসে কারোর পক্ষে সেখানে ডাকাতি করা সম্ভব নয়। পূর্বপরিচিতরা পরিকল্পিতভাবে এই ডাকাতি করেছে। তদন্তে তা উদ্ঘাটিত হবে।
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ বলেন, আটক তিন নিরাপত্তা-কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার উদ্ধার এবং ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
১২ জানুয়ারি পল্টন থানার অদূরে পল্টন সুপার মার্কেটের একটি দোকান থেকে প্রায় এক হাজার ২৫০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি হয়।
সকালে পুলিশ, র্যাব ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অপরাধ চিহ্নিতকরণ দল ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দড়ি, একটি হাইড্রোলিক কার্টার ও তিনটি ভাঙা তালা জব্দ করেছে। নিরাপত্তা-কর্মী শাহ আলী, খালেক ও লতিফকে আটক করে কাফরুল থানায় নেওয়া হয়।
মামুনুর রহমানের ভাই মাসুদুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়ে মামুনুর রহমান দোকানে এসে দেখেন স্বর্ণালংকার রাখার ট্রে ও বাক্সগুলো মেঝেতে পড়ে আছে। এরপর তিনি ফোনে কাফরুল থানায় জানান।
নিরাপত্তা-কর্মী শাহ আলী প্রথম আলোকে জানান, ওই বিপণির পাশের কাঁচাবাজারে প্রতিদিন ভোররাতে ট্রাকে করে শাকসবজি আসে। তাই তাঁরা ট্রাকটিকে সবজির ট্রাক মনে করেছিলেন। তাঁরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্রাক থেকে নামা ১০-১২ জন ডাকাত অস্ত্রের মুখে তাঁদের হাত-পা বেঁধে ফেলে। তিনি বলেন, ডাকাতেরা মুখোশ পরা ছিল।
দোকানের মালিক ডাকাতির ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ ডাকাতকে আসামি করে মামলা করেছেন। এজাহারে লুণ্ঠিত স্বর্ণলংকারের মূল্য উল্লেখ করা হয় ৮৮ লাখ টাকা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সারা রাত সেখানে লোক সমাগম হয়। তাই বাইরে থেকে এসে কারোর পক্ষে সেখানে ডাকাতি করা সম্ভব নয়। পূর্বপরিচিতরা পরিকল্পিতভাবে এই ডাকাতি করেছে। তদন্তে তা উদ্ঘাটিত হবে।
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ বলেন, আটক তিন নিরাপত্তা-কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার উদ্ধার এবং ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
১২ জানুয়ারি পল্টন থানার অদূরে পল্টন সুপার মার্কেটের একটি দোকান থেকে প্রায় এক হাজার ২৫০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি হয়।
No comments