হোটেলটি পুরোটাই বরফের

টি মানসম্পন্ন অন্য সব সাধারণ হোটেলের মতোই। সেখানে আরামদায়ক বিছানা আছে, আছে মিনি বার, গোসলের পোশাক, চপ্পল। কেবল কক্ষের তাপমাত্রাই ব্যতিক্রম। হিমাঙ্কের সামান্য ওপরে থাকে তাপমাত্রা। নেদারল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জোলে শহরে গড়ে তোলা হয়েছে সেই হোটেল। এর বিশেষত্ব হচ্ছে, পুরোটাই বরফের তৈরি। বিশেষ ব্যবস্থায় হোটেলটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তিন কক্ষবিশিষ্ট হোটেলটির তাপমাত্রা ছয় ডিগ্রি থেকে আট ডিগ্রি
সেলসিয়াস। কোনো অতিথি এলে তাঁদের উদ্দেশে হোটেলটির ব্যবস্থাপক আনেট ফন লিমবার্গ বলেন, ‘বিছানায় যাওয়ার আগে আপনি গোসল করলে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার চুল শুকনো আছে কি না, নইলে তা ঠান্ডায় জমে যাবে। খুব বেশি অ্যালকোহল পান করবেন না। ভারী খাবারও খাবেন না। তা ছাড়া কক্ষে ঢোকার আগে অবশ্যই পোশাক পাল্টে নিন।’
বরফ হোটেলের অভিজ্ঞতা নিতে সেখানে একটি রাত কাটাতে যান লুক ফন হিস্ট ও মায়া ঝাং। ফন হিস্ট বলেন, ‘না, আমি ভয় পাচ্ছি না, তবে কিছুটা স্নায়ুর চাপে ভুগছি। অভিজ্ঞতার জন্য এখানে এসেছি।’
জোলে শহরে এখন বরফের ভাস্কর্য উৎসব চলছে। উৎসব উপলক্ষে হোটেলটি তৈরি করা হয়েছে। এটি পরিচালনা করছে স্থানীয় এক হোটেল কর্তৃপক্ষ।
ফন লিমবার্গ বলেন, ইউরোপে এই প্রথম এত দক্ষিণে বরফ হোটেল তৈরি করা হয়েছে। তবে ধারণাটি এসেছে মূলত উত্তর থেকে। ২০১১-১২ মৌসুমের জন্য ৪৭ কক্ষবিশিষ্ট সবচেয়ে বড় বরফের হোটেলটি তৈরি করা হয়েছে ইউরোপের উত্তরাঞ্চলীয় দেশ সুইডেনের ল্যাপল্যান্ডে।
লিমবার্গ বলেন, কানাডা বা ল্যাপল্যান্ডের মতো এ হোটেল সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে তৈরি করা হয়নি। সেখানে অতিথিদের মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পরিবেশে থাকতে হয়। তিনি আরও বলেন, হোটেলটির তিনটি কক্ষ তৈরি করতে ১০ দিন সময় লেগেছে। এর মূল আকর্ষণ বিছানা। বিছানার নিচে নানা রঙের বাতি লাগানোয় এগুলো গোলাপি, নীল ও সবুজ রং ধারণ করে।
আজ মঙ্গলবার থেকে হোটেলটি চালু হয়েছে। চলবে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। দুটি নাশতাসহ সেখানে এক রাত কাটাতে খরচ পড়ে ১৯৯ ইউরো (২৫৯ ডলার)। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.