‘স্কোরলাইন ৪-০ চাইব আমি’
ক্যানসারে আক্রান্ত স্ত্রী জেনকে নিয়ে ২০০২ সালে গড়েছিলেন ‘ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশন’। জেন পৃথিবী ছেড়ে গেছেন ২০০৮ সালের জুনে, কিন্তু এগিয়ে যাচ্ছে ফাউন্ডেশন। সচেতনতা সৃষ্টির অংশ হিসেবে প্রতিবছর সিডনি টেস্টের একটি দিন পালন করা হয় ‘পিংক ডে’ হিসেবে। হবে এবারও। পিংক টেস্টের আগে ভারতীয় একটি দৈনিকের সঙ্গে কথা বললেন টেস্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা চলতি সিরিজ নিয়ে ভাবনা...
গ্লেন ম্যাকগ্রা: আমার ধারণা, দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। তবে একজন অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে আমি চাইব, স্কোরলাইন থাকুক ৪-০! জেমস প্যাটিনসনকে যেমন দেখলেন... ম্যাকগ্রা: দারুণ প্রতিশ্রুতিশীল...এখনো অবশ্য ওর সঙ্গে আমার কথা বলার সুযোগ হয়নি, হয়তো সিডনিতেই সুযোগটা আসবে।
টেস্ট ক্রিকেটের চূড়া থেকে অস্ট্রেলিয়ার পতন...
ম্যাকগ্রা: এমনটা হয়েই থাকে, অস্বাভাবিক কিছু নয়। পাশাপাশি এটাও বলতে হয়, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের জন্য এখন রোমাঞ্চকর সময়, সুযোগ লুফে নেওয়ার সময়। তরুণদের ওপর আমার বিশ্বাস আছে।
পেসারদের জন্য গতির গুরুত্ব...
ম্যাকগ্রা: এটা অবশ্যই বড় একটা সম্পদ। আমার যদি ১৬০ কিলোমিটার গতিতে বোলিংয়ের সামর্থ্য থাকত, তবে অবশ্যই সেটা করতাম।
কোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে এখনো বোলিং করেন কি না?
ম্যাকগ্রা: নাহ্...আমার জীবনের ওই অংশটা চুকেবুকে গেছে। বোলিং করাটা আমি মিস করি না। ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশনের কাজ নিয়েই ব্যস্ত আছি। কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্যও কাজ করি...অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যখন খেলতাম, তার চেয়েও এখন সম্ভবত বেশি ব্যস্ত।
শচীন টেন্ডুলকার ও তাঁর শততম সেঞ্চুরি নিয়ে ভাবনা...
ম্যাকগ্রা: শচীনের জন্য আমার শ্রদ্ধা অপরিসীম। অসাধারণ একজন ক্রিকেটার। আর শততম সেঞ্চুরিটা কোনো একটা সময় ও অবশ্যই পেয়ে যাবে। তবে আমি খুশি হব সেঞ্চুরিটা যদি এই সফর শেষে প্রথম ম্যাচেই পায়!
মিডিয়া রিকি পন্টিংয়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে কি না...
ম্যাকগ্রা: অস্ট্রেলিয়া হোক আর ভারত, সংবাদমাধ্যম অনেক সময়ই ঝুঁকিপূর্ণ...রিকি অসাধারণ একজন ক্রিকেটার, মেলবোর্নেও ও সেটা দেখিয়েছে।
মাইকেল ক্লার্কের অধিনায়কত্ব...
ম্যাকগ্রা: দারুণ করছে, দলকে ভালোভাবে এগিয়ে নিচ্ছে। আমি ওর অধিনায়কত্বে সন্তুষ্ট।
ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম...
ম্যাকগ্রা: আমাদের মূল লক্ষ্য স্তন ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা তৈরি করা। গত চার বছরে আমরা প্রায় আড়াই কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার সংগ্রহ করেছি। সম্প্রতি ৭১ জন নার্স ফাউন্ডেশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
ক্রিকেটারদের কাছ থেকে বিপুল সাড়া...
ম্যাকগ্রা: আমি তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। অস্ট্রেলিয়া দল তো সব সময়ই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে আসছে, এবার ভারতও যথেষ্ট সাহায্য করেছে। আপনারা দেখেছেন সবাই গোলাপি টুপি পড়েছিল, যেটা এই ফাউন্ডেশনের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য।
বোর্ডগুলোকে সম্পৃক্ত করার চিন্তা আছে কি না...
ম্যাকগ্রা: ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা তো এগিয়ে এসেছে। কিছুদিন আগে ওয়ান্ডারার্স টেস্টের তৃতীয় দিনে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্যানসার সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে তহবিল সংগ্রহের সুযোগ করে দিয়েছিল। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তো সব সময়ই আমাদের পাশে আছে।
ইমরান খানের ক্যানসার হাসপাতালের মতো কিছু করার চিন্তা আছে কি না...
ম্যাকগ্রা: এ মুহূর্তে আমরা আসলে নিজেদের মূল লক্ষ্যগুলো নিয়ে ভাবছি, আপাতত ফাউন্ডেশন অগ্রাধিকার দিচ্ছে সচেতনতা সৃষ্টিকে। তবে ভবিষ্যতে যদি কখনো সুযোগ আসে, হয়তো আমরা ভাবব।
তরুণদের জন্য পরামর্শ...
ম্যাকগ্রা: যেটাই করো না কেন, উপভোগ করো। উপভোগ করলে কঠিন কাজও সহজ হয়ে যায়।
টেস্ট ক্রিকেটের চূড়া থেকে অস্ট্রেলিয়ার পতন...
ম্যাকগ্রা: এমনটা হয়েই থাকে, অস্বাভাবিক কিছু নয়। পাশাপাশি এটাও বলতে হয়, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের জন্য এখন রোমাঞ্চকর সময়, সুযোগ লুফে নেওয়ার সময়। তরুণদের ওপর আমার বিশ্বাস আছে।
পেসারদের জন্য গতির গুরুত্ব...
ম্যাকগ্রা: এটা অবশ্যই বড় একটা সম্পদ। আমার যদি ১৬০ কিলোমিটার গতিতে বোলিংয়ের সামর্থ্য থাকত, তবে অবশ্যই সেটা করতাম।
কোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে এখনো বোলিং করেন কি না?
ম্যাকগ্রা: নাহ্...আমার জীবনের ওই অংশটা চুকেবুকে গেছে। বোলিং করাটা আমি মিস করি না। ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশনের কাজ নিয়েই ব্যস্ত আছি। কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্যও কাজ করি...অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যখন খেলতাম, তার চেয়েও এখন সম্ভবত বেশি ব্যস্ত।
শচীন টেন্ডুলকার ও তাঁর শততম সেঞ্চুরি নিয়ে ভাবনা...
ম্যাকগ্রা: শচীনের জন্য আমার শ্রদ্ধা অপরিসীম। অসাধারণ একজন ক্রিকেটার। আর শততম সেঞ্চুরিটা কোনো একটা সময় ও অবশ্যই পেয়ে যাবে। তবে আমি খুশি হব সেঞ্চুরিটা যদি এই সফর শেষে প্রথম ম্যাচেই পায়!
মিডিয়া রিকি পন্টিংয়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে কি না...
ম্যাকগ্রা: অস্ট্রেলিয়া হোক আর ভারত, সংবাদমাধ্যম অনেক সময়ই ঝুঁকিপূর্ণ...রিকি অসাধারণ একজন ক্রিকেটার, মেলবোর্নেও ও সেটা দেখিয়েছে।
মাইকেল ক্লার্কের অধিনায়কত্ব...
ম্যাকগ্রা: দারুণ করছে, দলকে ভালোভাবে এগিয়ে নিচ্ছে। আমি ওর অধিনায়কত্বে সন্তুষ্ট।
ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম...
ম্যাকগ্রা: আমাদের মূল লক্ষ্য স্তন ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা তৈরি করা। গত চার বছরে আমরা প্রায় আড়াই কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার সংগ্রহ করেছি। সম্প্রতি ৭১ জন নার্স ফাউন্ডেশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
ক্রিকেটারদের কাছ থেকে বিপুল সাড়া...
ম্যাকগ্রা: আমি তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। অস্ট্রেলিয়া দল তো সব সময়ই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে আসছে, এবার ভারতও যথেষ্ট সাহায্য করেছে। আপনারা দেখেছেন সবাই গোলাপি টুপি পড়েছিল, যেটা এই ফাউন্ডেশনের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য।
বোর্ডগুলোকে সম্পৃক্ত করার চিন্তা আছে কি না...
ম্যাকগ্রা: ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা তো এগিয়ে এসেছে। কিছুদিন আগে ওয়ান্ডারার্স টেস্টের তৃতীয় দিনে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্যানসার সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে তহবিল সংগ্রহের সুযোগ করে দিয়েছিল। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তো সব সময়ই আমাদের পাশে আছে।
ইমরান খানের ক্যানসার হাসপাতালের মতো কিছু করার চিন্তা আছে কি না...
ম্যাকগ্রা: এ মুহূর্তে আমরা আসলে নিজেদের মূল লক্ষ্যগুলো নিয়ে ভাবছি, আপাতত ফাউন্ডেশন অগ্রাধিকার দিচ্ছে সচেতনতা সৃষ্টিকে। তবে ভবিষ্যতে যদি কখনো সুযোগ আসে, হয়তো আমরা ভাবব।
তরুণদের জন্য পরামর্শ...
ম্যাকগ্রা: যেটাই করো না কেন, উপভোগ করো। উপভোগ করলে কঠিন কাজও সহজ হয়ে যায়।
No comments