স্থানীয় সরকারব্যবস্থা শক্তিশালী হোক-উপজেলা পরিষদ আইন
গত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১১। বিরোধীদলীয় সাংসদেরা অধিবেশনে অনুপস্থিত ছিলেন; বিলটি উত্থাপনের পর তা নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি; তাই উত্থাপনের পাঁচ মিনিটের মধ্যে তা পাস হয়ে যায়। কোনো আইন পাসের অভিপ্রেত-প্রক্রিয়া এটি নয়। বিশেষত, এ আইনটি নিয়ে যেখানে নানা রকমের মতামত রয়েছে, সেসব মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে অধিবেশনে উপস্থিত সদস্যরা প্রস্তাবিত বিলটি নিয়ে আলোচনা তুলতে পারতেন।
এসব নিয়ে যদি কিছু আলোচনা ও বাগিবতণ্ডা হতো, তাহলে হয়তো অধিকতর ভালো আইন আমরা পেতাম।
উপজেলা স্থানীয় সরকারব্যবস্থার অতি গুরুত্বপূর্ণ স্তর, যার সঙ্গে তৃণমূলের মানুষের যোগ রয়েছে। অস্বীকার করার উপায় নেই, উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা থাকা উচিত। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে জোরালো মত রয়েছে যে, উপজেলা পরিষদের ওপর সাংসদের কর্তৃত্ব থাকা উচিত নয়। সে জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে এবং নাগরিক সমাজ থেকেও এমন দাবি উচ্চারিত হয়েছে যে, সংশোধিত এই আইনে উপজেলা পরিষদের সঙ্গে সাংসদদের সংশ্লিষ্টতা বাদ দেওয়া হোক। এ দাবি পূরণ হয়নি। সংশোধিত আইনেও সাংসদেরা উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা হিসেবে বহাল থাকছেন। তবে সংশোধিত আইনে উপজেলা চেয়ারম্যানের হাতেই নির্বাহী ক্ষমতা ন্যস্ত করা হয়েছে, যা ইতিবাচক। এখন ইউএনও হবেন উপজেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা। মোটের ওপর, এতে আশা করা যায়, আমলাতন্ত্রের ওপর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সবার সদিচ্ছা থাকলে কার্যকর ও গণকল্যাণমুখী স্থানীয় সরকারব্যবস্থা গড়ে তোলা অসম্ভব নয়।
কিন্তু শুধু আইনই যথেষ্ট নয়, দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিকতারও পরিবর্তন প্রয়োজন। প্রতিটি পক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করার সদিচ্ছা অর্জন করতে হবে। উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা হিসেবে সাংসদদের যেটুকু কর্তব্য, তাঁরা যেন সেই সীমার মধ্যেই থাকেন, বাড়তি প্রভাব খাটানোর চেষ্টা না করেন। ইউএনও যেন নিজের ক্ষমতা খর্ব হলো ভেবে নেতিবাচক মানসিকতায় আক্রান্ত না হন। উপজেলা চেয়ারম্যানের যেন সব সময় স্মরণ থাকে যে জনগণ তাঁকে নির্বাচিত করেছে, তাদের কাছে তাঁর জবাবদিহির প্রশ্ন রয়েছে। তাই তাঁকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করে জনগণের কল্যাণ সাধন করতে হবে।
উপজেলা স্থানীয় সরকারব্যবস্থার অতি গুরুত্বপূর্ণ স্তর, যার সঙ্গে তৃণমূলের মানুষের যোগ রয়েছে। অস্বীকার করার উপায় নেই, উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা থাকা উচিত। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে জোরালো মত রয়েছে যে, উপজেলা পরিষদের ওপর সাংসদের কর্তৃত্ব থাকা উচিত নয়। সে জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে এবং নাগরিক সমাজ থেকেও এমন দাবি উচ্চারিত হয়েছে যে, সংশোধিত এই আইনে উপজেলা পরিষদের সঙ্গে সাংসদদের সংশ্লিষ্টতা বাদ দেওয়া হোক। এ দাবি পূরণ হয়নি। সংশোধিত আইনেও সাংসদেরা উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা হিসেবে বহাল থাকছেন। তবে সংশোধিত আইনে উপজেলা চেয়ারম্যানের হাতেই নির্বাহী ক্ষমতা ন্যস্ত করা হয়েছে, যা ইতিবাচক। এখন ইউএনও হবেন উপজেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা। মোটের ওপর, এতে আশা করা যায়, আমলাতন্ত্রের ওপর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সবার সদিচ্ছা থাকলে কার্যকর ও গণকল্যাণমুখী স্থানীয় সরকারব্যবস্থা গড়ে তোলা অসম্ভব নয়।
কিন্তু শুধু আইনই যথেষ্ট নয়, দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিকতারও পরিবর্তন প্রয়োজন। প্রতিটি পক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করার সদিচ্ছা অর্জন করতে হবে। উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা হিসেবে সাংসদদের যেটুকু কর্তব্য, তাঁরা যেন সেই সীমার মধ্যেই থাকেন, বাড়তি প্রভাব খাটানোর চেষ্টা না করেন। ইউএনও যেন নিজের ক্ষমতা খর্ব হলো ভেবে নেতিবাচক মানসিকতায় আক্রান্ত না হন। উপজেলা চেয়ারম্যানের যেন সব সময় স্মরণ থাকে যে জনগণ তাঁকে নির্বাচিত করেছে, তাদের কাছে তাঁর জবাবদিহির প্রশ্ন রয়েছে। তাই তাঁকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করে জনগণের কল্যাণ সাধন করতে হবে।
No comments