সিএমএমকে হুমকি-বিচারব্যবস্থাকেই চ্যালেঞ্জ
আবারও বিচারককে হুমকি দিয়েছে একটি চক্র। এবার কাফনের কাপড় পাঠানো হয়েছে। সঙ্গে চিরকুট। আগে হুমকি দেওয়া হয়েছিল টেলিফোনে। দুটিরই মর্মার্থ এক। তারা গোটা বিচারব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে এই হুমকি দিচ্ছে। ভাষা দেখে বোঝা যায়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র এর পেছনে কাজ করছে এবং তাদের উদ্দেশ্যও অভিন্ন।
ঢাকার সিএমএমের উদ্দেশে পাঠানো চিরকুটের লেখা বিশ্লেষণ করে বোঝা যায়, চক্রটি দেশের বিচারব্যবস্থা ধ্বংস করতে চাইছে। এও বোঝা যায়, সম্প্রতি পুলিশের ওপর যারা আঘাত হেনেছিল, তাদের সঙ্গে এই চক্রের যোগসূত্র আছে। অথবা তারা নিজেরাই এমন হুমকি প্রদান করেছে। কারণ স্পষ্টতই তারা পুলিশের ওপর আঘাত হানার প্রসঙ্গও এনেছে। পুলিশের ওপর আঘাত হানার ধারাবাহিকতা যদি বিচার বিভাগের ওপর এই হুমকি হয়ে থাকে, তাহলে মনে করতে হবে, ভবিষ্যতে তারা বড় ধরনের কোনো নাশকতামূলক কাজও করতে পারে। রাষ্ট্র অচল করে দেওয়ার মতো বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনাও তাদের দ্বারা করা সম্ভব। এমন পরিস্থিতিতে বিচার বিভাগ নিরাপদ করার জন্য সরকার কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা বিবেচনাযোগ্য। কিছুদিন আগেও যখন টেলিফোনের মাধ্যমে বিচারককে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, তখন বিভিন্ন মহল থেকে এর প্রতিকার চাওয়া হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই সবাই মনে করে, বিচার বিভাগকে নির্বিঘ্নে কাজ করতে দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করাটা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু টেলিফোনে হুমকি দেওয়ার পরও হুমকিদাতাদের চিহ্নিত করতে পারেনি সরকার। শুধু বলা হয়েছে, কোন এলাকা থেকে এই টেলিফোন এসেছে সেটা তারা নির্ধারণ করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের হাতে সোপর্দ করতে ব্যর্থতার কারণে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা আরো তীব্র হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে যারা উচ্ছৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়, তাদেরও সাহস বাড়ে। তারা বুঝতে পারে, অপরাধীদের চিহ্নিত করার মতো কোনো প্রযুক্তিগত সুবিধা সরকারের হাতে নেই। সুতরাং এর চেয়ে বড় অপরাধ করেও পার পাওয়া সম্ভব হবে। মনে করার যুক্তি আছে, প্রথম অপরাধে সফল হওয়ার পরই তারা দ্বিতীয় হুমকি দিতে পেরেছে। আর এতে করে তৃতীয় দফায় কী ঘটবে সেই আশঙ্কাই বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে, যখন দেশে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারকাজ চলছে এবং রায় প্রদানের দিনক্ষণও ঘনিয়ে আসছে। সুতরাং সরকারকে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে। বিচারকদের নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যেহেতু পুলিশের ওপর আঘাত হানার বিষয়টিও চিরকুটে উল্লেখ করা হয়েছে, তাই পুলিশের ওপর যারা আঘাত করেছিল তাদের সঙ্গে হুমকিদাতাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তাও খুঁজে বের করতে হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও যে হুমকির মুখে- তেমন আশঙ্কার কথা বহুবার প্রচারিত হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। বিচারকের বিরুদ্ধে এই হুমকি সেই দাবিকে আরো জোরালো করছে। সুতরাং বিচারব্যবস্থা যাতে কোনো অবস্থায়ই আঘাতপ্রাপ্ত না হয়, সেদিকে তীক্ষ্ন নজর দিতে হবে। দোষীদের সন্ধান করে তাদের বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
এমন পরিস্থিতিতে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে, যখন দেশে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারকাজ চলছে এবং রায় প্রদানের দিনক্ষণও ঘনিয়ে আসছে। সুতরাং সরকারকে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে। বিচারকদের নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যেহেতু পুলিশের ওপর আঘাত হানার বিষয়টিও চিরকুটে উল্লেখ করা হয়েছে, তাই পুলিশের ওপর যারা আঘাত করেছিল তাদের সঙ্গে হুমকিদাতাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তাও খুঁজে বের করতে হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও যে হুমকির মুখে- তেমন আশঙ্কার কথা বহুবার প্রচারিত হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। বিচারকের বিরুদ্ধে এই হুমকি সেই দাবিকে আরো জোরালো করছে। সুতরাং বিচারব্যবস্থা যাতে কোনো অবস্থায়ই আঘাতপ্রাপ্ত না হয়, সেদিকে তীক্ষ্ন নজর দিতে হবে। দোষীদের সন্ধান করে তাদের বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
No comments