অন্তত শনিবারে হাসুন- নববর্ষ রঙ্গ

নববর্ষের রাত। গভীর রাত পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে মাতাল অবস্থায় বাড়ি ফিরছিল উইলিয়াম। মাঝরাস্তায় পুলিশ তার পথ রোধ করে দাঁড়াল।
পুলিশ: কোথায় যাচ্ছেন?
উইলিয়াম: বক্তৃতা শুনতে।
পুলিশ: এত রাতে আপনাকে বক্তৃতা শোনাতে কে বসে আছে, শুনি?
উইলিয়াম: আমার স্ত্রী।

দুয়ারে নতুন বছর। ভাগ্যের হালচালটা জেনে নিতে হাবলু হানা দিল এক জ্যোতিষবাবার আস্তানায়। বলল, ‘বাবা, কদিন হলো ডান হাতটা খুব চুলকাচ্ছে। কিসের লক্ষণ বলুন তো?’
জ্যোতিষবাবা: হুম্! তোর ওপর মঙ্গলের প্রভাব রয়েছে। আসছে বছর তোর হাতে প্রচুর টাকা আসবে।
হাবলু: বাবা, আমার বাঁ হাতের তালুও চুলকায়।

জ্যোতিষবাবা: বলিস কী? তোর তো বিদেশযাত্রা শুভ!
হাবলু: (খুশিতে গদগদ হয়ে) বাবা, আমার ডান পা’টাও কিন্তু একটু একটু চুলকাচ্ছে।
জ্যোতিষবাবা: দূর ব্যাটা, তোর চুলকানি আছে। ডাক্তার দেখা।

পল্টু হেঁটে যাচ্ছিল বনের ভেতর দিয়ে। ঘুটঘুটে অন্ধকার। হঠাৎ শোনা গেল অশরীরী আওয়াজ, ‘পল্টু’।
পল্টু: কে? কে কথা বলে?
অশরীরী: ভয় পেয়ো না। আমি ইচ্ছাপূরণ দৈত্য। আজ এই শুভদিনে আমি তোমার একটি ইচ্ছা পূরণ করব। বলো, কী চাও তুমি?
সাহস ফিরে পেল পল্টু। বলল, ‘আমার জন্য পুরো বিশ্ব পরিভ্রমণ করে আসবে, এমন একটা ট্রেন সার্ভিস চালু করে দাও, যেন আমি ঘুরে ঘুরে সব দেশের নববর্ষের উৎসব উপভোগ করতে পারি।’
দৈত্য: এটা তো খুব কঠিন কাজ। তুমি বরং অন্য কিছু চাও।
পল্টু: তাহলে আমাকে এমন ক্ষমতা দাও, আমি যেন মেয়েদের মন বুঝতে পারি।
দৈত্য: ট্রেন কি এসি, নাকি নন-এসি লাগবে?
নববর্ষের রাতে মাতাল হয়ে বাড়ি ফিরেছে জ্যাক। বাড়ি ফিরেই বউয়ের ভয়ে একটা বই খুলে পড়তে শুরু করল সে।
খানিক বাদে তার স্ত্রী এল ঘরে। বলল, ‘আবারও মাতাল হয়ে এসেছ, তাই না?’
জ্যাক: কই? না তো!
স্ত্রী: তাহলে সুটকেস খুলে কী এত বকবক করছ?

নেচে-গেয়ে বন্ধুদের সঙ্গে নতুন বছরের আগমন উদ্যাপন করছিল মারুফ। হঠাৎ দেখল, এক বুড়োও তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচছে।
মারুফ: আরে চাচা, আপনি তো দেখছি এ বয়সেও বেশ সুস্থ আছেন। কীভাবে এমন থাকলেন?
বুড়ো: আর বোলো না, জীবনে কখনো ব্যায়াম করিনি। নেশাদ্রব্য তো খাই নিয়মিতই। অসুখ হলে ডাক্তারও দেখাই না। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াই...
মারুফ: বলেন কী? আপনার বয়স কত?
বুড়ো: ৩০।
সংগ্রহ: মো. সাইফুল্লাহ

No comments

Powered by Blogger.