ধর্ষকদের সামাজিকভাবে বর্জন করার আহ্বান
ধর্ষকের বিরুদ্ধে শুধু কঠোর আইন প্রয়োগই যথেষ্ট নয়, একই সঙ্গে সামাজিকভাবে ধর্ষককে বর্জন করতে হবে। গতকাল বুধবার ৮০টি নারী ও মানবাধিকার সংগঠনের মোর্চা সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে এই আহ্বান জানানো হয়।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে আলোচকেরা বলেন, আইনের মারপ্যাঁচে পার পেয়ে যাচ্ছে ধর্ষকেরা। রাজনৈতিক দল তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। পরিবার ও সমাজে সেই ধর্ষক জায়গা করে নিচ্ছে। অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের পাশাপাশি অবিলম্বে দ্রুত ট্রাইব্যুনাল ও ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠনের দাবি করেন। নারী-শিশু ধর্ষণ, গণধর্ষণ, হত্যার ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে ধর্ষণসহ সব ধরনের নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। দেশে ধর্ষণের মতো নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও সরকার বা বিরোধী দল এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নিশ্চুপ ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় মানববন্ধনে।মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন হামিদা হোসেন বলেন, দেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেছে। তবে এসব ঘটনার কয়টি বিচারের আওতা পর্যন্ত যায়, তা জানা যায় না। ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মেডিকেল পরীক্ষাও ঠিকভাবে করা হচ্ছে না। রাজনৈতিক দলগুলো তরুণদের দঙ্গল সংস্কৃতিকে মেনে নিচ্ছে। তাদের উৎসাহিত করছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, দেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও কোনো রাজনৈতিক দল এর বিরুদ্ধে কর্মসূচি পালন করেনি। প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেত্রী এ নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। তিনি বলেন, নারীরা নিরাপদ না থাকতে পারলে গণতন্ত্র স্থায়ী ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে না, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনারও বাস্তবায়ন হবে না।
স্টেপস্ টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার বলেন, ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। এরা সমাজে জায়গা করে নিচ্ছে।
মানববন্ধনে কর্মজীবী নারীর নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক, ব্র্যাকের প্রতিনিধি চিররঞ্জন সরকার, নারী প্রগতি সংঘের প্রতিনিধি রওশন আরা বেগম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
No comments