ন্যূনতম শেয়ার ধারণে ব্যর্থতা-সিএসইর তালিকাভুক্ত ৬৮১ পরিচালক পদ হারাচ্ছেন by রাশেদুল তুষার
নির্ধারিত সময়ে ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হওয়ায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) তালিকাভুক্ত ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের ৬৮১ জন পরিচালক পদ হারাচ্ছেন। শেয়ার ধারণের সর্বশেষ সময়সীমা সোমবার পার হওয়ার পরও তাঁদের অ্যাকাউন্টে ২ শতাংশের কম শেয়ার ধারণের তথ্য পেয়েছে সিএসই।
এর মধ্যে ইনস্যুরেন্স খাতের ২০০ ও ব্যাংক খাতের ১৭৪ জন পরিচালক রয়েছেন। ফলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, এই পরিচালকদের পদ শূন্য হয়ে যাবে।
সিএসইর প্রধান নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সাজিদ হোসাইন গতকাল মঙ্গলবার এ প্রসঙ্গে কালের কণ্ঠকে বলেন, '২১ মে পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সিএসইর তালিকাভুক্ত প্রায় ৪৩ শতাংশ পরিচালক ন্যূনতম কোটা পূরণ করেননি। সে ক্ষেত্রে এসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁদের পদ খালি হয়ে যাওয়ার কথা।' এ ব্যাপারে সিএসইর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আদালতের রায়ের সার্টিফায়েড কপি হাতে পাওয়ার পর করণীয় ঠিক করা হবে।'
তবে সিএসইর অন্য এক বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, এখানে তালিকাভুক্ত ২৪৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মিউচ্যুয়াল ফান্ড, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কম্পানি ও বন্ড বাদে বাকি ১৮২টি কম্পানির ১৫৯৩ জন পরিচালকের মধ্যে ৯১২ জন নির্দেশনা অনুযায়ী ২ শতাংশ কিংবা এর বেশি শেয়ার ধারণ করেছেন। এই সংখ্যা মোট পরিচালকের প্রায় ৫৭ শতাংশ। এর বাইরে ৬৮১ জন পরিচালক শেয়ার ধারণের কোটা পূরণ করতে পারেননি। এর একটি বড় অংশই ইনস্যুরেন্স খাতের পরিচালক। এরপর রয়েছেন ব্যাংক খাতের পরিচালকরা।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইনস্যুরেন্স খাতের মোট ২০০ পরিচালকের হাতে ন্যূনতম শেয়ার নেই। এর মধ্যে এসইসির প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে আদালতে রিট করা ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্সের ২৪ জন পরিচালকের ১৯ জনই ন্যূনতম কোটা পূরণ করেননি। এর চেয়েও খারাপ অবস্থা জনতা ইনস্যুরেন্সের। এই কম্পানির ১১ জন পরিচালকের মধ্যে ১০ জনের হাতেই ২ শতাংশের কম শেয়ার রয়েছে। পিপলস ও বিডি জেনারেল ইনস্যুরেন্সের ১১ জন পরিচালকের মধ্যে মাত্র দুজনের হাতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক শেয়ার রয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাংক খাতের ১৭৪ জন পরিচালকের কাছে পদ ধরে রাখার জন্য ন্যূনতম শেয়ার নেই। এর মধ্যে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের (এসআইবিএল) ১৮ জন পরিচালকের মধ্যে মাত্র চারজনের ২ শতাংশ কিংবা এর বেশি শেয়ার রয়েছে। বাকি ১৪ জনেরই পদ শূন্য হয়ে যাবে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ১৩ জন পরিচালকের মধ্যে ১০ জন ন্যূনতম শেয়ার ধারণ করেননি। পূবালী ব্যাংকের ১৩ পরিচালকের মধ্যে ৯, এবি ব্যাংকের আট পরিচালকের মধ্যে ছয়, আইএফআইসির ৯ জনের মধ্যে ছয়, এনসিসি ব্যাংকের ২৪ জনের মধ্যে ১৩, এক্সিম ব্যাংকের ১৬ জনের মধ্যে ৯ ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ২০ জনের মধ্যে ১১ জন পরিচালক ন্যূনতম শেয়ার ধারণ করেননি। মাইডাস ফিন্যান্সের সাত পরিচালকের মধ্যে ছয়জন এবং প্রাইম ফিন্যান্সের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনের হাতে ২ শতাংশ শেয়ার নেই। তাঁরা পদ হারাচ্ছেন।
এ ছাড়া ইনটেক অনলাইন, ব্র্যাক ব্যাংক, মুন্নু সিরামিক, আরামিট লিমিটেড, ওশান কনটেইনার লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কম্পানি, এমজেএল বাংলাদেশ, রহিমা ফুড ও আইপিডিসি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের কোনো পরিচালকের হাতেই পর্যাপ্তসংখ্যক শেয়ার নেই। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনায় সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
তবে পরিচালক পদ শূন্য হয়ে গেলেও প্রতিষ্ঠান চলতে তেমন সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ জহুর। গতকাল কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, 'অনেক পরিচালক শেষ মুহূর্তে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেছেন ন্যূনতম শেয়ার ধারণের। কিন্তু তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন। এমনও হয়েছে, অনেকে ঘোষণা দিয়েও শেয়ার কিনে কোটা পূরণ করতে পারেননি। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বোর্ডকে কোরাম সংকটে ভুগতে হবে। তবে আপাতত তেমন সমস্যা হবে না। কারণ এসইসির নির্দেশনায় ২২ মে থেকেই পরিচালকদের পদ শূন্য হয়ে যাবে, এমন কথা নেই। বরং সংশ্লিষ্ট কম্পানির আগামী এজিএম পর্যন্ত এই পরিচালকরা দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এজিএমের সময় নতুন পরিচালক শূন্য পদ পূরণ করবেন।'
এসইসি এ ক্ষেত্রে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্য থেকে পরিচালকদের শূন্য পদ পূরণের সুযোগ রেখেছে। এ জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মোট শেয়ারের ৫ শতাংশ ধারণ করতে হবে। তবে পর্যাপ্তসংখ্যক নতুন পরিচালক পেতে হলে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এই কোটা কমিয়ে আনতে হবে বলে জানান ড. সালেহ জহুর। তিনি বলেন, 'ব্যাংক ও ইনস্যুরেন্স খাতের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কোটা পূরণ অসম্ভব। এসইসিকে এই নিয়মের ক্ষেত্রে আরেকটু নমনীয় হতে হবে।'
সিএসইর প্রধান নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সাজিদ হোসাইন গতকাল মঙ্গলবার এ প্রসঙ্গে কালের কণ্ঠকে বলেন, '২১ মে পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সিএসইর তালিকাভুক্ত প্রায় ৪৩ শতাংশ পরিচালক ন্যূনতম কোটা পূরণ করেননি। সে ক্ষেত্রে এসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁদের পদ খালি হয়ে যাওয়ার কথা।' এ ব্যাপারে সিএসইর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আদালতের রায়ের সার্টিফায়েড কপি হাতে পাওয়ার পর করণীয় ঠিক করা হবে।'
তবে সিএসইর অন্য এক বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, এখানে তালিকাভুক্ত ২৪৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মিউচ্যুয়াল ফান্ড, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কম্পানি ও বন্ড বাদে বাকি ১৮২টি কম্পানির ১৫৯৩ জন পরিচালকের মধ্যে ৯১২ জন নির্দেশনা অনুযায়ী ২ শতাংশ কিংবা এর বেশি শেয়ার ধারণ করেছেন। এই সংখ্যা মোট পরিচালকের প্রায় ৫৭ শতাংশ। এর বাইরে ৬৮১ জন পরিচালক শেয়ার ধারণের কোটা পূরণ করতে পারেননি। এর একটি বড় অংশই ইনস্যুরেন্স খাতের পরিচালক। এরপর রয়েছেন ব্যাংক খাতের পরিচালকরা।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইনস্যুরেন্স খাতের মোট ২০০ পরিচালকের হাতে ন্যূনতম শেয়ার নেই। এর মধ্যে এসইসির প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে আদালতে রিট করা ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্সের ২৪ জন পরিচালকের ১৯ জনই ন্যূনতম কোটা পূরণ করেননি। এর চেয়েও খারাপ অবস্থা জনতা ইনস্যুরেন্সের। এই কম্পানির ১১ জন পরিচালকের মধ্যে ১০ জনের হাতেই ২ শতাংশের কম শেয়ার রয়েছে। পিপলস ও বিডি জেনারেল ইনস্যুরেন্সের ১১ জন পরিচালকের মধ্যে মাত্র দুজনের হাতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক শেয়ার রয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাংক খাতের ১৭৪ জন পরিচালকের কাছে পদ ধরে রাখার জন্য ন্যূনতম শেয়ার নেই। এর মধ্যে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের (এসআইবিএল) ১৮ জন পরিচালকের মধ্যে মাত্র চারজনের ২ শতাংশ কিংবা এর বেশি শেয়ার রয়েছে। বাকি ১৪ জনেরই পদ শূন্য হয়ে যাবে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ১৩ জন পরিচালকের মধ্যে ১০ জন ন্যূনতম শেয়ার ধারণ করেননি। পূবালী ব্যাংকের ১৩ পরিচালকের মধ্যে ৯, এবি ব্যাংকের আট পরিচালকের মধ্যে ছয়, আইএফআইসির ৯ জনের মধ্যে ছয়, এনসিসি ব্যাংকের ২৪ জনের মধ্যে ১৩, এক্সিম ব্যাংকের ১৬ জনের মধ্যে ৯ ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ২০ জনের মধ্যে ১১ জন পরিচালক ন্যূনতম শেয়ার ধারণ করেননি। মাইডাস ফিন্যান্সের সাত পরিচালকের মধ্যে ছয়জন এবং প্রাইম ফিন্যান্সের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনের হাতে ২ শতাংশ শেয়ার নেই। তাঁরা পদ হারাচ্ছেন।
এ ছাড়া ইনটেক অনলাইন, ব্র্যাক ব্যাংক, মুন্নু সিরামিক, আরামিট লিমিটেড, ওশান কনটেইনার লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কম্পানি, এমজেএল বাংলাদেশ, রহিমা ফুড ও আইপিডিসি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের কোনো পরিচালকের হাতেই পর্যাপ্তসংখ্যক শেয়ার নেই। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনায় সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
তবে পরিচালক পদ শূন্য হয়ে গেলেও প্রতিষ্ঠান চলতে তেমন সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ জহুর। গতকাল কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, 'অনেক পরিচালক শেষ মুহূর্তে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেছেন ন্যূনতম শেয়ার ধারণের। কিন্তু তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন। এমনও হয়েছে, অনেকে ঘোষণা দিয়েও শেয়ার কিনে কোটা পূরণ করতে পারেননি। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বোর্ডকে কোরাম সংকটে ভুগতে হবে। তবে আপাতত তেমন সমস্যা হবে না। কারণ এসইসির নির্দেশনায় ২২ মে থেকেই পরিচালকদের পদ শূন্য হয়ে যাবে, এমন কথা নেই। বরং সংশ্লিষ্ট কম্পানির আগামী এজিএম পর্যন্ত এই পরিচালকরা দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এজিএমের সময় নতুন পরিচালক শূন্য পদ পূরণ করবেন।'
এসইসি এ ক্ষেত্রে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্য থেকে পরিচালকদের শূন্য পদ পূরণের সুযোগ রেখেছে। এ জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মোট শেয়ারের ৫ শতাংশ ধারণ করতে হবে। তবে পর্যাপ্তসংখ্যক নতুন পরিচালক পেতে হলে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এই কোটা কমিয়ে আনতে হবে বলে জানান ড. সালেহ জহুর। তিনি বলেন, 'ব্যাংক ও ইনস্যুরেন্স খাতের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কোটা পূরণ অসম্ভব। এসইসিকে এই নিয়মের ক্ষেত্রে আরেকটু নমনীয় হতে হবে।'
No comments