ধর্ষণের সংজ্ঞা বদলঃ কেবল নারী নয়, পুরুষও 'ধর্ষিত' হতে পারে
যুক্তরাষ্ট্রে গত ৮৪ বছরের মধ্যে এই প্রথম এ-সংক্রান্ত সংজ্ঞা পরিমার্জন/পরিবর্ধন করা হলো।
সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাচ্ছিল না ঠিক, সেকেলে হয়ে পড়েছিল ধর্ষণের সংজ্ঞা; আবদ্ধ হয়ে পড়েছিল সংকীর্ণ গণ্ডিতে_এমনটাই ভাবছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আইন ও বিচার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাই সংজ্ঞা বদলের পক্ষে সওয়াল করছিলেন তাঁরা। কারণ বদলটা না হলে ফেডারেল তদন্ত ব্যুরোর (এফবিআই) অপরাধ পরিসংখ্যানের অনেক কিছুই সংজ্ঞা-সিদ্ধ করা যাচ্ছিল না। পুরনো সংজ্ঞার ফাঁক গলে অনেক কিছুই বেরিয়ে যাচ্ছিল।
শেষ পর্যন্ত সমসাময়িক তথা হালনাগাদ করা হলো ধর্ষণের সংজ্ঞাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল তদন্ত ব্যুরোর (এফবিআই) বার্ষিক অপরাধ প্রতিবেদনে ধর্ষণের বিভিন্ন ঘটনা যাতে আরো ভালোভাবে প্রতিফলিত হয় সে লক্ষ্যে সংজ্ঞা বদলের এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। দেশটির বিচার বিভাগ গত শুক্রবার ধর্ষণের সংজ্ঞা হালনাগাদের ঘোষণা দিয়েছে। এক বিবৃতিতে বিচার বিভাগ জানায়, কেবল 'ধর্ষিতা' নয়, 'ধর্ষিত'কেও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ শুধু নারীই নয়, পুরুষও এখন ধর্ষণের সংজ্ঞাভুক্ত।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ৮৪ বছরের মধ্যে এই প্রথম এ-সংক্রান্ত সংজ্ঞা পরিমার্জন/পরিবর্ধন করা হলো। চেতনানাশক, মাদক বা মদিরা (অ্যালকোহল) প্রয়োগে কাউকে শারীরিকভাবে অচেতন বা অসমর্থ করে যৌনকামনা চরিতার্থ করাও ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে নতুন সংজ্ঞায়।
বিচার বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, আইনের এই সংশোধনের ফলে এফবিআইয়ের বার্ষিক অপরাধ প্রতিবেদনে ধর্ষণের ঘটনাগুলো আরো যথাযথভাবে ফুটে উঠবে।
এফবিআইয়ের প্রতিবেদনে এত দিন 'একজন নারীকে জোর করে ও তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভোগ করা' ধর্ষণ হিসেবে সংজ্ঞায়িত ছিল। ১৯২৭ সালে প্রণীত এই সংজ্ঞার ভিত্তিতেই 'ধর্ষণ' বিষয়টি আইনে বিবেচিত হয়ে আসছিল। সেকেলে এই সংজ্ঞার কারণে এফবিআইয়ের বার্ষিক প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত ধর্ষণের পরিসংখ্যানের সঙ্গে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাছে দায়ের করা অভিযোগের পরিসংখ্যানের অমিল দেখা দিত। এ বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক ওঠায় সংজ্ঞা পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
পরিবর্তিত সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, 'সম্মতি ছাড়া নারী বা পুরুষে উপগমন বা যৌনাঙ্গে বস্তু অনুপ্রবিষ্টকরণ বা মুখমেহন_মাত্রা বড় কথা নয়_ধর্ষণ গণ্য হবে।' এ সংজ্ঞা অনুযায়ী এখন থেকে একজন পুরুষও 'ধর্ষিত' গণ্য হবে। কার্যত যেকোনো উপায়ে বলপূর্বক লিঙ্গন (পেনিট্রেশন) ধর্ষণ পদবাচ্য।
নারী নির্যাতন বিষয়ক কার্যালয়ের পরিচালক সুসান কার্বন আগের সংজ্ঞাটিকে সেকেলে ও সংকীর্ণ অভিহিত করেছেন। বিচার বিভাগের ব্লগে তিনি লিখেন, 'এই প্রথমবারের মতো ধর্ষণের সংজ্ঞায় নারী-পুরুষ বৈষম্য আর থাকছে না। পুরুষকেও 'ধর্ষিত' গণ্য করা যাবে, তা সে নারীর হাতেই হোক বা পুরুষের হাতেই হোক। পুরুষ বা নারীর যৌনাঙ্গে কোনো জিনিস অনুপ্রবিষ্ট করাও ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে।
যদি কেউ মানসিকভাবে বা শারীরিকভাবে এমন অসমর্থ থাকেন যে তাঁর পক্ষে সম্মতি বা অসম্মতি জানানো সম্ভব নয়, অথচ তাঁর ওপর যৌনকামনা চরিতার্থ করা হয়েছে_তবে সেটাও এখন থেকে ধর্ষণ বলে গণ্য হবে।
এফবিআইয়ের সাম্প্রতিক অপরাধ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৯ সালে দেশটিতে ৮৮ হাজার ৯৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২.৬ ভাগ কম। সারা দেশের স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস, নতুন সংজ্ঞার ফলে দেশটিতে ধর্ষণের অভিযোগ যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ হবে এবং এর সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
বিচার বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, আইনের এই সংশোধনের ফলে এফবিআইয়ের বার্ষিক অপরাধ প্রতিবেদনে ধর্ষণের ঘটনাগুলো আরো যথাযথভাবে ফুটে উঠবে।
এফবিআইয়ের প্রতিবেদনে এত দিন 'একজন নারীকে জোর করে ও তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভোগ করা' ধর্ষণ হিসেবে সংজ্ঞায়িত ছিল। ১৯২৭ সালে প্রণীত এই সংজ্ঞার ভিত্তিতেই 'ধর্ষণ' বিষয়টি আইনে বিবেচিত হয়ে আসছিল। সেকেলে এই সংজ্ঞার কারণে এফবিআইয়ের বার্ষিক প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত ধর্ষণের পরিসংখ্যানের সঙ্গে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাছে দায়ের করা অভিযোগের পরিসংখ্যানের অমিল দেখা দিত। এ বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক ওঠায় সংজ্ঞা পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
পরিবর্তিত সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, 'সম্মতি ছাড়া নারী বা পুরুষে উপগমন বা যৌনাঙ্গে বস্তু অনুপ্রবিষ্টকরণ বা মুখমেহন_মাত্রা বড় কথা নয়_ধর্ষণ গণ্য হবে।' এ সংজ্ঞা অনুযায়ী এখন থেকে একজন পুরুষও 'ধর্ষিত' গণ্য হবে। কার্যত যেকোনো উপায়ে বলপূর্বক লিঙ্গন (পেনিট্রেশন) ধর্ষণ পদবাচ্য।
নারী নির্যাতন বিষয়ক কার্যালয়ের পরিচালক সুসান কার্বন আগের সংজ্ঞাটিকে সেকেলে ও সংকীর্ণ অভিহিত করেছেন। বিচার বিভাগের ব্লগে তিনি লিখেন, 'এই প্রথমবারের মতো ধর্ষণের সংজ্ঞায় নারী-পুরুষ বৈষম্য আর থাকছে না। পুরুষকেও 'ধর্ষিত' গণ্য করা যাবে, তা সে নারীর হাতেই হোক বা পুরুষের হাতেই হোক। পুরুষ বা নারীর যৌনাঙ্গে কোনো জিনিস অনুপ্রবিষ্ট করাও ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে।
যদি কেউ মানসিকভাবে বা শারীরিকভাবে এমন অসমর্থ থাকেন যে তাঁর পক্ষে সম্মতি বা অসম্মতি জানানো সম্ভব নয়, অথচ তাঁর ওপর যৌনকামনা চরিতার্থ করা হয়েছে_তবে সেটাও এখন থেকে ধর্ষণ বলে গণ্য হবে।
এফবিআইয়ের সাম্প্রতিক অপরাধ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৯ সালে দেশটিতে ৮৮ হাজার ৯৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২.৬ ভাগ কম। সারা দেশের স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস, নতুন সংজ্ঞার ফলে দেশটিতে ধর্ষণের অভিযোগ যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ হবে এবং এর সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments