জীবন রক্ষার ওষুধ-যেন জীবননাশের কারণ না হয়
মানুষের জীবন রক্ষার জন্যই ওষুধ। এ ওষুধই আবার মানুষের জীবননাশের কারণ হতে পারে। ভুল ওষুধ মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে। কাজেই ওষুধ ব্যবহারের আগে ভেবে দেখতে হবে। এর আগে ওষুধ প্রস্তুতকারী বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সংসদীয় কমিটি প্রশ্ন তুললেও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়ে গেছে বহাল তবিয়তে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এসব প্রতিষ্ঠানের প্রশ্নবিদ্ধ ওষুধও বাজারে চলছে। অজ্ঞানতাবশতই চিকিৎসকরা তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে এসব ওষুধের নাম লিখছেন।
ওষুধ যে মানুষের জীবনহানির কারণ হতে পারে, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কিছুদিন আগেও একটি বিশেষ কম্পানির প্যারাসিটামল-জাতীয় ওষুধ সেবন করে বেশ কয়েকজন শিশুর মৃত্যু হয়। এতে ওষুধ প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। দেশে নকল ও ভেজাল ওষুধের অনেক কারখানা আছে। এসব নকল ও ভেজাল ওষুধ খেয়ে অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। আবার অনেক কম্পানির ওষুধ সঠিক মানের নয়। কম্পানিগুলো এসব নিম্নমানের ওষুধ বাজারজাত করছে। এসব ওষুধের প্রচারে অনেক সময় চিকিৎসকরাও বিভ্রান্ত হন। হওয়াটাই স্বাভাবিক। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি দেশের ১৫১টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এমন ১২৯টি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছিল, যেগুলো দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। আবার এ ১২৯টির মধ্যে ৬২টি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিকর ওষুধ তৈরি করে বলে তখন জানানো হয়েছিল। এই ৬২টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছিল। ওই ৬২টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু গেজেট হয়নি। এসব প্রতিষ্ঠানের ওষুধগুলো মানুষের জন্য ক্ষতিকর।
এমনিতেই অনেক নিম্নমানের ওষুধে বাজার ছেয়ে গেছে। আছে ভেজালের দৌরাত্ম্য। এমনকি জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীও ভেজাল হচ্ছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে গ্রামাঞ্চলের মানুষ। সেখানে সহজে মানুষকে ফাঁদে ফেলা যায়। অন্যদিকে পল্লী চিকিৎসকদের হাত করে বাণিজ্য করার অভিযোগও আছে। অনেক সময় শহরের নামি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের চিকিৎসকরাও যে বিভ্রান্ত হন না, তা নয়। ব্যাপারটা এক অর্থে প্রতারণার সঙ্গেই তুলনা করা চলে। চিকিৎসকদের পাশাপাশি রোগীদেরও প্রতারণার শিকার হতে হয়।
মানুষ অসুস্থ হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবে। চিকিৎসকও ব্যবস্থাপত্র দেবেন। কিন্তু যে ওষুধটি সেবন করা হচ্ছে বা ব্যবস্থাপত্রে লেখা হচ্ছে, সেটা সঠিক কি না তা দেখার দায়িত্ব যাদের, তারা সে দায়িত্ব কতটা পালন করছে? এ দেশে ওষুধ প্রশাসন বলে একটি প্রতিষ্ঠান আছে। কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠানটি কি সঠিক দায়িত্ব পালন করছে বা করতে পারছে? সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রশ্নবিদ্ধ ৬২টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই ৬২টি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কোনো তথ্য কারো কাছে নেই। ফলে চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্রে যে ওষুধ লিখছেন, সে ওষুধ ওই নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানের কি না তা জানা যাচ্ছে না। যেহেতু গেজেট করে প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম জানানো হয়নি, স্বাভাবিকভাবেই এটাও সন্দেহ করা যেতে পারে যে প্রতিষ্ঠানগুলো ওই ওষুধ বাজারজাত করছে বা আগের মজুদ থেকে বাজারে ক্ষতিকর ওষুধ যাচ্ছে কি না সেটা দেখার দায়িত্ব কার? একটি গেজেট থাকলে মানুষ সচেতন হতে পারত। চিকিৎসকরাও ব্যবস্থাপত্র লেখার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে পারতেন।
ওষুধের ব্যবসা অন্য দশটা ব্যবসার মতো নয়। ওষুধ প্রস্তুতকারী বা বিক্রেতা সবাইকে সেবার মানসিকতা নিয়ে ব্যবসা করতে হবে। ওষুধ যেন জীবননাশের কারণ না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।
ওষুধ যে মানুষের জীবনহানির কারণ হতে পারে, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কিছুদিন আগেও একটি বিশেষ কম্পানির প্যারাসিটামল-জাতীয় ওষুধ সেবন করে বেশ কয়েকজন শিশুর মৃত্যু হয়। এতে ওষুধ প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। দেশে নকল ও ভেজাল ওষুধের অনেক কারখানা আছে। এসব নকল ও ভেজাল ওষুধ খেয়ে অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। আবার অনেক কম্পানির ওষুধ সঠিক মানের নয়। কম্পানিগুলো এসব নিম্নমানের ওষুধ বাজারজাত করছে। এসব ওষুধের প্রচারে অনেক সময় চিকিৎসকরাও বিভ্রান্ত হন। হওয়াটাই স্বাভাবিক। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি দেশের ১৫১টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এমন ১২৯টি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছিল, যেগুলো দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। আবার এ ১২৯টির মধ্যে ৬২টি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিকর ওষুধ তৈরি করে বলে তখন জানানো হয়েছিল। এই ৬২টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছিল। ওই ৬২টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু গেজেট হয়নি। এসব প্রতিষ্ঠানের ওষুধগুলো মানুষের জন্য ক্ষতিকর।
এমনিতেই অনেক নিম্নমানের ওষুধে বাজার ছেয়ে গেছে। আছে ভেজালের দৌরাত্ম্য। এমনকি জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীও ভেজাল হচ্ছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে গ্রামাঞ্চলের মানুষ। সেখানে সহজে মানুষকে ফাঁদে ফেলা যায়। অন্যদিকে পল্লী চিকিৎসকদের হাত করে বাণিজ্য করার অভিযোগও আছে। অনেক সময় শহরের নামি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের চিকিৎসকরাও যে বিভ্রান্ত হন না, তা নয়। ব্যাপারটা এক অর্থে প্রতারণার সঙ্গেই তুলনা করা চলে। চিকিৎসকদের পাশাপাশি রোগীদেরও প্রতারণার শিকার হতে হয়।
মানুষ অসুস্থ হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবে। চিকিৎসকও ব্যবস্থাপত্র দেবেন। কিন্তু যে ওষুধটি সেবন করা হচ্ছে বা ব্যবস্থাপত্রে লেখা হচ্ছে, সেটা সঠিক কি না তা দেখার দায়িত্ব যাদের, তারা সে দায়িত্ব কতটা পালন করছে? এ দেশে ওষুধ প্রশাসন বলে একটি প্রতিষ্ঠান আছে। কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠানটি কি সঠিক দায়িত্ব পালন করছে বা করতে পারছে? সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রশ্নবিদ্ধ ৬২টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই ৬২টি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কোনো তথ্য কারো কাছে নেই। ফলে চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্রে যে ওষুধ লিখছেন, সে ওষুধ ওই নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানের কি না তা জানা যাচ্ছে না। যেহেতু গেজেট করে প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম জানানো হয়নি, স্বাভাবিকভাবেই এটাও সন্দেহ করা যেতে পারে যে প্রতিষ্ঠানগুলো ওই ওষুধ বাজারজাত করছে বা আগের মজুদ থেকে বাজারে ক্ষতিকর ওষুধ যাচ্ছে কি না সেটা দেখার দায়িত্ব কার? একটি গেজেট থাকলে মানুষ সচেতন হতে পারত। চিকিৎসকরাও ব্যবস্থাপত্র লেখার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে পারতেন।
ওষুধের ব্যবসা অন্য দশটা ব্যবসার মতো নয়। ওষুধ প্রস্তুতকারী বা বিক্রেতা সবাইকে সেবার মানসিকতা নিয়ে ব্যবসা করতে হবে। ওষুধ যেন জীবননাশের কারণ না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।
No comments