টিআর প্রকল্পে দুর্নীতি-জনপ্রতিনিধিদের সদিচ্ছা দরকার
টিআর বা টেস্ট রিলিফের গম নিয়ে বিশৃঙ্খলা, লুটপাট ও অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘকালের এবং সব সময় দেখা গেছে, এই গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির গম, চাল, ঢেউটিনসহ নানা দ্রব্য আত্মসাতের পেছনে স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি সক্রিয় থাকে।
তারা বিভিন্ন স্তরের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আঁতাত করে সড়ক ও পুল মেরামতের নামে বা স্কুল-মাদ্রাসার নামে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে কিংবা সম্পূর্ণ ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে প্রচুর পরিমাণে গম-চাল সরিয়ে নিয়ে থাকে। অনেক সময়ই দেখা যায়, যাদের নাম করে এসব নেওয়া হয়, তারা কিছুই জানে না। তাদের স্বাক্ষর ও টিপসই এক হাতে কেউ দিয়ে বরাদ্দের কাগজপত্রে পূর্ণতা আনে। এমনই ঘটনা আবারও দেখা গেল শেরপুরে বেশ কয়েকটি প্রকল্প নিয়ে। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় ২০১১-১২ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির সাধারণ বরাদ্দের ১০০ মেট্রিক টন গম ভুয়া প্রকল্প দাখিল করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে যে ৩৭টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে ৩৫টি প্রকল্পেই কোনো কাজ হয়নি। এমনকি কোনো কোনো প্রকল্প কমিটির অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
টেস্ট রিলিফের উদ্দেশ্য হচ্ছে অভাব-অনটনে থাকা মানুষকে কিছুটা সহায়তা দেওয়া। সঠিকভাবে প্রকল্পের কাজ হলে গরিব মানুষের কিছুটা লাভ হয়। সে জন্য পুরোপুরি প্রকল্প মেরে দেওয়ার এই পুকুরচুরি বন্ধ করা অতি আবশ্যক। দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করা যায়, ভিজিএফের চাল, টিআরের গম কালোবাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হয়ে থাকে। এ যেন স্বাভাবিক ও সহনশীল একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশব্যাপী এ প্রবণতা রুখতে হলে অত্যন্ত কঠোর নজরদারির প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের সদিচ্ছার প্রয়োজন আছে। সবচেয়ে বড় কথা, প্রকল্পগুলো রাজনৈতিক বিবেচনায় বরাদ্দ দেওয়া বন্ধ করে সঠিক নীতিমালার ভিত্তিতে দেওয়া গেলে এ ধরনের পুকুরচুরি বন্ধ হতে পারে। যদিও প্রকল্পের গম-চাল আত্মসাতের অসংখ্য ঘটনা দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তাধীন রয়েছে এবং বিগত দিনেও কমিশন এমন অনেক ঘটনার তদন্ত করেছে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়নি নানা ধরনের জটিলতার কারণে। তাই গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ-সংক্রান্ত সব প্রকল্পে স্বচ্ছতা আনতে বিশেষ আইন করা যেতে পারে। সরকারের কাছে আমাদের এমন পরামর্শই থাকবে।
টেস্ট রিলিফের উদ্দেশ্য হচ্ছে অভাব-অনটনে থাকা মানুষকে কিছুটা সহায়তা দেওয়া। সঠিকভাবে প্রকল্পের কাজ হলে গরিব মানুষের কিছুটা লাভ হয়। সে জন্য পুরোপুরি প্রকল্প মেরে দেওয়ার এই পুকুরচুরি বন্ধ করা অতি আবশ্যক। দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করা যায়, ভিজিএফের চাল, টিআরের গম কালোবাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হয়ে থাকে। এ যেন স্বাভাবিক ও সহনশীল একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশব্যাপী এ প্রবণতা রুখতে হলে অত্যন্ত কঠোর নজরদারির প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের সদিচ্ছার প্রয়োজন আছে। সবচেয়ে বড় কথা, প্রকল্পগুলো রাজনৈতিক বিবেচনায় বরাদ্দ দেওয়া বন্ধ করে সঠিক নীতিমালার ভিত্তিতে দেওয়া গেলে এ ধরনের পুকুরচুরি বন্ধ হতে পারে। যদিও প্রকল্পের গম-চাল আত্মসাতের অসংখ্য ঘটনা দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তাধীন রয়েছে এবং বিগত দিনেও কমিশন এমন অনেক ঘটনার তদন্ত করেছে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়নি নানা ধরনের জটিলতার কারণে। তাই গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ-সংক্রান্ত সব প্রকল্পে স্বচ্ছতা আনতে বিশেষ আইন করা যেতে পারে। সরকারের কাছে আমাদের এমন পরামর্শই থাকবে।
No comments