অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন-অবৈধ ভিওআইপি
অবৈধ যেকোনো কাজ ঠেকানোর দায়িত্ব সরকারের; কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানই যদি অবৈধ কাজে জড়িয়ে পড়ে, তখন তা ঠেকাবে কে? অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসা করছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল ও টেলিটক। বিষয়টি শনাক্তও করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
কিন্তু ব্যবস্থা বলতে যা নেওয়া হয়েছে তা হচ্ছে একটি চিঠি! সরকারি প্রতিষ্ঠানের অবৈধ কাজের বিষয়টি কি তবে জায়েজ? বিটিসিএলের অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে যেখানে খোদ টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে, সেখানে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ শুধু একটি চিঠি দিয়ে দায়িত্ব শেস করবে কেন?
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ভিওআইপির সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু অবৈধভাবে যে ভিওআইপি ব্যবসা হচ্ছে এবং সেখানে যে বিটিসিএল ও টেলিটক জড়িত তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। টেলিযোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে এটা বন্ধ করতে না পারার দায়টি কি তিনি অস্বীকার করতে পারবেন? বিটিসিএল কল ডিটেইল রিপোর্ট যন্ত্র ব্যবহার না করায় সেটি নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে ল্যান্ডফোনের মাধ্যমে দিনে কত সময় বৈদেশিক কল আদান-প্রদান হচ্ছে তার হিসাবও রাখা সম্ভব হচ্ছে না। হিসাব না থাকলে যে নয়-ছয় করতে সুবিধা বেশি, এটা কে না জানে!
সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে অবৈধভাবে ভিওআইপির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নাম এসেছে। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে তাঁদের অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করে যে প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে অবৈধ ভিওআইপির সঙ্গে একটি শক্তিশালী চক্র জড়িত। কার্যত সরকার ভিওআইপির ব্যাপারে যে নীতি গ্রহণ করেছে, তা যেন অনেকটাই দুর্নীতি ও লুটপাটের সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে উচ্চ লাইসেন্স ফির বিপরীতে সীমিত পর্যায়ে যে ভিওআইপির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তা অবৈধ ভিওআইপিকে উ ৎ সাহিত করছে। ভিওআইপি আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদানের এমন একটি প্রযুক্তি, যা নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ নয়। এটা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা ও উচ্চ লাইসেন্স ফি আরোপের কারণে অবৈধভাবে ভিওআইপি চলছে, যা বিভিন্ন মহলকে দুর্নীতি ও লুটপাটের সুযোগ করে দিচ্ছে।
আমরা মনে করি, এটা এমনভাবে উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত, যেখানে অবৈধ পথে ভিওআইপি করার সুযোগ থাকবে না। এখন অবৈধ পথে ভিওআইপি হওয়ার কারণে সরকার যে ক্ষতির শিকার হচ্ছে, লাইসেন্স ফি কমিয়ে ও কঠোরতা শিথিল করে তা সামাল দেওয়া সম্ভব। চূড়ান্ত বিচারে এতে সরকার লাভবান হবে এবং অবৈধ পথে বিভিন্ন গোষ্ঠীর অর্থ কামাইয়ের পথ বন্ধ হবে। বর্তমানে অবৈধভাবে ভিওআইপির সঙ্গে জড়িত হিসেবে যেসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নাম এসেছে, তাদের ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই যেহেতু অভিযোগ রয়েছে, তাই সত্য উদ্ঘাটনে প্রয়োজন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত। সরকার এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেয়, আমরা তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ভিওআইপির সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু অবৈধভাবে যে ভিওআইপি ব্যবসা হচ্ছে এবং সেখানে যে বিটিসিএল ও টেলিটক জড়িত তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। টেলিযোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে এটা বন্ধ করতে না পারার দায়টি কি তিনি অস্বীকার করতে পারবেন? বিটিসিএল কল ডিটেইল রিপোর্ট যন্ত্র ব্যবহার না করায় সেটি নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে ল্যান্ডফোনের মাধ্যমে দিনে কত সময় বৈদেশিক কল আদান-প্রদান হচ্ছে তার হিসাবও রাখা সম্ভব হচ্ছে না। হিসাব না থাকলে যে নয়-ছয় করতে সুবিধা বেশি, এটা কে না জানে!
সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে অবৈধভাবে ভিওআইপির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নাম এসেছে। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে তাঁদের অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করে যে প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে অবৈধ ভিওআইপির সঙ্গে একটি শক্তিশালী চক্র জড়িত। কার্যত সরকার ভিওআইপির ব্যাপারে যে নীতি গ্রহণ করেছে, তা যেন অনেকটাই দুর্নীতি ও লুটপাটের সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে উচ্চ লাইসেন্স ফির বিপরীতে সীমিত পর্যায়ে যে ভিওআইপির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তা অবৈধ ভিওআইপিকে উ ৎ সাহিত করছে। ভিওআইপি আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদানের এমন একটি প্রযুক্তি, যা নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ নয়। এটা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা ও উচ্চ লাইসেন্স ফি আরোপের কারণে অবৈধভাবে ভিওআইপি চলছে, যা বিভিন্ন মহলকে দুর্নীতি ও লুটপাটের সুযোগ করে দিচ্ছে।
আমরা মনে করি, এটা এমনভাবে উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত, যেখানে অবৈধ পথে ভিওআইপি করার সুযোগ থাকবে না। এখন অবৈধ পথে ভিওআইপি হওয়ার কারণে সরকার যে ক্ষতির শিকার হচ্ছে, লাইসেন্স ফি কমিয়ে ও কঠোরতা শিথিল করে তা সামাল দেওয়া সম্ভব। চূড়ান্ত বিচারে এতে সরকার লাভবান হবে এবং অবৈধ পথে বিভিন্ন গোষ্ঠীর অর্থ কামাইয়ের পথ বন্ধ হবে। বর্তমানে অবৈধভাবে ভিওআইপির সঙ্গে জড়িত হিসেবে যেসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নাম এসেছে, তাদের ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই যেহেতু অভিযোগ রয়েছে, তাই সত্য উদ্ঘাটনে প্রয়োজন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত। সরকার এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেয়, আমরা তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
No comments