মূল্যায়ন প্রতিবেদন-বিশ্বব্যাংকের বনায়ন প্রকল্পে দারিদ্র্য ঘোচেনি
বনভূমি সংরক্ষণ ও প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের দারিদ্র্য নিরসনে বিশ্বব্যাংকের নেওয়া বনায়ন প্রকল্প ব্যর্থ হয়েছে। সংস্থাটির নিজস্ব এক পর্যালোচনা থেকেই বেরিয়ে এসেছে এ তথ্য। বিশ্বব্যাংক গত ১০ বছরে বিশ্বজুড়ে বনায়ন খাতে ৪১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে।
এই বিনিয়োগের মূল লক্ষ্য ছিল দারিদ্র্য নিরসন, বন সংরক্ষণ, জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলা এবং বনায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্থানীয় সম্প্রদায়কে সুবিধা প্রদান। পর্যালোচনা অনুযায়ী লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বব্যাংকের উদ্যোগ খুব একটা সফল হয়নি।
এ প্রকল্প নিয়ে তৈরি ২০২ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের হাতে পড়েছে। বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও সংস্থার বাইরের পরামর্শকদের নিয়ে গঠিত স্বতন্ত্র মূল্যায়ন গ্রুপ (আইইজি) প্রতিবেদনটির সমন্বয় করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের দুই কোটি ৪০ লাখ হেক্টর বনভূমির সুরক্ষা এবং আদিবাসীদের বসবাসকারী ভূমি হিসেবে সাড়ে চার কোটি হেক্টর বনভূমি চিহ্নিত করার কাজে তহবিলের জোগান দেয় বিশ্বব্যাংক। তবে সামাজিক ও পরিবেশগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
৭৫টি দেশের ৩৪৫টি বনায়ন প্রকল্পে তহবিলের জোগান দেয় বিশ্বব্যাংক। ২০১১ সালের জুলাইয়ে ১০ বছরের এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। আইইজি প্যানেল বেশির ভাগ প্রকল্প পরিদর্শন করে সেখানকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে। প্রতিবেদনে শিল্পের জন্য গাছ কাটাকে সমর্থন, সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্থানীয় সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত না করা, প্রত্যন্ত অঞ্চলের দারিদ্র্যের প্রতি খুব একটা মনোযোগ না দেওয়ার জন্য বিশ্বব্যাংকের কড়া সমালোচনা করা হয়।
আইইজির তৈরি এ প্রতিবেদন ব্রিটেনসহ বিশ্বব্যাংকের প্রধান দাতা দেশগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি এ প্রতিবেদনের ওপর আলোচনা হবে। আইইজি জানিয়েছে, পরিবেশগতভাবে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে বেশির ভাগ সময়ই ব্যর্থ হয় বনায়ন প্রকল্পগুলো। ৩৭টি সংরক্ষিত এলাকায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কাজের সুযোগ তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে মাত্র দুটি প্রকল্পে সফল হয় তারা। এই প্রকল্পগুলোর তিন-চতুর্থাংশেই লোকজনকে জোর করে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
বিশ্বব্যাংক দরিদ্র দেশগুলোর সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রিত বনভূমিগুলোতে কাজ করেছে। ফলে বাকি বনভূমিগুলোর ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষ তাদের প্রকল্পের আওতার বাইরে থেকে গেছে। প্রতিবেদনে একে অন্যতম সংকট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বিশ্বব্যাংকের সভাপতি ও পরিচালকদের দেওয়া এক বার্তায় আইইজির মহাপরিচালক ক্যারোলিন হেইডার বলেন, 'দারিদ্র্য নিরসনে এ প্রকল্প পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। বনজ সম্পদ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয়দের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসন এবং পরিবেশগত লক্ষ্য অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য আনা সম্ভব। প্রকল্পে এ ধরনের উদ্যোগের অভাব ছিল।'
বেসরকারি সংস্থাগুলোর অভিযোগ, বিশ্বব্যাংক অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেয়নি। ২০০১ ও ১৯৯১ সালের তৈরি একই ধরনের প্রতিবেদনেও বিশ্বব্যাংককে বনভূমি উজাড়ের জন্য দায়ী করা হয়। ওই প্রতিবেদনগুলোতেও জলবায়ু পরিবর্তন ও দারিদ্র্য নিরসনে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে। জার্মানির পরিবেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক বেসরকারি সংস্থা উরগেওয়ার্ল্ড-এর জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী কোরিননা হোর্তা বলেন, দারিদ্র্য নিরসন ও বন সংরক্ষণে ভূমিকা রাখতে চাইলে বিশ্বব্যাংককে অবশ্যই কাজের ধরন পাল্টাতে হবে।
এ প্রকল্প নিয়ে তৈরি ২০২ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের হাতে পড়েছে। বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও সংস্থার বাইরের পরামর্শকদের নিয়ে গঠিত স্বতন্ত্র মূল্যায়ন গ্রুপ (আইইজি) প্রতিবেদনটির সমন্বয় করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের দুই কোটি ৪০ লাখ হেক্টর বনভূমির সুরক্ষা এবং আদিবাসীদের বসবাসকারী ভূমি হিসেবে সাড়ে চার কোটি হেক্টর বনভূমি চিহ্নিত করার কাজে তহবিলের জোগান দেয় বিশ্বব্যাংক। তবে সামাজিক ও পরিবেশগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
৭৫টি দেশের ৩৪৫টি বনায়ন প্রকল্পে তহবিলের জোগান দেয় বিশ্বব্যাংক। ২০১১ সালের জুলাইয়ে ১০ বছরের এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। আইইজি প্যানেল বেশির ভাগ প্রকল্প পরিদর্শন করে সেখানকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে। প্রতিবেদনে শিল্পের জন্য গাছ কাটাকে সমর্থন, সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্থানীয় সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত না করা, প্রত্যন্ত অঞ্চলের দারিদ্র্যের প্রতি খুব একটা মনোযোগ না দেওয়ার জন্য বিশ্বব্যাংকের কড়া সমালোচনা করা হয়।
আইইজির তৈরি এ প্রতিবেদন ব্রিটেনসহ বিশ্বব্যাংকের প্রধান দাতা দেশগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি এ প্রতিবেদনের ওপর আলোচনা হবে। আইইজি জানিয়েছে, পরিবেশগতভাবে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে বেশির ভাগ সময়ই ব্যর্থ হয় বনায়ন প্রকল্পগুলো। ৩৭টি সংরক্ষিত এলাকায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কাজের সুযোগ তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে মাত্র দুটি প্রকল্পে সফল হয় তারা। এই প্রকল্পগুলোর তিন-চতুর্থাংশেই লোকজনকে জোর করে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
বিশ্বব্যাংক দরিদ্র দেশগুলোর সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রিত বনভূমিগুলোতে কাজ করেছে। ফলে বাকি বনভূমিগুলোর ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষ তাদের প্রকল্পের আওতার বাইরে থেকে গেছে। প্রতিবেদনে একে অন্যতম সংকট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বিশ্বব্যাংকের সভাপতি ও পরিচালকদের দেওয়া এক বার্তায় আইইজির মহাপরিচালক ক্যারোলিন হেইডার বলেন, 'দারিদ্র্য নিরসনে এ প্রকল্প পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। বনজ সম্পদ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয়দের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসন এবং পরিবেশগত লক্ষ্য অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য আনা সম্ভব। প্রকল্পে এ ধরনের উদ্যোগের অভাব ছিল।'
বেসরকারি সংস্থাগুলোর অভিযোগ, বিশ্বব্যাংক অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেয়নি। ২০০১ ও ১৯৯১ সালের তৈরি একই ধরনের প্রতিবেদনেও বিশ্বব্যাংককে বনভূমি উজাড়ের জন্য দায়ী করা হয়। ওই প্রতিবেদনগুলোতেও জলবায়ু পরিবর্তন ও দারিদ্র্য নিরসনে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে। জার্মানির পরিবেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক বেসরকারি সংস্থা উরগেওয়ার্ল্ড-এর জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী কোরিননা হোর্তা বলেন, দারিদ্র্য নিরসন ও বন সংরক্ষণে ভূমিকা রাখতে চাইলে বিশ্বব্যাংককে অবশ্যই কাজের ধরন পাল্টাতে হবে।
No comments