মাঘের কাঁপন হার মেনেছে পৌষেই!
কোনো চমক ছাড়াই আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ১৯তম জাতীয় সম্মেলন। এ সম্মেলনে দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষস্থানীয় পদে তেমন কোনো রদবদলের সম্ভাবনা নেই।
এটি নিয়ম রক্ষার সম্মেলন হলেও এর মাধ্যমে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনা এবং নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হবে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ফিরে এসেছে চাঞ্চল্য। পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা তদবির।
আজ সকাল ১১টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে এ সম্মেলন হবে। নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, এতে সপ্তমবারের মতো দলের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা এবং দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এর আগে ১৯৮১, ১৯৮৭, ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০০২ ও ২০০৯ সালের সম্মেলনে দলটির সভাপতির দায়িত্ব পান শেখ হাসিনা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাইরে দলের অন্য পদগুলোতেও সম্মেলনে তেমন কোনো পরিবর্তন আসবে না। দু-একটি পরিবর্তন এলেও তা বড় কিছু নয়।
এদিকে গত রাতে দলীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে সৈয়দ আশরাফ আজ বিএনপির প্রতি বিগত দিনের অভিজ্ঞতা ও সর্বোচ্চ আদালতের রায় বিবেচনা করে সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা তুলে ধরার আহ্বান জানাবেন। তাঁর ভাষায়, আওয়ামী লীগও গণতন্ত্র, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে এ বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।
প্রবীণ নেতাদের নিয়ে কৌতূহল : আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত ও আব্দুল জলিলের মতো প্রবীণ নেতারা সম্মেলনে দলের সর্বোচ্চ ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীতে আসছেন কি না এ নিয়ে কৌতূহল রয়েছে সব মহলে। চলছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনাও। তবে সেটা এবার হচ্ছে না। দলের বর্তমান গঠনতন্ত্রে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সংখ্যা ১৫। পদাধিকারবলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর সদস্য। আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মৃত্যুর ফলে একটি পদ শূন্য রয়েছে। দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সভাপতিমণ্ডলীর শুধু শূন্যপদটিই পূরণ করা হবে। সভাপতিমণ্ডলীর অন্য সদস্যরা পরবর্তী মেয়াদেও থাকবেন। তবে সম্পাদকমণ্ডলী ও কেন্দ্রীয় সদস্য পদে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানা গেছে।
নৌকার আদলে হবে মঞ্চ : 'শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে দিনবদলের প্রত্যয়ে এগিয়ে চলেছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ'- এই স্লোগান সামনে রেখে আজ সকাল ১১টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তনে শুরু হবে সম্মেলন। এবারের সম্মেলন হবে নৌকার আদলে তৈরি মঞ্চে। নৌকায় উঠে দলের আগামী দিনের হাল ধরবে নতুন নেতৃত্ব- এ ধারণা থেকেই এই আদলে তৈরি হচ্ছে মঞ্চ।
পরবর্তী নির্বাচনী ইশতেহারের নমুনা থাকবে ঘোষণাপত্রে : জানা গেছে, জাতীয় সম্মেলনে দলের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রে সংশোধনী আনা হচ্ছে। পরবর্তী নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখে ঘোষণাপত্রে পরিবর্তন আনা হবে। দলের নির্বাচনী ইশতেহার কেমন হবে, এর নমুনা হিসেবে উপস্থাপিত হবে ওই ঘোষণাপত্র। এ ছাড়া জাতিসংঘে উপস্থাপিত শেখ হাসিনার 'শান্তির মডেল' অন্তর্ভুক্ত হবে ঘোষণাপত্রে।
কমিটির পরিধি বাড়াতে নারাজ সভাপতি : সূত্র মতে, দলের গঠনতন্ত্রে পরিবর্তনের জন্য কয়েকটি প্রস্তাব যাবে সম্মেলনে। এতে থাকবে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের কাঠামো বাড়ানোর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ৭৩ থেকে বাড়িয়ে ৮১ করার প্রস্তাব। পাশাপাশি ৭১ সদস্যের জেলা এবং ৬৭ সদস্যের উপজেলা বা থানা কমিটিরও পরিধি বাড়ানোর প্রস্তাব উত্থাপিত হবে সম্মেলনে। তবে কোন পর্যায়ের কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করছেন দলের প্রধান শেখ হাসিনা।
উপকমিটি হবে : যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা সম্মেলন সামনে রেখে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসার চেষ্টা চালালেও তেমন সম্ভাবনা নেই। তবে এবার সম্মেলনের পর দলের উপকমিটিগুলো গঠন করে সেখানে সহযোগী সংগঠনের নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতাদের জায়গা করে দেওয়া হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
সাড়ে ছয় হাজার কাউন্সিলর : জানা গেছে, সারা দেশ থেকে সাড়ে ছয় হাজার কাউন্সিলর ও ২০ হাজার ডেলিগেট অংশ নেবেন সম্মেলনে। নতুন নেতা নির্বাচনের জন্য দলের প্রবীণ সদস্য অ্যাডভোকেট রহমত আলীকে প্রধান করে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
রাজনীতিক, কূটনীতিক, পেশাজীবীদের আমন্ত্রণ : সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের শীর্ষ নেতা, বাংলাদেশে দায়িত্বরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই। সেই হিসাবে এ বছরের ২৩ জুলাই মেয়াদ শেষ হয়েছে তিন বছর মেয়াদি বর্তমান কমিটির।
এদিকে আজ দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলন হলেও দেশব্যাপী বেশির ভাগ সাংগঠনিক ইউনিটের সম্মেলন হয়নি। বেশির ভাগ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনও হয়নি।
১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আওয়ামী লীগের ২০টি সম্মেলন হয়েছে। আগের সম্মেলনগুলো হয়েছে ১৯৪৯, '৫৩, '৫৫, '৫৭, '৬৪, '৬৬, '৬৮, '৭০, '৭২, '৭৪, '৭৬, '৭৭, '৭৮, '৮১, '৮৭, '৯২, '৯৭, ২০০২ ও ২০০৯ সালে।
আওয়ামী লীগের পূর্ববর্তী নেতারা : সভাপতি বা আহ্বায়ক পদে এর আগে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী চারবার (১৯৪৭, ১৯৫৩ সালে ময়মনসিংহ, ১৯৫৩ সালে ঢাকায় এবং ১৯৫৫ সালে), মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ (ভারপ্রাপ্ত) দুইবার (১৯৫৭ ও ১৯৬৪ সালে), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চারবার (১৯৬৬, '৬৮, '৭০ ও '৭২ সালে), এ এইচ এম কামরুজ্জামান ১৯৭৪ সালে, মহিউদ্দিন আহমেদ (ভারপ্রাপ্ত) ১৯৭৬ সালে, সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন (আহ্বায়ক) ১৯৭৭ সালে, আবদুল মালেক উকিল ১৯৭৮ সালে, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী (ভারপ্রাপ্ত) ১৯৮১ সালে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর শেখ হাসিনা ছয়বার দলের সভাপতির দায়িত্ব পান।
সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করেন শামসুল হক (১৯৪৯), শেখ মুজিবুর রহমান পাঁচবার (১৯৫৩, '৫৪, '৫৫, '৫৭ ও '৬৪ সালে), তাজউদ্দীন আহমদ তিনবার (১৯৬৬, '৬৮ ও '৭০ সালে), মো. জিল্লুর রহমান চারবার (১৯৭২, '৭৪, '৯২ ও '৯৭ সালে), সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দুইবার (১৯৭৬ ও '৮৭ সালে), আবদুর রাজ্জাক দুইবার (১৯৭৮ ও '৮১ সালে), আব্দুল জলিল ২০০২ সালে, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ২০০৯ সাল থেকে।
আজ সকাল ১১টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে এ সম্মেলন হবে। নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, এতে সপ্তমবারের মতো দলের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা এবং দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এর আগে ১৯৮১, ১৯৮৭, ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০০২ ও ২০০৯ সালের সম্মেলনে দলটির সভাপতির দায়িত্ব পান শেখ হাসিনা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাইরে দলের অন্য পদগুলোতেও সম্মেলনে তেমন কোনো পরিবর্তন আসবে না। দু-একটি পরিবর্তন এলেও তা বড় কিছু নয়।
এদিকে গত রাতে দলীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে সৈয়দ আশরাফ আজ বিএনপির প্রতি বিগত দিনের অভিজ্ঞতা ও সর্বোচ্চ আদালতের রায় বিবেচনা করে সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা তুলে ধরার আহ্বান জানাবেন। তাঁর ভাষায়, আওয়ামী লীগও গণতন্ত্র, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে এ বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।
প্রবীণ নেতাদের নিয়ে কৌতূহল : আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত ও আব্দুল জলিলের মতো প্রবীণ নেতারা সম্মেলনে দলের সর্বোচ্চ ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীতে আসছেন কি না এ নিয়ে কৌতূহল রয়েছে সব মহলে। চলছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনাও। তবে সেটা এবার হচ্ছে না। দলের বর্তমান গঠনতন্ত্রে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সংখ্যা ১৫। পদাধিকারবলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর সদস্য। আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মৃত্যুর ফলে একটি পদ শূন্য রয়েছে। দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সভাপতিমণ্ডলীর শুধু শূন্যপদটিই পূরণ করা হবে। সভাপতিমণ্ডলীর অন্য সদস্যরা পরবর্তী মেয়াদেও থাকবেন। তবে সম্পাদকমণ্ডলী ও কেন্দ্রীয় সদস্য পদে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানা গেছে।
নৌকার আদলে হবে মঞ্চ : 'শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে দিনবদলের প্রত্যয়ে এগিয়ে চলেছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ'- এই স্লোগান সামনে রেখে আজ সকাল ১১টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তনে শুরু হবে সম্মেলন। এবারের সম্মেলন হবে নৌকার আদলে তৈরি মঞ্চে। নৌকায় উঠে দলের আগামী দিনের হাল ধরবে নতুন নেতৃত্ব- এ ধারণা থেকেই এই আদলে তৈরি হচ্ছে মঞ্চ।
পরবর্তী নির্বাচনী ইশতেহারের নমুনা থাকবে ঘোষণাপত্রে : জানা গেছে, জাতীয় সম্মেলনে দলের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রে সংশোধনী আনা হচ্ছে। পরবর্তী নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখে ঘোষণাপত্রে পরিবর্তন আনা হবে। দলের নির্বাচনী ইশতেহার কেমন হবে, এর নমুনা হিসেবে উপস্থাপিত হবে ওই ঘোষণাপত্র। এ ছাড়া জাতিসংঘে উপস্থাপিত শেখ হাসিনার 'শান্তির মডেল' অন্তর্ভুক্ত হবে ঘোষণাপত্রে।
কমিটির পরিধি বাড়াতে নারাজ সভাপতি : সূত্র মতে, দলের গঠনতন্ত্রে পরিবর্তনের জন্য কয়েকটি প্রস্তাব যাবে সম্মেলনে। এতে থাকবে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের কাঠামো বাড়ানোর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ৭৩ থেকে বাড়িয়ে ৮১ করার প্রস্তাব। পাশাপাশি ৭১ সদস্যের জেলা এবং ৬৭ সদস্যের উপজেলা বা থানা কমিটিরও পরিধি বাড়ানোর প্রস্তাব উত্থাপিত হবে সম্মেলনে। তবে কোন পর্যায়ের কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করছেন দলের প্রধান শেখ হাসিনা।
উপকমিটি হবে : যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা সম্মেলন সামনে রেখে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসার চেষ্টা চালালেও তেমন সম্ভাবনা নেই। তবে এবার সম্মেলনের পর দলের উপকমিটিগুলো গঠন করে সেখানে সহযোগী সংগঠনের নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতাদের জায়গা করে দেওয়া হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
সাড়ে ছয় হাজার কাউন্সিলর : জানা গেছে, সারা দেশ থেকে সাড়ে ছয় হাজার কাউন্সিলর ও ২০ হাজার ডেলিগেট অংশ নেবেন সম্মেলনে। নতুন নেতা নির্বাচনের জন্য দলের প্রবীণ সদস্য অ্যাডভোকেট রহমত আলীকে প্রধান করে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
রাজনীতিক, কূটনীতিক, পেশাজীবীদের আমন্ত্রণ : সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের শীর্ষ নেতা, বাংলাদেশে দায়িত্বরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই। সেই হিসাবে এ বছরের ২৩ জুলাই মেয়াদ শেষ হয়েছে তিন বছর মেয়াদি বর্তমান কমিটির।
এদিকে আজ দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলন হলেও দেশব্যাপী বেশির ভাগ সাংগঠনিক ইউনিটের সম্মেলন হয়নি। বেশির ভাগ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনও হয়নি।
১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আওয়ামী লীগের ২০টি সম্মেলন হয়েছে। আগের সম্মেলনগুলো হয়েছে ১৯৪৯, '৫৩, '৫৫, '৫৭, '৬৪, '৬৬, '৬৮, '৭০, '৭২, '৭৪, '৭৬, '৭৭, '৭৮, '৮১, '৮৭, '৯২, '৯৭, ২০০২ ও ২০০৯ সালে।
আওয়ামী লীগের পূর্ববর্তী নেতারা : সভাপতি বা আহ্বায়ক পদে এর আগে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী চারবার (১৯৪৭, ১৯৫৩ সালে ময়মনসিংহ, ১৯৫৩ সালে ঢাকায় এবং ১৯৫৫ সালে), মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ (ভারপ্রাপ্ত) দুইবার (১৯৫৭ ও ১৯৬৪ সালে), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চারবার (১৯৬৬, '৬৮, '৭০ ও '৭২ সালে), এ এইচ এম কামরুজ্জামান ১৯৭৪ সালে, মহিউদ্দিন আহমেদ (ভারপ্রাপ্ত) ১৯৭৬ সালে, সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন (আহ্বায়ক) ১৯৭৭ সালে, আবদুল মালেক উকিল ১৯৭৮ সালে, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী (ভারপ্রাপ্ত) ১৯৮১ সালে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর শেখ হাসিনা ছয়বার দলের সভাপতির দায়িত্ব পান।
সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করেন শামসুল হক (১৯৪৯), শেখ মুজিবুর রহমান পাঁচবার (১৯৫৩, '৫৪, '৫৫, '৫৭ ও '৬৪ সালে), তাজউদ্দীন আহমদ তিনবার (১৯৬৬, '৬৮ ও '৭০ সালে), মো. জিল্লুর রহমান চারবার (১৯৭২, '৭৪, '৯২ ও '৯৭ সালে), সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দুইবার (১৯৭৬ ও '৮৭ সালে), আবদুর রাজ্জাক দুইবার (১৯৭৮ ও '৮১ সালে), আব্দুল জলিল ২০০২ সালে, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ২০০৯ সাল থেকে।
No comments