রপ্তানির তুলনায় আমদানি প্রায় আট গুণঃ দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার বাড়ছে ধীরে by আবুল হাসনাত
আনুষ্ঠানিকভাবে দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (সাফটা) সূত্রপাত হওয়ার পর থেকে গত সাত বছরে সাফটাভুক্ত অন্য দেশগুলোয় রপ্তানি তেমন একটা বাড়েনি। বরং এসব দেশ থেকে আমদানি অনেক বেড়েছে। এর ফলে সাফটায় বাংলাদেশের মোট বাণিজ্য বাড়লেও একই সঙ্গে বেড়ে গেছে বাণিজ্য ঘাটতি। বছরের পর বছর ধরে এই প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। আবার বাংলাদেশের মোট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও সাফটার অংশ খুব একটা বাড়েনি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য-উপাত্তে দেখা যায়, ২০১০-১১ অর্থবছরে সার্কভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশ যেখানে ৬৫ কোটি ১৪ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, সেখানে একই সময়ে এসব দেশ থেকে মোট আমদানি করেছে ৫৩৫ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের পণ্য।
অর্থাৎ গত অর্থবছরে সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সার্বিক বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৪৭০ কোটি ৩০ লাখ ডলার। অবশ্য এই ঘাটতির সিংহভাগই সার্কের বৃহত্তম দেশ ভারতের সঙ্গে।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরে সার্কভুক্ত দেশগুলো থেকে ৩৬১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানির বিপরীতে এসব দেশে রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ৪২ কোটি পাঁচ ডলার। ফলে ঘাটতি ছিল ৩১৯ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।
সার্বিকভাবে গত অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ১৭ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে। আর ২০০৯-১০ অর্থবছরে এটি ছিল ১৬ দশমিক ২০ শতাংশ।
সাধারণভাবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শ্রীলঙ্কা বাদে বাকি সব দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। পণ্য রপ্তানির তুলনায় এসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি বেশি হওয়াই এ ঘাটতির কারণ।
যথারীতি সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য ঘাটতি ভারতের সঙ্গে। ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারতে রপ্তানি করে ৫১ কোটি ২৫ লাখ ডলারের পণ্য, বিপরীতে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৪৫৭ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের পণ্য। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪০৬ কোটি ২৪ লাখ ডলার।
এর আগের অর্থাৎ ২০০৯-১০ অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৯০ কোটি ৯৯ লাখ ডলার।
ভারতের পর বেশি বাণিজ্য ঘাটতি হয় পাকিস্তানের সঙ্গে। ২০১০-১১ অর্থবছরে পাকিস্তানে পণ্য রপ্তানি হয়েছে আট কোটি ৬৭ লাখ ডলারের। এর বিপরীতে আমদানি হয়েছে ৬৭ কোটি ১০ লাখ ডলারের পণ্য। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি ৫৮ কোটি ৪২ লাখ ডলারে উন্নীত হয়েছে।
অথচ তার আগের অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘাটতি দ্বিগুণের বেশি হয়ে গেছে।
সার্কের নবীন সদস্য দেশ আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি এখন ৮৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার। তবে ২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশটি থেকে আমদানির চেয়ে সেখানে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির পরিমাণ বেশি থাকায় বাণিজ্যে উদ্বৃত্ত ছিল ১৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
ভুটানের সঙ্গে ২০১০-১১ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৫৫ লাখ ডলার। তার আগের অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৯৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
২০১০-১১ অর্থবছরে মালদ্বীপের সঙ্গে পাঁচ লাখ ৩০ হাজার ডলারের ঘাটতি থাকলেও তার আগের অর্থবছরে ঘাটতি ছিল মাত্র এক লাখ ডলার।
গত অর্থবছরে নেপালের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে তিন কোটি ৮০ লাখ ডলারের ঘাটতি থাকলেও ২০০৯-১০ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল তিন কোটি ৪৩ লাখ ডলার।
তবে কয়েক বছর ধরে শ্রীলঙ্কা থেকে পণ্য আমদানির চেয়ে সেখানে বেশি রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশি পণ্য। ২০১০-১১ অর্থবছরে দেশটিতে বাংলাদেশ তিন কোটি ৩৭ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল। এর বিপরীতে সেখান থেকে আমদানি হয় দুই কোটি ৭৫ লাখ ডলার। ফলে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত দাঁড়ায় ৬১ লাখ ৬০ হাজার।
তার আগের অর্থবছরে (২০০৯-১০) শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে উদ্বৃত্ত ছিল ১১ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
অর্থাৎ গত অর্থবছরে সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সার্বিক বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৪৭০ কোটি ৩০ লাখ ডলার। অবশ্য এই ঘাটতির সিংহভাগই সার্কের বৃহত্তম দেশ ভারতের সঙ্গে।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরে সার্কভুক্ত দেশগুলো থেকে ৩৬১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানির বিপরীতে এসব দেশে রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ৪২ কোটি পাঁচ ডলার। ফলে ঘাটতি ছিল ৩১৯ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।
সার্বিকভাবে গত অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ১৭ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে। আর ২০০৯-১০ অর্থবছরে এটি ছিল ১৬ দশমিক ২০ শতাংশ।
সাধারণভাবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শ্রীলঙ্কা বাদে বাকি সব দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। পণ্য রপ্তানির তুলনায় এসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি বেশি হওয়াই এ ঘাটতির কারণ।
যথারীতি সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য ঘাটতি ভারতের সঙ্গে। ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারতে রপ্তানি করে ৫১ কোটি ২৫ লাখ ডলারের পণ্য, বিপরীতে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৪৫৭ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের পণ্য। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪০৬ কোটি ২৪ লাখ ডলার।
এর আগের অর্থাৎ ২০০৯-১০ অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৯০ কোটি ৯৯ লাখ ডলার।
ভারতের পর বেশি বাণিজ্য ঘাটতি হয় পাকিস্তানের সঙ্গে। ২০১০-১১ অর্থবছরে পাকিস্তানে পণ্য রপ্তানি হয়েছে আট কোটি ৬৭ লাখ ডলারের। এর বিপরীতে আমদানি হয়েছে ৬৭ কোটি ১০ লাখ ডলারের পণ্য। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি ৫৮ কোটি ৪২ লাখ ডলারে উন্নীত হয়েছে।
অথচ তার আগের অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘাটতি দ্বিগুণের বেশি হয়ে গেছে।
সার্কের নবীন সদস্য দেশ আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি এখন ৮৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার। তবে ২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশটি থেকে আমদানির চেয়ে সেখানে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির পরিমাণ বেশি থাকায় বাণিজ্যে উদ্বৃত্ত ছিল ১৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
ভুটানের সঙ্গে ২০১০-১১ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৫৫ লাখ ডলার। তার আগের অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৯৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
২০১০-১১ অর্থবছরে মালদ্বীপের সঙ্গে পাঁচ লাখ ৩০ হাজার ডলারের ঘাটতি থাকলেও তার আগের অর্থবছরে ঘাটতি ছিল মাত্র এক লাখ ডলার।
গত অর্থবছরে নেপালের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে তিন কোটি ৮০ লাখ ডলারের ঘাটতি থাকলেও ২০০৯-১০ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল তিন কোটি ৪৩ লাখ ডলার।
তবে কয়েক বছর ধরে শ্রীলঙ্কা থেকে পণ্য আমদানির চেয়ে সেখানে বেশি রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশি পণ্য। ২০১০-১১ অর্থবছরে দেশটিতে বাংলাদেশ তিন কোটি ৩৭ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল। এর বিপরীতে সেখান থেকে আমদানি হয় দুই কোটি ৭৫ লাখ ডলার। ফলে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত দাঁড়ায় ৬১ লাখ ৬০ হাজার।
তার আগের অর্থবছরে (২০০৯-১০) শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে উদ্বৃত্ত ছিল ১১ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
No comments