কারখানা করতে মেঘনা দখল! by মনিরুজ্জামান
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ঝাউচরে মেঘনা নদীর বুকে কারখানা নির্মাণের চেষ্টা চলছে। একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বেড়া দিয়ে নদীর একাংশ অবৈধভাবে দখল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে যুবলীগের স্থানীয় একজন নেতা এ কাজের তদারক করছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় গত সোমবার সোনারগাঁ থানার পুলিশ বাদী হয়ে ‘আল-মোস্তফা’ নামে ওই শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোস্তফা কামাল। মেঘনা ঘাটের ইসলামপুরে তাঁর আরেকটি কারখানা রয়েছে। সেখানে টিনজাতীয় পণ্য প্রস্তুত করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এম আল-আমিন প্রথম আলোকে জানান, প্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবে নদী দখল করেছে। সরেজমিনে পরিদর্শন করে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে নদীর তীরে সব ধরনের নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউপির ঝাউচর গ্রামের পাশে চর রমজান সোনা উল্লাহ মৌজায় মেঘনা নদীতে এক মাস ধরে খুঁটি পোঁতার কাজ চলছে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, ভূমি কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও পুলিশ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। তার পরও কাজ চলছে।
ঝাউচর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হক ও নাসির আলী জানান, প্রতিষ্ঠানটি শুরুতে কিছু জমি কেনে। পরে খাসজমি বালু দিয়ে ভরাট করে। এখন নদী দখলে নেমেছে তারা।
২ এপ্রিল সরেজমিনে দেখা যায়, খুঁটি পোঁতা স্থানের দক্ষিণে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের লবণ ও চিনির কারখানা। পশ্চিমে ৫০০ গজ দূরে ঝাউচর হাফিজিয়া মাদ্রাসা। পাড় থেকে নদীর ভেতরে প্রায় ৪০০ ফুট ঢুকে তিন দিক থেকে গজারি গাছের খুঁটি পুঁতে বেড়া দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বাঁধের ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিক কাজ করছেন সেখানে।
নির্মাণশ্রমিক আলী আমজাদ জানান, বেড়ার কাজ শেষে বালুর বস্তা ও মাটি ফেলে ভরাট করা হবে। তারপর শুরু হবে কারখানার নির্মাণকাজ। স্থানীয় নেতা ও কোম্পানির প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে কাজ করছেন তাঁরা।
অভিযোগ রয়েছে, সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান ওই প্রতিষ্ঠানের কাজ তদারক করছেন। অভিযোগ অস্বীকার করে মাসুদ বলেন, ‘আমি দখলবাজির সঙ্গে জড়িত নই। আমরা বৈধভাবে ব্যবসা করি। কোম্পানির মালিক নিজেই নদীতে বেড়া দিচ্ছে।’
আল-মোস্তফা কোম্পানির পরিচালক ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের কেনা জমিতে কাজ করছি।’ নদী কীভাবে কিনলেন, জানতে চাইলে বলেন, ‘আমাদের জমি ঢেউয়ে ভেঙে নদীতে চলে গেছে। আমাদের কোম্পানির সব ঠিকাদারি কাজ স্থানীয় যুবলীগ নেতারা করছেন। তাঁরা নদী দখল করে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জানান, ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি নদী ভেঙে নিলেও সে জমি খাস সম্পত্তি বলে বিবেচিত হয়। সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা কয়েক দফা তাঁদের নিষেধ করা সত্ত্বেও তাঁরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই আল-মোস্তফা কোম্পানির মালিকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলী হোসেন বাদী হয়ে জিডি করেছেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাগরিকা নাসরিন বলেন, ‘নদী কোনো দিন ব্যক্তিমালিকানা সম্পদ হতে পারে না। আমরা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এম আল-আমিন প্রথম আলোকে জানান, প্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবে নদী দখল করেছে। সরেজমিনে পরিদর্শন করে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে নদীর তীরে সব ধরনের নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউপির ঝাউচর গ্রামের পাশে চর রমজান সোনা উল্লাহ মৌজায় মেঘনা নদীতে এক মাস ধরে খুঁটি পোঁতার কাজ চলছে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, ভূমি কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও পুলিশ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। তার পরও কাজ চলছে।
ঝাউচর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হক ও নাসির আলী জানান, প্রতিষ্ঠানটি শুরুতে কিছু জমি কেনে। পরে খাসজমি বালু দিয়ে ভরাট করে। এখন নদী দখলে নেমেছে তারা।
২ এপ্রিল সরেজমিনে দেখা যায়, খুঁটি পোঁতা স্থানের দক্ষিণে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের লবণ ও চিনির কারখানা। পশ্চিমে ৫০০ গজ দূরে ঝাউচর হাফিজিয়া মাদ্রাসা। পাড় থেকে নদীর ভেতরে প্রায় ৪০০ ফুট ঢুকে তিন দিক থেকে গজারি গাছের খুঁটি পুঁতে বেড়া দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বাঁধের ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিক কাজ করছেন সেখানে।
নির্মাণশ্রমিক আলী আমজাদ জানান, বেড়ার কাজ শেষে বালুর বস্তা ও মাটি ফেলে ভরাট করা হবে। তারপর শুরু হবে কারখানার নির্মাণকাজ। স্থানীয় নেতা ও কোম্পানির প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে কাজ করছেন তাঁরা।
অভিযোগ রয়েছে, সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান ওই প্রতিষ্ঠানের কাজ তদারক করছেন। অভিযোগ অস্বীকার করে মাসুদ বলেন, ‘আমি দখলবাজির সঙ্গে জড়িত নই। আমরা বৈধভাবে ব্যবসা করি। কোম্পানির মালিক নিজেই নদীতে বেড়া দিচ্ছে।’
আল-মোস্তফা কোম্পানির পরিচালক ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের কেনা জমিতে কাজ করছি।’ নদী কীভাবে কিনলেন, জানতে চাইলে বলেন, ‘আমাদের জমি ঢেউয়ে ভেঙে নদীতে চলে গেছে। আমাদের কোম্পানির সব ঠিকাদারি কাজ স্থানীয় যুবলীগ নেতারা করছেন। তাঁরা নদী দখল করে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জানান, ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি নদী ভেঙে নিলেও সে জমি খাস সম্পত্তি বলে বিবেচিত হয়। সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা কয়েক দফা তাঁদের নিষেধ করা সত্ত্বেও তাঁরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই আল-মোস্তফা কোম্পানির মালিকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলী হোসেন বাদী হয়ে জিডি করেছেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাগরিকা নাসরিন বলেন, ‘নদী কোনো দিন ব্যক্তিমালিকানা সম্পদ হতে পারে না। আমরা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
No comments