ডেসটিনি নিয়ে কমিশন গঠন করবে সরকার
মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে একটি কমিশন গঠন করবে সরকার। অবৈধ ব্যাংকিংয়ের দায়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠান যুব কর্মসংস্থান সোসাইটির (যুবক) গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য যেভাবে কমিশন গঠন করা হয়েছিল, ডেসটিনির ক্ষেত্রেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাজ্যের ক্যামডিন শহরের মেয়র আবদুল কাদেরের সঙ্গে গতকাল শনিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সৌজন্য বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ কথা বলেন।
এদিকে, সরকারের আরও কয়েকটি সংস্থাও ডেসটিনি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এর মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি তদন্ত দল গঠন করেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ডেসটিনির আয়কর নথি জব্দ করেছে। এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং সমবায় অধিদপ্তরও কমিটি গঠন করেছে। অবৈধ ব্যাংকিং, অর্থ পাচার, কর ফাঁকি, প্রতারণা, এক কোম্পানির অর্থ বেআইনিভাবে অন্য কোম্পানিতে সরানো ইত্যাদি বিষয়ে এরই মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে সংস্থাগুলো।
কমিশন গঠনের উদ্যোগ: অর্থমন্ত্রী গতকাল ডেসটিনির প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের কিছু তো সম্পদ থাকে। আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে, সম্পদ যাতে তারা স্থানান্তর (ট্রান্সফার) করতে না পারে। যুবকের ব্যাপারে একটি কমিশন গঠন করেছিলাম। এদের ক্ষেত্রেও তা-ই করব।’ যুক্তি দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সম্পত্তি থাকলেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়। যুবকের জন্য গঠিত কমিশন এখন যেমন ক্ষতিগ্রস্তদের সম্পদ ভাগ-টাগ করে দেবে, ডেসটিনির ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, গত কয়েক দিনে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ডেসটিনি নিয়ে এত বেশি লেখালেখি হয়েছে যে বিষয়টি এখন জরুরি পরিস্থিতির মতো সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় সরকার কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে থাকতে পারে না। তিনি আরও বলেন, ‘ডেসটিনির ব্যাপারেও বোধ হয় যুবকের মতো মামলা করতে হবে। এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি যে যুবকের ব্যাপারে কখন খবর পেলাম, কখন ব্যবস্থা নিলাম, কীভাবে হলো। ডেসটিনির ব্যাপারেও সে রকম কিছু করা যায় কি না, দেখছি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে ‘মাল্টিপারপাসের’ বয়স ৫০ বছর হলেও দেশে এর বয়স ২০ বছর। দেশে এসবের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা অনেক সময় উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে মানুষের সর্বস্ব কেড়ে নেন। এমএলএম কোম্পানিগুলো অনেক সময় কো-অপারেটিভের সঙ্গে গোলমাল পাকিয়ে ফেলে। এটা একটা সমস্যা। এ সমস্যাও রোধ করা হবে।
এমএলএম কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণের জন্য যে সরাসরি বিক্রয় আইন (ডিরেক্ট সেলস অ্যাক্ট) হওয়ার কথা, তার অগ্রগতি জানতে চাইলে মুহিত বলেন, ‘একটি খসড়া হয়েছে, যা মন্ত্রিসভায়ও উপস্থাপিত হয়েছিল। খসড়ায় এদের নিয়ন্ত্রণের জন্য আলাদা সংস্থা গঠনের কথা বলা হয়েছিল। মন্ত্রণালয় এখানেই আপত্তি জানিয়েছে।’ যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের পরিদপ্তরের (রেজসকো) মাধ্যমেই এসব এমএলএম কোম্পানিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় কি না, দেখা হচ্ছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
আয়কর নথি জব্দ: সূত্র জানায়, এনবিআর এরই মধ্যে ডেসটিনি গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকির বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে। এনবিআরের গঠিত একটি বিশেষ কমিটি (টাস্কফোর্স) গত বৃহস্পতিবার ডেসটিনি গ্রুপের মূল প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের কাকরাইলের প্রধান কার্যালয়ে ঝটিকা অভিযান চালিয়েছে। ওই দিন সকালে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের একজন যুগ্ম মহাপরিচালকের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে বিগত পাঁচ বছরের কর-সংক্রান্ত নথি ও লেনদেনের যাবতীয় দলিল জব্দ করে এনবিআরে আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, মাঠ পর্যায়ের কর কার্যালয় থেকে আনা আয়কর বিবরণীর নথিগুলোর সঙ্গে জব্দকৃত দলিলাদি মিলিয়ে দেখা হবে। ডেসটিনির অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর যাবতীয় আয়-ব্যয়ও খতিয়ে দেখছে এনবিআর। সূত্র জানায়, এই কমিটি চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ডেসটিনির বিষয়ে একটি প্রতিবেদন সম্পন্ন করবে।
আরও তদন্ত: এর আগে গত ২০ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক ডেসটিনির বিরুদ্ধে অবৈধ ব্যাংকিংয়ের অভিযোগ এনে একটি প্রতিবেদন অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সমবায় অধিদপ্তরের সমন্বয়ে সরেজমিনে, ব্যাপকভিত্তিক আরেকটি পরিদর্শনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া, ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর অবৈধ কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্য গঠিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কমিটির আকার বাড়ানো হয়েছে। যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের পরিদপ্তরের (রেজসকো) নিবন্ধক আহমেদুর রহিমকে প্রধান করে গঠিত এ কমিটি কয়েক দফা সভা করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একজন করে উপসচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) থেকে একজন করে উপপরিচালকের নাম রেজসকোতে এসে পৌঁছেছে। ডেসটিনি গ্রুপের অন্যতম আমানত সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি যেহেতু পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন সমবায় অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নেওয়া, তাই পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিবের কাছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার একজন প্রতিনিধি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
এদিকে, সরকারের আরও কয়েকটি সংস্থাও ডেসটিনি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এর মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি তদন্ত দল গঠন করেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ডেসটিনির আয়কর নথি জব্দ করেছে। এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং সমবায় অধিদপ্তরও কমিটি গঠন করেছে। অবৈধ ব্যাংকিং, অর্থ পাচার, কর ফাঁকি, প্রতারণা, এক কোম্পানির অর্থ বেআইনিভাবে অন্য কোম্পানিতে সরানো ইত্যাদি বিষয়ে এরই মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে সংস্থাগুলো।
কমিশন গঠনের উদ্যোগ: অর্থমন্ত্রী গতকাল ডেসটিনির প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের কিছু তো সম্পদ থাকে। আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে, সম্পদ যাতে তারা স্থানান্তর (ট্রান্সফার) করতে না পারে। যুবকের ব্যাপারে একটি কমিশন গঠন করেছিলাম। এদের ক্ষেত্রেও তা-ই করব।’ যুক্তি দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সম্পত্তি থাকলেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়। যুবকের জন্য গঠিত কমিশন এখন যেমন ক্ষতিগ্রস্তদের সম্পদ ভাগ-টাগ করে দেবে, ডেসটিনির ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, গত কয়েক দিনে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ডেসটিনি নিয়ে এত বেশি লেখালেখি হয়েছে যে বিষয়টি এখন জরুরি পরিস্থিতির মতো সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় সরকার কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে থাকতে পারে না। তিনি আরও বলেন, ‘ডেসটিনির ব্যাপারেও বোধ হয় যুবকের মতো মামলা করতে হবে। এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি যে যুবকের ব্যাপারে কখন খবর পেলাম, কখন ব্যবস্থা নিলাম, কীভাবে হলো। ডেসটিনির ব্যাপারেও সে রকম কিছু করা যায় কি না, দেখছি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে ‘মাল্টিপারপাসের’ বয়স ৫০ বছর হলেও দেশে এর বয়স ২০ বছর। দেশে এসবের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা অনেক সময় উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে মানুষের সর্বস্ব কেড়ে নেন। এমএলএম কোম্পানিগুলো অনেক সময় কো-অপারেটিভের সঙ্গে গোলমাল পাকিয়ে ফেলে। এটা একটা সমস্যা। এ সমস্যাও রোধ করা হবে।
এমএলএম কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণের জন্য যে সরাসরি বিক্রয় আইন (ডিরেক্ট সেলস অ্যাক্ট) হওয়ার কথা, তার অগ্রগতি জানতে চাইলে মুহিত বলেন, ‘একটি খসড়া হয়েছে, যা মন্ত্রিসভায়ও উপস্থাপিত হয়েছিল। খসড়ায় এদের নিয়ন্ত্রণের জন্য আলাদা সংস্থা গঠনের কথা বলা হয়েছিল। মন্ত্রণালয় এখানেই আপত্তি জানিয়েছে।’ যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের পরিদপ্তরের (রেজসকো) মাধ্যমেই এসব এমএলএম কোম্পানিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় কি না, দেখা হচ্ছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
আয়কর নথি জব্দ: সূত্র জানায়, এনবিআর এরই মধ্যে ডেসটিনি গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকির বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে। এনবিআরের গঠিত একটি বিশেষ কমিটি (টাস্কফোর্স) গত বৃহস্পতিবার ডেসটিনি গ্রুপের মূল প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের কাকরাইলের প্রধান কার্যালয়ে ঝটিকা অভিযান চালিয়েছে। ওই দিন সকালে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের একজন যুগ্ম মহাপরিচালকের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে বিগত পাঁচ বছরের কর-সংক্রান্ত নথি ও লেনদেনের যাবতীয় দলিল জব্দ করে এনবিআরে আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, মাঠ পর্যায়ের কর কার্যালয় থেকে আনা আয়কর বিবরণীর নথিগুলোর সঙ্গে জব্দকৃত দলিলাদি মিলিয়ে দেখা হবে। ডেসটিনির অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর যাবতীয় আয়-ব্যয়ও খতিয়ে দেখছে এনবিআর। সূত্র জানায়, এই কমিটি চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ডেসটিনির বিষয়ে একটি প্রতিবেদন সম্পন্ন করবে।
আরও তদন্ত: এর আগে গত ২০ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক ডেসটিনির বিরুদ্ধে অবৈধ ব্যাংকিংয়ের অভিযোগ এনে একটি প্রতিবেদন অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সমবায় অধিদপ্তরের সমন্বয়ে সরেজমিনে, ব্যাপকভিত্তিক আরেকটি পরিদর্শনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া, ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর অবৈধ কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্য গঠিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কমিটির আকার বাড়ানো হয়েছে। যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের পরিদপ্তরের (রেজসকো) নিবন্ধক আহমেদুর রহিমকে প্রধান করে গঠিত এ কমিটি কয়েক দফা সভা করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একজন করে উপসচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) থেকে একজন করে উপপরিচালকের নাম রেজসকোতে এসে পৌঁছেছে। ডেসটিনি গ্রুপের অন্যতম আমানত সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি যেহেতু পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন সমবায় অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নেওয়া, তাই পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিবের কাছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার একজন প্রতিনিধি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
No comments