পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ হচ্ছে
সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক (অবসর গ্রহণ) (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১২-এর খসড়া গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, দেশে বর্তমানে ৩৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র চারটি (ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) বাকি ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবসরের বয়স ৬০ বছর। এই বৈষম্য দূর করে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরির বয়সে সামঞ্জস্য আনতেই একটি সমন্বিত আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বর্তমান আইনে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসরের বয়স ৬০ বছর, তা তিন দফায় পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর প্রথম দফায় দুই বছর, এরপর আরও দুই বছর এবং সর্বশেষ দফায় এক বছর বাড়ানোর সুযোগ আছে। তবে এগুলো সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের শারীরিক অবস্থা ও সরকারের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল।
বিদ্যুৎ পরিস্থিতির চিত্র উপস্থাপন: গতকালের বৈঠকে গত তিন বছরে দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি চিত্র উপস্থাপন করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ সম্পর্কে বলেন, গত তিন বছরে দেশে বিদ্যুতের সঞ্চালন ও ব্যবস্থাপনা ঘাটতি (সিস্টেম লস) ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ২১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সব বিদ্যুৎ গ্রাহকের জন্য প্রিপেইড মিটার ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে সিস্টেম লস আরও কমে আসবে। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, গত তিন বছরে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন ও উৎপাদন খাতে ৫২টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আরও ২৭টি প্রকল্পের কাজ চলছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট।
বৈঠকে জানানো হয়, বর্তমানে ৫৬ হাজার প্রিপেইড মিটার ব্যবহার হচ্ছে। আরও প্রায় দুই লাখ প্রিপেইড মিটার সংযোগ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত তিন বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের হার বেড়েছে গড়ে ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে গড়ে পাঁচ হাজার ৩০০ মেগাওয়াটের মধ্যে। গত তিন বছরে জাতীয় গ্রিডে নতুন বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে দুই হাজার ৯৪৪ মেগাওয়াট। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার দিন দেশে মোট বিদ্যুতের উৎপাদন ছিল তিন হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট। ২০১০-১১ অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে মোট বরাদ্দ ছিল পাঁচ হাজার ৯৬৮ কোটি টাকা। চলতি বছর এডিপিতে মোট বরাদ্দ হয়েছে সাত হাজার ১৫২ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে এ বরাদ্দ থেকে তিন হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা ব্যয় করা সম্ভব হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বর্তমানে দেশে আবাসিক খাতে বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি মূল্য দুই টাকা ৮৭ পয়সা। কৃষি খাতে এ মূল্য দুই টাকা ১৩ পয়সা। অথচ সাড়ে পাঁচ টাকা ব্যয়ে উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রি হচ্ছে গড়ে তিন টাকা ৭৪ পয়সা দরে। বাকি অর্থ ভর্তুকির মাধ্যমে যোগান দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের মূল্য তিন টাকা ৮৮ পয়সা, শ্রীলঙ্কায় তিন টাকা ৮৫ পয়সা ও নেপালে ছয় টাকা আট পয়সা।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিদ্যুৎ খাতের এ বিশাল ভর্তুকির বোঝা কমাতে ইতিমধ্যে মূল্য সমন্বয় করা শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে মূল্য সমন্বয়ের মাধ্যমে ভর্তুকির পরিমাণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে।
বর্তমান আইনে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসরের বয়স ৬০ বছর, তা তিন দফায় পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর প্রথম দফায় দুই বছর, এরপর আরও দুই বছর এবং সর্বশেষ দফায় এক বছর বাড়ানোর সুযোগ আছে। তবে এগুলো সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের শারীরিক অবস্থা ও সরকারের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল।
বিদ্যুৎ পরিস্থিতির চিত্র উপস্থাপন: গতকালের বৈঠকে গত তিন বছরে দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি চিত্র উপস্থাপন করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ সম্পর্কে বলেন, গত তিন বছরে দেশে বিদ্যুতের সঞ্চালন ও ব্যবস্থাপনা ঘাটতি (সিস্টেম লস) ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ২১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সব বিদ্যুৎ গ্রাহকের জন্য প্রিপেইড মিটার ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে সিস্টেম লস আরও কমে আসবে। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, গত তিন বছরে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন ও উৎপাদন খাতে ৫২টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আরও ২৭টি প্রকল্পের কাজ চলছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট।
বৈঠকে জানানো হয়, বর্তমানে ৫৬ হাজার প্রিপেইড মিটার ব্যবহার হচ্ছে। আরও প্রায় দুই লাখ প্রিপেইড মিটার সংযোগ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত তিন বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের হার বেড়েছে গড়ে ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে গড়ে পাঁচ হাজার ৩০০ মেগাওয়াটের মধ্যে। গত তিন বছরে জাতীয় গ্রিডে নতুন বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে দুই হাজার ৯৪৪ মেগাওয়াট। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার দিন দেশে মোট বিদ্যুতের উৎপাদন ছিল তিন হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট। ২০১০-১১ অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে মোট বরাদ্দ ছিল পাঁচ হাজার ৯৬৮ কোটি টাকা। চলতি বছর এডিপিতে মোট বরাদ্দ হয়েছে সাত হাজার ১৫২ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে এ বরাদ্দ থেকে তিন হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা ব্যয় করা সম্ভব হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বর্তমানে দেশে আবাসিক খাতে বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি মূল্য দুই টাকা ৮৭ পয়সা। কৃষি খাতে এ মূল্য দুই টাকা ১৩ পয়সা। অথচ সাড়ে পাঁচ টাকা ব্যয়ে উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রি হচ্ছে গড়ে তিন টাকা ৭৪ পয়সা দরে। বাকি অর্থ ভর্তুকির মাধ্যমে যোগান দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের মূল্য তিন টাকা ৮৮ পয়সা, শ্রীলঙ্কায় তিন টাকা ৮৫ পয়সা ও নেপালে ছয় টাকা আট পয়সা।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিদ্যুৎ খাতের এ বিশাল ভর্তুকির বোঝা কমাতে ইতিমধ্যে মূল্য সমন্বয় করা শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে মূল্য সমন্বয়ের মাধ্যমে ভর্তুকির পরিমাণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে।
No comments