দুই নেত্রীর মতানৈক্য কমিয়ে আনতে হবে by আবদুল মান্নান
যে দুজন নেত্রী আমাদের রয়েছেন, তাঁরা দেশের প্রধান দুটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দুজনই সরকার পরিচালনায় অভিজ্ঞ। একজন শেখ হাসিনা, বর্তমান সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন; অন্যজন বেগম খালেদা জিয়া, একাধিকবার সরকারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যাঁরা দেশকে নেতৃত্ব দেবেন, তাঁদের অনেক গুণ থাকতে হয়।
সেসব গুণের প্রধান একটি হচ্ছে সহনশীলতা। সরকারের নানা কাজের নানা ধরনের সমালোচনা হয়ে থাকে। কখনো সে সমালোচনা সত্য, আবার কখনো সেসব মিথ্যাও হয়। এ সমালোচনা সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে আসে। গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, পেশাজীবী- সব অংশেই এ সমালোচনা থাকে। কিন্তু সেসবের পেছনে ধাওয়া করাটা সঠিক নয়। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে যে 'গাছে কুল থাকলে ঢিল পড়বেই।' সুতরাং সহনশীলতা প্রদর্শন করতেই হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমরা সে সহনশীলতা দুই নেত্রী এবং শীর্ষপর্যায়ের নেতাদের মধ্যে পর্যাপ্ত রয়েছে বলে দেখতে পাই না। প্রত্যাশা অনুযায়ী তা দেখি না। আর এই সহনশীলতা না থাকার কারণে সমাজে ও রাজনৈতিক অঙ্গনেও সংঘাত বেড়ে যাচ্ছে, তীব্র আকার ধারণ করছে। তাই এখন সময় এসেছে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দিকে নজর দেওয়া। বিরোধিতা থাকবেই। পশ্চিমা দেশগুলোতেও অনেক রাজনৈতিক বিরোধিতা দেখা যায়। কিন্তু সে সমাজে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিদ্যমান আছে। এ ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের চর্চাটা আমাদের অব্যাহতভাবে করা হয়ে ওঠেনি। বারবার গণতন্ত্র চর্চা ব্যাহত হয়েছে। আর এসব কারণেই নতুন প্রজন্মও সহনশীলতার কোনো শিক্ষা পায়নি। ভারতে কিন্তু আমাদের দেশের চেয়ে বেশি রাজনৈতিক সহনশীলতা লক্ষ করা যায়। তবে সেখানে যে রাজনৈতিক সংঘাত নেই, তা নয়। কিন্তু তার পাশের দেশ পাকিস্তানের অবস্থা দেখুন, কতটা করুণ। সেখানে বারবার গণতন্ত্র ব্যাহত হতে দেখা গেছে।
আরো কিছু বিষয় আছে। একটি দেশে যখন রাজনৈতিক অশান্তি সৃষ্টি হয়, তখন সেই সংঘাতকে পুঁজি করে তৃতীয় বা অসাংবিধানিক শক্তি ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করে। আবার তৃতীয় শক্তিও পানি ঘোলা করতে চাইতে পারে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক নেতাদের এবং সুশীল সমাজের সজাগ হওয়া প্রয়োজন আছে। হ্যাঁ, গণতন্ত্রের অনেক খারাপ দিক আছে। চার্চিলের একটি উক্তি আছে, যাকে বাংলায় বললে মোটামুটি এমন বলা যায়, গণতন্ত্র একটি খারাপ ব্যবস্থা, কিন্তু এখন পর্যন্ত গণতন্ত্রের চেয়ে ভালো কোনো ব্যবস্থা আমাদের সামনে নেই। সুতরাং গণতন্ত্রের অব্যাহত চর্চার মধ্য দিয়েই উত্তরণ ঘটাতে হবে। এ ব্যাপারে সমাজের যে অংশের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, তাঁরা কিন্তু সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন, তাঁরাও এগিয়ে আসতে পারেন। তাঁদেরই দুই নেত্রীকে মতানৈক্য কাটিয়ে যতটা কাছাকাছি আনা সম্ভব, সে চেষ্টা করতে হবে। গণমাধ্যমেরও একটি ভূমিকা আছে। যেমন ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের তীব্রতার ব্যাপারে গণমাধ্যমকে একটি ভূমিকা রাখতে দেখা গেছে। আমাদের দেশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা এগিয়ে এলে তাঁদের উপেক্ষা করা যাবে না। তাঁরা একটি উদ্যোগ নিতে পারেন। এটি একজন ব্যক্তির বিষয় নয়, এটি কালেকটিভ বিষয়।
অনুলিখন : মহসীন হাবিব
আরো কিছু বিষয় আছে। একটি দেশে যখন রাজনৈতিক অশান্তি সৃষ্টি হয়, তখন সেই সংঘাতকে পুঁজি করে তৃতীয় বা অসাংবিধানিক শক্তি ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করে। আবার তৃতীয় শক্তিও পানি ঘোলা করতে চাইতে পারে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক নেতাদের এবং সুশীল সমাজের সজাগ হওয়া প্রয়োজন আছে। হ্যাঁ, গণতন্ত্রের অনেক খারাপ দিক আছে। চার্চিলের একটি উক্তি আছে, যাকে বাংলায় বললে মোটামুটি এমন বলা যায়, গণতন্ত্র একটি খারাপ ব্যবস্থা, কিন্তু এখন পর্যন্ত গণতন্ত্রের চেয়ে ভালো কোনো ব্যবস্থা আমাদের সামনে নেই। সুতরাং গণতন্ত্রের অব্যাহত চর্চার মধ্য দিয়েই উত্তরণ ঘটাতে হবে। এ ব্যাপারে সমাজের যে অংশের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, তাঁরা কিন্তু সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন, তাঁরাও এগিয়ে আসতে পারেন। তাঁদেরই দুই নেত্রীকে মতানৈক্য কাটিয়ে যতটা কাছাকাছি আনা সম্ভব, সে চেষ্টা করতে হবে। গণমাধ্যমেরও একটি ভূমিকা আছে। যেমন ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের তীব্রতার ব্যাপারে গণমাধ্যমকে একটি ভূমিকা রাখতে দেখা গেছে। আমাদের দেশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা এগিয়ে এলে তাঁদের উপেক্ষা করা যাবে না। তাঁরা একটি উদ্যোগ নিতে পারেন। এটি একজন ব্যক্তির বিষয় নয়, এটি কালেকটিভ বিষয়।
অনুলিখন : মহসীন হাবিব
No comments