এশিয়া এনার্জির চুক্তির কার্যকারিতা নে by ড. এম শামসুল আলম

ফুলবাড়ী কয়লাখনি-সংক্রান্ত এশিয়া এনার্জির সঙ্গে সরকারের ১৯৯৪ সালে সম্পাদিত চুক্তি নং-১১/সি-৯৪ বাতিলের জন্য তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ফুলবাড়ীতে অগণিত মানুষের


উপস্থিতিতে এশিয়া এনার্জির অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়। ঘেরাও কর্মসূচি শেষে পুলিশ ও বিডিআরের গুলির শিকার হয়ে তিনজন নিহত এবং বহু আহত হন। ফলে ফুলবাড়ীর জনগণ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে এবং গণবিস্ফোরণ ঘটে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ৩০ আগস্ট দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সঙ্গে এক সমঝোতা স্মারক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। তাতে আন্দোলন নিরসন হয় এবং ফুলবাড়ীর মানুষ ৩১ আগস্ট ফুলবাড়ী শহরে বিজয় উৎসব পালন করে।
পরবর্তী সময় এ চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে এশিয়া এনার্জি কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলে, ফুলবাড়ীতে তাদের কয়লাখনি প্রকল্পের কাজ অব্যাহত থাকবে। 'সহিংস' প্রতিবাদের কারণে মাঠপর্যায়ের কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। সরকারের সঙ্গে তাদের কার্যকর যোগাযোগ রয়েছে (০৩.০৯.২০০৬, সমকাল)। তা ছাড়া তদানীন্তন জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান চুক্তি বাতিল প্রসঙ্গে এই মর্মে মন্তব্য করেন যে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিনিয়োগ চুক্তি বাতিলের কোনো নজির নেই। এসব চুক্তি বাতিল করাও সহজ নয় (০৩.০৯.২০০৬, সমকাল)। সুতরাং এতদপ্রেক্ষিতে ওই সমঝোতা স্মারক চুক্তি সরকার বাস্তবায়ন করছে কি না সে সম্পর্কে মানুষের মনে ঘোরতর সন্দেহ দেখা দেয়। ফলে বিগত জোট সরকার ওই চুক্তি বাস্তবায়ন শুরু করে এবং ২(ক) দফা ব্যতীত ৬ দফা চুক্তির অধিকাংশই নিম্নরূপভাবে বাস্তবায়িত হয় : ১. ২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ সরকার পরিশোধ করে। ২. আহতদের ক্ষতিপূরণসহ ঘরবাড়ি, দোকানপাট, হোটেল-রেস্তোরাঁ, রিকশা-ভ্যান এসব ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকা জাতীয় কমিটি ফুলবাড়ী শাখার দুজন প্রতিনিধিসহ সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করে। ৩. ২৬ আগস্টের ঘটনায় গুলিতে নিহতদের বিষয়ে তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে এক সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি সরকার গঠন করে। কমিটি তদন্ত করে। ৪. অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একজন সহকারী পুলিশ সুপারসহ জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার দুজন প্রতিনিধি নিয়ে হত্যা করে গুম করা লাশ উদ্ধারের জন্য কমিটি গঠিত হয়। কমিটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়। ৫. নিহতদের নামে ফুলবাড়ী ব্রিজের পাশে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য সরকার জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে। নির্মাণ ব্যয় বাবদ চার লাখ টাকা মঞ্জুর করে। স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। ৬. কয়লাখনিবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা-মোকদ্দমা প্রত্যাহার করা হয় এবং নতুন করে আর কাউকে মামলায় জড়ানো হয়নি। ৭. তবে 'এশিয়া এনার্জির চিহ্নিত দালালদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।' চুক্তিতে বর্ণিত এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি। আর বাস্তবায়ন হয়নি নিম্নের ২(ক) নং চুক্তিটি -এশিয়া এনার্জির সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল করে এশিয়া এনার্জিকে ফুলবাড়ীসহ চার থানা ও বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাহার করা হবে। ফুলবাড়ীসহ চার থানা ও বাংলাদেশের কোনো জায়গায় উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লাখনি করা হবে না। অন্য কোনো পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করতে হলে জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে করতে হবে।
যেহেতু ফুলবাড়ীসহ চার থানা থেকে এশিয়া এনার্জিকে সরকার প্রত্যাহার করে, সেহেতু এশিয়া এনার্জিকে বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাহার করার বিষয়টি তখন ছিল আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। অতঃপর উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন নিষিদ্ধ করার বিধান বা বিধানাবলি ওই ২(ক) নং চুক্তি অনুযায়ী প্রস্তাবিত কয়লানীতির সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদে সংযোজন করে তদনুযায়ী খনিজসম্পদ আইন ও বিধিমালায় পরিবর্তন/সংশোধনী আনতে হবে। এ সংশোধনী গেজেটে প্রকাশ করার মাধ্যমে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে দেশে কয়লাখনি না করার সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন হবে। এ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলেই ওই ৬ দফা চুক্তি সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়।
অতঃপর নিম্নে বর্ণিত কারণে এশিয়া এনার্জির বিতর্কিত চুক্তিটির এখন আর কার্যকারিতা নেই : ১. ১৯৯৪ সালের ২০ আগস্ট বাংলাদেশ সরকার এবং বিএইচপি, মিনারেল ইন্টারন্যাশনাল এক্সপ্লোরেশন কম্পানির মধ্যে প্রসপেকটিং লাইসেন্স মঞ্জুরি, মাইনিং লিজ অ্যাগ্রিমেন্ট এবং ইনভেস্টমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের মাধ্যমে ফুলবাড়ী খনি অনুসন্ধান ও উন্নয়ন এবং কয়লা উত্তোলনের জন্য ১১/সি-৯৪ নং চুক্তি সম্পাদিত হয়। কিন্তু কত তারিখে প্রসপেকটিং লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে এবং মাইনিং লিজ অ্যাগ্রিমেন্ট ও ইনভেস্টমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট কত তারিখে সম্পাদিত হয়েছে তা উল্লেখ নেই। সেই সঙ্গে কত তারিখ থেকে প্রসপেকটিং লাইসেন্স, মাইনিং লিজ অ্যাগ্রিমেন্ট এবং ইনভেস্টমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট কার্যকর হবে তাও ওই সব চুক্তিতে উল্লেখ নেই। ২. যে তারিখ অর্থাৎ ২০ আগস্ট ১৯৯৪ চুক্তি সম্পাদিত হয় এবং এই তারিখে গেজেটে প্রকাশিত বিধান অনুয়ায়ী নির্ধারিত রয়ালটির পরিমাণ ২০ শতাংশ বলবৎ ছিল। তা সত্ত্বেও চুক্তিতে রয়ালটির পরিমাণ উল্লেখ রয়েছে ৬ শতাংশ। ৩. লিজি অর্থাৎ বিএইচপি ওই চুক্তিমতে প্রাপ্য লিজের অধিকার অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে হস্তান্তর করতে পারে খনি ও খনিজসম্পদ বিধি ১৯৬৮-এর ১২ বিধি অনুযায়ী সরকারের পূর্ব সম্মতিক্রমে। ওই সম্মতি খনি ও খনিজসম্পদ ব্যুরোর পরিচালক সরকারের পূর্ব অনুমতিক্রমে প্রদান করতে পারেন। এই বিধান চুক্তির ৩৮ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে। অথচ খনি ও খনিজসম্পদ ব্যুরোর পরিচালকের সম্মতি ছাড়াই ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ তারিখে খনি ও খনিজসম্পদ বিধি ১৯৬৮-এর ১৩ বিধির সূত্রে এসাইনির (এশিয়া এনার্জি) সঙ্গে সরকার নিজেই অ্যাসাইনমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টে আবদ্ধ হয়। কিন্তু ১৩ বিধিতে কিভাবে সম্মতির জন্য সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে কেবল তা-ই উল্লেখ রয়েছে। ৪. ওই অ্যাসাইনমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট '৯৮ লিজি অর্থাৎ বিএইচপি এবং এসাইনি অর্থাৎ এশিয়া এনার্জির মধ্যে সম্পাদিত হয়নি, হয়েছে সরকার ও এশিয়া এনার্জির মধ্যে এবং এই অ্যাগ্রিমেন্ট খনি ও খনিজসম্পদ বিধি '৬৮-এর ১২ বিধির আওতায়ও সম্পাদিত নয় এবং এ বিধির পরিপন্থী। ৫. বিএইচপির সঙ্গে ২০ আগস্ট ১৯৯৪ সম্পাদিত চুক্তির মেয়াদ তিন বছর পর অর্থাৎ ১৯৯৭ সালের ১৯ আগস্ট শেষ হয়। কিন্তু এশিয়া এনার্জির সঙ্গে অ্যাসাইনমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট সম্পাদিত হয় ১৯৯৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি। তখন মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বিএইচপির ওই চুক্তি বহাল ছিল না। ফলে ফুলবাড়ী খনির ওপর বিএইচপির স্বত্বাধিকার ছিল না। ৬. এশিয়া এনার্জি ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ তারিখে সম্পাদিত অ্যাসাইনমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট বলে ফুলবাড়ী কয়লা প্রকল্প থেকে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উৎপাদনের পরিকল্পনা করে ওই পরিকল্পনা অনুয়ায়ী ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৫ তারিখে এক বছরের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পায়। ২৫ সেপ্টেম্বর এ পরিকল্পনা নাকচ করে বিশেষজ্ঞ কমিটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন দাখিল করে। মেয়াদ বৃদ্ধি না হওয়ায় তার আগেই ওই ছাড়পত্রের মেয়াদ শেষ হয়।
অতএব, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রদত্ত ছাড়পত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায়, এশিয়া এনার্জির উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রস্তাব নাকচ হওয়ায়, বিএইচপির চুক্তি বৈধতা না থাকায় ও মেয়াদ উত্তীর্ণান্তে অ্যাসাইনমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট '৯৮ সম্পাদিত হওয়ায় এবং অ্যাসাইনমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট '৯৮ বৈধভাবে সম্পাদিত না হওয়ায় ফুলবাড়ী কয়লাখনির ওপর এশিয়া এনার্জির আইনগত স্বত্বাধিকার নেই। সুতরাং ফুলবাড়ী কয়লাখনি ঘিরে এশিয়া এনার্জির অব্যাহত কার্যক্রমকে যদি আইনি জবাবদিহিতার সম্মুখীন করা হয়, তাহলে জনগণ যে সংশয়ের মধ্যে আছে তা নিরসন হয়। কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়। সে বিদেশি বিনিয়োগকারীই হোক, আর অন্য যে কেউই হোক না কেন। ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রটেকশন অ্যাক্ট ১৯৮০ বিধিসম্মত বা বৈধ বিনিয়োগকে নিরাপত্তা দেয়। অবৈধ উপায়ে সম্পাদিত বিনিয়োগ চুক্তির আওতায় যে অস্বচ্ছ বিনিয়োগ হয়, নিশ্চয়ই সে বিনিয়োগকে নয়। ১৯৮৯ সালে সিমিটারের সঙ্গে সম্পাদিত অবৈধ চুক্তি বাতিল হয়। সে চুক্তিতে সিমিটারের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া যায়। মাগুরছড়া গ্যাসফিল্ড বিস্ফোরণ ক্ষতিপূরণজনিত বিচারাধীন রিট মামলা '০৩-এ অক্সিডেন্টালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। সম্পাদিত পিএসসির মেয়াদে আরোপিত দায়িত্ব সম্পন্ন করতে না পারায় অক্সিডেন্টাল অযোগ্য ও অনুপযুক্ত হয়। সম্পূরক চুক্তি '৯৮-এর আওতায় তাঁকে যোগ্য ও উপযুক্ত করে পিএসসির আওতায় প্রাপ্ত মাগুরছড়া গ্যাসফিল্ড উন্নয়নের কর্তৃত্ব পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এ সম্পূরক চুক্তির বৈধতা ওই রিট মামলায় চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। নাইকো চুক্তি '০৩ অবৈধতার অভিযোগে অভিযুক্ত। নাইকোর বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। কানাডিয়ান আদালতে নাইকোর দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। এমন সব বিদেশি বিনিয়োগকারীর বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি না হওয়ায় দেশের ভাবমূর্তি দেশ-বিদেশে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এ মর্মে সিগন্যাল পাচ্ছে যে এ দেশে বৈধভাবে বা ঘুষ না দিয়ে কোনো ব্যবসা হয় না। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে কোনো এক বিদেশি বিনিয়োগকারীর বক্তব্যে জানা যায়, কাজ শুরুর আগেই তাঁর ৪০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়। দেশের মানুষ মনে করে, 'যাঁরা এমন সব অবৈধ বিনিয়োগের নজির সৃষ্টি করতে চান এবং অবৈধ বিনিয়োগ চুক্তি বাতিল না করে বহাল রাখতে চান, তাঁরা দেশের স্বার্থবিরোধী। দেশপ্রেমিক নন। গণশত্রু।'
ভূপাল দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা ভারত সরকার করেছে। ইউনিয়ন কার্বাইড লিমিটেডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভারত সরকার ফৌজদারি মামলাও করেছে। ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তাঁদের সম্পর্কে সঠিক সিগন্যাল পেয়েছে এবং বুঝেছে সে দেশে আইন লঙ্ঘন করে দুর্নীতির আশ্রয়ে অবৈধ কোনো ব্যবসা চলে না। এ সিগন্যাল ভারতের ভাবমূর্তি বিশ্ববাসীর কাছে এবং সৎ ও স্বচ্ছ বিনিয়োগকারীদের কাছে উজ্জ্বল করেছে, যা যেকোনো দেশের দেশপ্রেমিক জনগণ চায়। বাংলাদেশে জনগণও তাই চায়।
লেখক : শিক্ষাবিদ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ

No comments

Powered by Blogger.