ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়-ক্লাস করার দাবিতে পথে!
ক্লাস স্থগিত হলে বা ছুটি মিললে শিক্ষার্থীরা খুশি হয়। পরীক্ষা পেছালে উচ্ছ্বসিত হয়। লম্বা ছুটি হলে তো কথাই নেই। স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়_ সর্বত্রই কিশোর-তরুণদের একই মনোভাব। কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টানা চার মাস এর সব সুবিধাই মিলছে।
তবু তারা কেন রাজপথে? তাদের দাবিই-বা কেন বিপরীত? সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাজপথে একদল শিক্ষার্থী খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক তিন ঘণ্টা অবরোধ করে দাবি জানান_ অবিলম্বে ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক অচলাবস্থার অবসানও তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক শিক্ষা সচিবের সঙ্গে কথা বলে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন। এর মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে তো? না হলে হয়তো দেখা যাবে এমন কর্মসূচি, যা ক্যাম্পাসের বাইরেও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ প্রভৃতি সমস্যা নিয়ে শিক্ষক সমিতি আন্দোলন করছিল। তাদের সঙ্গে পরে এক দল শিক্ষার্থীও যোগ দেয়। আমাদের উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যথেষ্ট দলাদলি রয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ও তার ব্যতিক্রম নয়। শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের পেছনেও রাজনীতি থাকতে পারে। এমনও হতে পারে, তাদের দাবির সমর্থনে যেসব শিক্ষার্থী রাজপথে, তাদের একটি অংশও দলীয় রাজনীতির কারণেই এ পথ অনুসরণ করছেন। আন্দোলনের কারণ যা-ই হোক না কেন, এ সত্য কেউ অস্বীকার করবেন না_ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়শোনা মাসের পর মাস শিকেয় উঠেছে। ক্লাস হচ্ছে না, পরীক্ষা হচ্ছে না। এর দায়দায়িত্ব যার ওপরেই থাকুক না কেন, প্রধান ক্ষতি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। যারা পথে নেমেছেন এবং তাদের বাইরেও ক্লাস-পরীক্ষা না হওয়ায় যারা লম্বা ছুটি ভোগ করছেন, তাদের সবার শিক্ষাজীবন বিলম্বিত হচ্ছে। এই শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে প্রবেশও পিছিয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে বয়স এবং এ কারণে চাকরিতে আবেদন ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণেও সমস্যায় পড়তে হবে অনেককে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকেই এর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। শিক্ষক সমিতি এখন আন্দোলনের নেতৃত্বে। তাদেরও দলীয় স্বার্থ বিবেচনায় পরিচালিত হওয়া অনুচিত। শিক্ষার্থীদের স্বার্থই সবকিছুর ওপরে থাকা চাই।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ প্রভৃতি সমস্যা নিয়ে শিক্ষক সমিতি আন্দোলন করছিল। তাদের সঙ্গে পরে এক দল শিক্ষার্থীও যোগ দেয়। আমাদের উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যথেষ্ট দলাদলি রয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ও তার ব্যতিক্রম নয়। শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের পেছনেও রাজনীতি থাকতে পারে। এমনও হতে পারে, তাদের দাবির সমর্থনে যেসব শিক্ষার্থী রাজপথে, তাদের একটি অংশও দলীয় রাজনীতির কারণেই এ পথ অনুসরণ করছেন। আন্দোলনের কারণ যা-ই হোক না কেন, এ সত্য কেউ অস্বীকার করবেন না_ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়শোনা মাসের পর মাস শিকেয় উঠেছে। ক্লাস হচ্ছে না, পরীক্ষা হচ্ছে না। এর দায়দায়িত্ব যার ওপরেই থাকুক না কেন, প্রধান ক্ষতি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। যারা পথে নেমেছেন এবং তাদের বাইরেও ক্লাস-পরীক্ষা না হওয়ায় যারা লম্বা ছুটি ভোগ করছেন, তাদের সবার শিক্ষাজীবন বিলম্বিত হচ্ছে। এই শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে প্রবেশও পিছিয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে বয়স এবং এ কারণে চাকরিতে আবেদন ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণেও সমস্যায় পড়তে হবে অনেককে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকেই এর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। শিক্ষক সমিতি এখন আন্দোলনের নেতৃত্বে। তাদেরও দলীয় স্বার্থ বিবেচনায় পরিচালিত হওয়া অনুচিত। শিক্ষার্থীদের স্বার্থই সবকিছুর ওপরে থাকা চাই।
No comments