আবদুল জলিলের নতুন বয়ান এবং আওয়ামী প্রতিক্রিয়া by শাহ আহমদ রেজা
গত কয়েকদিন ধরে লন্ডনে দেয়া আবদুল জলিলের কিছু বক্তব্য নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় বইছে। এটাই স্বাভাবিক। কারণ, আওয়ামী লীগের এই সাবেক সাধারণ সম্পাদক লন্ডনে যাওয়ার পর থেকেই এবার একের পর এক হাটে হাঁড়ি ভেঙে চলেছেন। লন্ডনের বাংলা টিভি এবং একাধিক বার্তা সংস্থাকে দেয়া পৃথক পৃথক সাক্ষাৎকারে অনেক গোপন কথাই ফাঁস করেছেন তিনি।
এ রকম সর্বশেষ একটি তথ্য হলো, সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে 'আন্ডারসট্যান্ডিং' ছিল বলেই আওয়ামী লীগের পক্ষে এত বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয় অর্জন করা এবং ক্ষমতায় আসা সম্ভব হয়েছে। এর আগে জলিল আরও বলেছেন, বর্তমান মন্ত্রিসভার ৯০ শতাংশই 'সংস্কারপন্হী' এবং তাদের বেশিরভাগই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দিনগুলোতে ডিজিএফআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যে ডিজিএফআইয়ের সঙ্গে সমঝোতা করেই লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছিলেন সে কথারও পুনরাবৃত্তি করেছেন আবদুল জলিল। এ প্রসঙ্গে নতুন একটি তথ্যও প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রথমবারের মতো জানিয়েছেন, লন্ডনে বসে সবকিছুর পেছনে কলকাঠি নেড়েছিলেন শেখ রেহানা। তার মধ্যস্থতাতেই সৈয়দ আশরাফ দেশে ফিরতে পেরেছিলেন। আওয়ামী লীগের বর্তমান নেতাদের 'ছেলে-ছোকড়া' অভিহিত করে আবদুল জলিল জানিয়েছেন, ডিজিএফআই তাকেও বাগে আনার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি বলেই তার ওপর রাগ মিটিয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে হেনস্তা করেছে। আবদুল জলিল সবচেয়ে বেশি ঝাঁকুনি দিয়েছেন নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য বোমার বিসেফারণ ঘটিয়ে। তথ্যটি আওয়ামী লীগ সরকারের বৈধতাকেও প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে। লন্ডনের বাংলা টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আবদুল জলিল সপষ্ট ভাষায় বলেছেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় এবং ক্ষমতা লাভের পেছনে 'আন্ডারসট্যান্ডিং' ছিল। এই 'আন্ডারসট্যান্ডিং' হয়েছিল সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে। অনেকাংশে গোপন কথা ফাঁস করার সটাইলে প্রকাশ করলেও নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্যটি কিন্তু বহুল আলোচিত। নির্বাচনের পরদিন থেকেই এ নিয়ে আলোচনা চলছে। 'সুষ্ঠু' নির্বাচনের নামে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর আসলে যে 'ডিজিটাল ক্যু' ঘটানো হয়েছিল সে কথা এমনকি সাধারণ মানুষও ধরে ফেলেছিল। এর কারণ ছিল বিরাট ও অবিশ্বাস্য ব্যবধানে আওয়ামী জোটের বিজয়। এটা এতটাই ন্যক্কারজনক ছিল যে, ভোটার জনগণই শুধু স্তম্ভিত হয়নি, খোদ আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রীরাও কয়েকদিন পর্যন্ত বিজয় 'হজম' করতে পারেননি। ফলাফলের পর্যালোচনাও বিষয়টিকে পরিষ্কার করেছিল। নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী নবম সংসদ নির্বাচনে গড়ে ভোট পড়েছিল ৮৭.১৬ শতাংশ। সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই পরিমাণ ভোট পড়তে হলে প্রতি মিনিটে একজন করে ভোটারকে ভোট দিতে হয়েছিল। অথচ নিজের ভোটার নম্বর ও নাম-ঠিকানা জানিয়ে ও মুড়ি বইতে স্বাক্ষর দিয়ে ব্যালট পেপার সংগ্রহ করা, আঙুলে অমোচনীয় কালি লাগানো, পোলিং বুথের ভেতরে যাওয়া, পছন্দের প্রার্থীর ঘরে সিলমারা এবং ব্যালট পেপার ভাঁজ করে বাক্সে ফেলা পর্যন্ত কাজগুলো সারতে হলে কম করে হলেও পাঁচ থেকে আট মিনিট পর্যন্ত সময় লাগার কথা। প্রতি মিনিটে একজন করে ভোটারের পক্ষে ভোট দেয়া একেবারেই সম্ভব নয়। অন্যকিছু তথ্য-পরিসংখ্যানও ছিল যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ। আওয়ামী মহাজোটের প্রার্থীরা ২৯৯ আসনের মধ্যে ১৭০ আসনেই ৮৫ থেকে ৯৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। এদের মধ্যে আবার ৭৪ জন প্রার্থী ভোট পেয়েছিলেন ৯০.০১ থেকে ৯৪.৮৯ শতাংশের মধ্যে। অর্থাৎ মহাজোট প্রার্থীদের ৫৬.৮৫ শতাংশই অস্বাভাবিক হারে ভোট পেয়েছিলেন। এত বেশি ভোট গোপনে বাড়তি সিল মারা ছাড়া পাওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এমন অন্তত ৮৮টি আসন রয়েছে, যে আসনগুলোতে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছিল এবং প্রতি মিনিটে চার থেকে পাঁচজন পর্যন্ত ভোটার ভোট দিয়েছিলেন! পরিসংখ্যানে এটাও দেখা গেছে যে ২৬২ আসনে মহাজোট প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন সে আসনগুলোতেই তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি ভোট পড়েছিল। এখানেই রয়েছে আসল 'মাজেজা'- চার দলীয় জোট যাকে 'ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং' হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। প্রধান দুই দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যকার ভোটের ব্যবধানও জালিয়াতির অভিযোগকে শক্তি জুগিয়েছিল। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের দুই জাতীয় নির্বাচনে দল দুটির প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান ছিল যৌক্তিক পর্যায়ে। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এক কোটি ৫৮ লাখ এবং বিএনপি এক কোটি ৪২ লাখ ভোট পেয়েছিল। ব্যবধান ছিল ১৬ লাখ ভোটের। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুই কোটি ২৩ লাখ এবং বিএনপি দুই কোটি ২৮ লাখ ভোট পেয়েছিল। ব্যবধান ছিল পাঁচ লাখ ভোটের। এটাও অস্বাভাবিক ছিল না। কিন্তু ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে দুই প্রধান দলের প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান দেখানো হয়েছে এক কোটি ১১ লাখ! আওয়ামী লীগ যেখানে পেয়েছে তিন কোটি ৪২ লাখ, বিএনপি সেখানে পেয়েছে দুই কোটি ৩১ লাখ ভোট। এক কোটি ১১ লাখের এই বিরাট ব্যবধান শুধু অস্বাভাবিক নয়, অগ্রহণযোগ্যও। দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের ভোট যেখানে বেড়েছে এক কোটি ১৯ লাখ, বিএনপির সেখানে বেড়েছে মাত্র তিন লাখ! এমন কোনো হিসাব মোটেও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না। কথাগুলো সে সময়ও বলা হয়েছিল। কিন্তু অন্তরালে যেহেতু আগে থেকেই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার ব্যাপারে 'আন্ডারসট্যান্ডিং' ছিল, সেহেতু কেউই কোনো আপত্তিকে 'কানে' তোলেননি। অন্যদিকে সত্যের ঢোল আপনা আপনিই বেজে উঠেছে। এ ব্যাপারে প্রথমে মুখ খুলেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং আওয়ামী মহাজোটের দ্বিতীয় প্রধান পার্টনার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। জাতীয় সংসদের মার্চ অধিবেশনে এরশাদ বলেছেন, সেনাবাহিনী 'সহযোগিতা না করলে' আওয়ামী লীগের পক্ষে 'জীবনেও' ক্ষমতায় আসা সম্ভব হতো না। এজন্যই সেনাবাহিনীর প্রতি আওয়ামী লীগের 'কৃতজ্ঞ' থাকা উচিত। জাতীয় পার্টির একাধিক অনুষ্ঠানেও এরশাদ কথাগুলোর পুনরাবৃত্তি করেছিলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও কিছুদিন আগে অভিযোগ করেছেন, একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের তত্ত্বাবধানে বিজি প্রেস থেকে ব্যালট পেপার ছাপানোর প্লেট সেনানিবাসে নিয়ে গিয়ে সেখানে অন্য এক প্রেসে ছাপানো হয়েছিল। সে ব্যালট পেপারগুলোই বেছে বেছে বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী প্রার্থীদের নামে সিল মেরে 'স্বচ্ছ' ব্যালট বাক্সে ঢোকানো হয়েছিল। আর ওই বাড়তি ভোটের জোরেই বিজয় 'ছিনিয়ে' এনেছিল আওয়ামী মহাজোট। তারও আগে নির্বাচন কমিশনও যথেষ্টই দেখিয়েছিল। কোনো এক দেশের 'সাউথ ব্লকে'র নির্দেশনা অনুসারে কমিশন বেছে বেছে এমন ১৩৩টি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছিল, যে আসনগুলোতে বিএনপি ও জামায়াত বেশি ভোট পেয়ে থাকে। এসব আসনকে খন্ডিত করে অন্য এমন এলাকার সঙ্গে একত্রিত করা হয়েছে, যাতে বিএনপি ও জামায়াত আর সহজে জিততে না পারে। এখানেই ছিল 'ডিজিটাল খেল'-এর প্রথম পর্যায়। এসবই করা হয়েছিল তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদের নেতৃত্বে। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার পর বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এমপিও একই তথ্য প্রকাশ করেছিলেন। প্রতি আসনের জন্য গড়ে ৪০ হাজার করে ব্যালট পেপার কীভাবে ব্যালট বাক্সে ঢোকানো হয়েছিল-সে সম্পর্কেও বলেছিলেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। তিনি ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজে জড়িত সেনা অফিসারের নামও বলেছিলেন। নির্বাচন কমিশন বা আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্টদের কেউই এ পর্যন্ত তাকে চ্যালেঞ্জ করেনি। এর মধ্য দিয়েও প্রমাণিত হয়েছে, আওয়ামী লীগ আন্ডারসট্যান্ডিং করেই ক্ষমতায় এসেছে। সেদিক থেকে আবদুল জলিল নতুন কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি। পার্থক্য হলো, কথাটা এতদিন চারদলীয় জোটসহ দেশপ্রেমিকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। এবার আবদুল জলিলের বদৌলতে জনগণ সঠিক তথ্য জানতে পেরেছে। এদিকে আবদুল জলিল হাটে হাড়ি ভাঙা মাত্র তেড়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রীরা। কোনো মহল থেকে 'ঠাকুর ঘরে কে রে' বলে জানতে চাওয়ার আগেই শুরু হয়েছে 'আমি কলা খাই না' ধরনের সাফাই গাওয়ার পালা। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত দৃশ্যপটে এসে গেছেন। নিউইয়র্কে তিনি বলেছেন, গাছের যে ডালে বসে আছেন সে ডালই কাটতে চাচ্ছেন আবদুল জলিল। লক্ষণীয় বিষয় হলো, রসিকতার আড়ালে হেসে উড়িয়ে দিতে চাইলেও প্রধানমন্ত্রী কিন্তু আবদুল জলিলের তথ্যকে মিথ্যা প্রমাণ করতে পারেননি। নাকচ করে দেয়ার মতো কোনো যুক্তিও দেখাতে পারেননি তিনি। সফল হননি দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও। তার মুখেও অকাট্য কোনো যুক্তি শোনা যায়নি। তিনি বরং সেই পুরনো গল্প শোনাতে গিয়ে বলেছেন, শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু নেত্রী কখনও 'আপস' করেন না বলে রাজি হননি! উল্লেখ্য, সৈয়দ আশরাফুলের আগে শেখ হাসিনা নিজেই গল্পটি শুনিয়েছেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর জেনেভায় এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১/১১-এর পরবর্তী সরকারের আমলে তাকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কোনো এক উপদেষ্টার মাধ্যমে দেয়া সে প্রস্তাবের শর্ত ছিল, শেখ হাসিনাকে নির্বাচনের দাবি ত্যাগ করতে হবে। কিন্তু শেখ হাসিনা মনোনীত প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সে প্রস্তাবে রাজি হননি। তাকে নাকি তখন হত্যা করারও হুমকি দেয়া হয়েছিল। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, সৈয়দ আশরাফুল তো বটেই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আসলে তথ্য হিসেবে নতুন কিছুই শোনাননি। কারণ, এ ধরনের প্রস্তাব ও সমঝোতা প্রচেষ্টার কথা ওই দুই বছরে মাঝে মধ্যেই বাতাসে ভেসে বেড়িয়েছে। সদিচ্ছার প্রমাণ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে বিস্তারিতভ জানানো। শেষ পর্যন্ত কীভাবে এবং কাদের মাধ্যমে সবকিছু ঘটানো হয়েছিল সে সব তথ্যও প্রকাশ করা। কিন্তু তিনি এমনকি প্রস্তাব নিয়ে আসা উপদেষ্টার নামও উল্লেখ করেননি। প্রধানমন্ত্রী এবং তারপর সৈয়দ আশরাফুলেরও লক্ষ্য করা উচিত ছিল, প্রস্তাব দেয়ার ঘটনায় একজন জাতীয় নেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার মর্যাদা সামান্যও বাড়েনি। এর মধ্য দিয়ে বরং এ কথাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, প্রথম থেকে ক্ষমতা দখলকারী কুচক্রীদের সঙ্গে শেখ হাসিনার সম্পর্ক ও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। না হলে প্রস্তাবটি কেবল তাকেই কেন দেয়া হয়েছিল? এখানে সমরণ করা যেতে পারে, শেখ হাসিনা বলেছিলেন, এই সরকার আমাদের 'আন্দোলনের ফসল'। কথা শুধু এটুকুই নয়। শেখ হাসিনার মতো সৈয়দ আশরাফুলও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে মুখে একেবারে কুলুপ এঁটে রেখেছেন। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গেই তথ্য বোমার বিসেফারণ ঘটিয়েছেন আবদুল জলিল। তিনি বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী দলের অভিযোগকে সত্যায়িত করেছেন। এর বিপরীতে নেত্রী শেখ হাসিনার মতো সৈয়দ আশরাফুলও আবদুল জলিলের তথ্যকে নাকচ করে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল এবং আপস করলে তিনি তখনই প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন বলে সৈয়দ আশরাফুল যে হাল্ডা যুক্তি দেখিয়েছেন, তার সূত্র ধরেই কিন্তু বলা যায়, সেনাসমর্থিত সরকারের সঙ্গে আসলেও আওয়ামী লীগের 'আন্ডারসট্যান্ডিং' ছিল এবং সে 'আন্ডারসট্যান্ডিং'-এর ভিত্তিতেই দলটি ক্ষমতায় এসেছে। পার্থক্য শুধু এটুকুই যে, নির্বাচন অনুষ্ঠান করার মাধ্যমে শেখ হাসিনার অবস্থানকে কিছুটা শক্ত ভিত্তি দেয়া হয়েছে। তাকে মনোনীত প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দুর্নাম সইতে হয়নি। লেখক : সাংবাদিক
No comments