হলমার্কের স্থাপনা উচ্ছেদ-পরদিনই দখল নিতে গিয়ে কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
ঢাকার সাভার উপজেলায় সরকারি সম্পত্তি দখল করে হলমার্ক গ্রুপের গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার এক দিনের মাথায় আবারও দখলের চেষ্টা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। দখলচেষ্টার অভিযোগে সোনালী ব্যাংক কেলেঙ্কারির জন্য আলোচিত ওই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সাভারের হেমায়েতপুরের নন্দখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃত আবদুর রাজ্জাক (৩২) হলমার্ক গ্রুপের প্রশাসনিক কর্মকর্তা। গতকাল সকালে লোকজন নিয়ে তিনি জেলা প্রশাসনের পুনরুদ্ধার করা জমিতে দেয়াল নির্মাণের কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাভার মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, বহুল আলোচিত সোনালী ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির হোতা হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ অবৈধভাবে নন্দখালী এলাকায় ১০ একর খাসজমি ও হালট দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করেন। জেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার সরকারি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভূমি ও ইমারত (দখল ও পুনরুদ্ধার) আদেশ ১৯৭০ ধারা অনুযায়ী অবৈধ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানে জেলা প্রশাসন ১ একর ৬৫ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত আটটি স্থাপনা উচ্ছেদ করে। অভিযানের পরদিন শুক্রবার সকালে আবারও ওই জমিতে দেয়াল নির্মাণ করছিল হলমার্ক কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে সকাল ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল যায় এবং রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করে সাভার থানায় নিয়ে আসে।
ওসি জানান, গ্রেপ্তারকৃত রাজ্জাক মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বারিষ্টপুরের মহিদুল আলমের ছেলে। আজ শনিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে হলমার্ক গ্রুপ সাধারণ জনগণের চলাচলের একটি সরকারি রাস্তা দখল করে প্রধান ফটক তৈরি করার সময় তখনকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালনকারী সাভার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পুলিশ সদস্যদের মারধর করেছিল তানভীরের লোকজন। এ ঘটনায় তখন একটি মামলাও হয়েছিল। কিন্তু কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন জালজালিয়াতি, প্রভাব বিস্তার এবং নানা অনিয়মের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের হোটেল রূপসী বাংলা (আগের শেরাটন) শাখা থেকে হলমার্ক গ্রুপ আড়াই হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদ, তাঁর স্ত্রী জেসমিন ইসলাম ও মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ভায়রা তুষার আহমেদ কারাগারে রয়েছেন।
সাভার মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, বহুল আলোচিত সোনালী ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির হোতা হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ অবৈধভাবে নন্দখালী এলাকায় ১০ একর খাসজমি ও হালট দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করেন। জেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার সরকারি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভূমি ও ইমারত (দখল ও পুনরুদ্ধার) আদেশ ১৯৭০ ধারা অনুযায়ী অবৈধ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানে জেলা প্রশাসন ১ একর ৬৫ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত আটটি স্থাপনা উচ্ছেদ করে। অভিযানের পরদিন শুক্রবার সকালে আবারও ওই জমিতে দেয়াল নির্মাণ করছিল হলমার্ক কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে সকাল ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল যায় এবং রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করে সাভার থানায় নিয়ে আসে।
ওসি জানান, গ্রেপ্তারকৃত রাজ্জাক মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বারিষ্টপুরের মহিদুল আলমের ছেলে। আজ শনিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে হলমার্ক গ্রুপ সাধারণ জনগণের চলাচলের একটি সরকারি রাস্তা দখল করে প্রধান ফটক তৈরি করার সময় তখনকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালনকারী সাভার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পুলিশ সদস্যদের মারধর করেছিল তানভীরের লোকজন। এ ঘটনায় তখন একটি মামলাও হয়েছিল। কিন্তু কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন জালজালিয়াতি, প্রভাব বিস্তার এবং নানা অনিয়মের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের হোটেল রূপসী বাংলা (আগের শেরাটন) শাখা থেকে হলমার্ক গ্রুপ আড়াই হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদ, তাঁর স্ত্রী জেসমিন ইসলাম ও মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ভায়রা তুষার আহমেদ কারাগারে রয়েছেন।
No comments