দেশের ভাঙন ঠেকাতে স্কটল্যান্ডের প্রতি ক্যামেরনের আহ্বান
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন দেশের ভাঙন ঠেকাতে স্কটল্যান্ডের
প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার ল্েয আগামী বছর গণভোটের
আগে স্কটিশদের বোঝানোর সর্বশেষ চেষ্টার অংশ হিসেবে তিনি গতকাল রোববার এ
আহ্বান জানিয়ে বলেন,
‘৩০০
বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে বন্ধনের ভাঙন দুই দেশকে আরো রিক্ত করবে।
স্কটল্যান্ডের সংবাদপত্রগুলোয় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এই মনোভাব প্রকাশ করেন
তিনি। স্বাধীনতার প্রশ্নে আগামী বছর স্কটল্যান্ডে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে
আশা করা হচ্ছে। ‘ইয়েস স্কটল্যান্ড’ বলে একটি আন্দোলন এ বিষয়ে প্রচারণা
চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৬ সালের মধ্যে তারা তাদের উদ্দেশ্যের বাস্তব রূপ দিতে
চায়।
গণভোটে স্বাধীন স্কটল্যান্ডের পে রায় গেলে যুক্তরাজ্য ভেঙে বেরিয়ে গিয়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে স্কটল্যান্ড। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ড নিয়ে যুক্তরাজ্য ইউনিয়ন গঠিত। ৩০৬ বছর আগে গঠিত এই ইউনিয়ন না ভাঙার জন্য আকুল আবেদন জানান যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ব্রিটেন ভালো আছে এবং ভালোভাবে কাজ করছে। তবে ভাঙন কেন?’ ক্যামরন বলেন, ‘যারা বলেন স্কটল্যান্ডের একা চলা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই তাদের উদ্দেশে আমার কিছু বলার নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমি জানি ব্রিটিশদের সাফল্যে স্কটল্যান্ডের ভূমিকা রয়েছে। ফলে স্কটল্যান্ড স্বাধীন দেশ হবে কি না সে ব্যাপারে আমার কাছে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘প্রকৃত প্রশ্ন হলোÑ যুক্তরাজ্যের সাথে থেকে নাকি বাইরে গিয়ে স্কটল্যান্ড একটি শক্তিশালী, নিরাপদ, বিত্তশালী ও সুন্দর দেশ হিসেবে অবস্থান সৃষ্টি করতে পারবে।’ স্কটল্যান্ড যাতে যুক্তরাজ্যের সাথে থাকে সে জন্য ক্যামেরনের কনজারভেটিভ পার্টিসহ লন্ডনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রচারণা চালাচ্ছে। অন্য দিকে এডিনবরা স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি চায় এবং দেশ স্বাধীন হোক।
আগামী ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান ক্যামেরন। তার রণশীল পার্টি ব্্িরটেনের ঐক্য ধরে রাখার প্রচারণা চালিয়ে নির্বাচনে জিততে চায়। ব্রিটেনের ভাঙন ঠেকাতে না পারলে ওই নির্বাচনে দলের নেতৃত্ব দেয়া ক্যামেরনের পে প্রায় অসম্ভব। যুক্তরাজ্য ছেড়ে স্কটল্যান্ড বেরিয়ে গেলে ভালোই বিপদে পড়বে ইংল্যান্ডসহ দেশটির বাকি অংশ। কেননা যুক্তরাজ্যের ব্যালিস্টিক মিসাইল সজ্জিত পরমাণু সাবমেরিনের বহরটি স্কটল্যান্ডে। স্কটল্যান্ডের উত্তর সাগরের জলসীমায় অবস্থিত জ্বালানি তেলের খনি থেকে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রীয় কোষাগারে সবচেয়ে বেশি অর্থ জমা পড়ে। এসব নিয়েই তখন টান দেবে স্বাধীন স্কটল্যান্ড।
বিশ্লেষকেরা বলেছেন, স্কটল্যান্ড স্বাধীন হলে আন্তর্জাতিক শক্তি হিসেবে ব্রিটেন দুর্বল হয়ে পড়বে। জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে এর গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস পাবে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে অবস্থান দুর্বল হয়ে যাবে।
গণভোটে স্বাধীন স্কটল্যান্ডের পে রায় গেলে যুক্তরাজ্য ভেঙে বেরিয়ে গিয়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে স্কটল্যান্ড। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ড নিয়ে যুক্তরাজ্য ইউনিয়ন গঠিত। ৩০৬ বছর আগে গঠিত এই ইউনিয়ন না ভাঙার জন্য আকুল আবেদন জানান যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ব্রিটেন ভালো আছে এবং ভালোভাবে কাজ করছে। তবে ভাঙন কেন?’ ক্যামরন বলেন, ‘যারা বলেন স্কটল্যান্ডের একা চলা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই তাদের উদ্দেশে আমার কিছু বলার নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমি জানি ব্রিটিশদের সাফল্যে স্কটল্যান্ডের ভূমিকা রয়েছে। ফলে স্কটল্যান্ড স্বাধীন দেশ হবে কি না সে ব্যাপারে আমার কাছে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘প্রকৃত প্রশ্ন হলোÑ যুক্তরাজ্যের সাথে থেকে নাকি বাইরে গিয়ে স্কটল্যান্ড একটি শক্তিশালী, নিরাপদ, বিত্তশালী ও সুন্দর দেশ হিসেবে অবস্থান সৃষ্টি করতে পারবে।’ স্কটল্যান্ড যাতে যুক্তরাজ্যের সাথে থাকে সে জন্য ক্যামেরনের কনজারভেটিভ পার্টিসহ লন্ডনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রচারণা চালাচ্ছে। অন্য দিকে এডিনবরা স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি চায় এবং দেশ স্বাধীন হোক।
আগামী ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান ক্যামেরন। তার রণশীল পার্টি ব্্িরটেনের ঐক্য ধরে রাখার প্রচারণা চালিয়ে নির্বাচনে জিততে চায়। ব্রিটেনের ভাঙন ঠেকাতে না পারলে ওই নির্বাচনে দলের নেতৃত্ব দেয়া ক্যামেরনের পে প্রায় অসম্ভব। যুক্তরাজ্য ছেড়ে স্কটল্যান্ড বেরিয়ে গেলে ভালোই বিপদে পড়বে ইংল্যান্ডসহ দেশটির বাকি অংশ। কেননা যুক্তরাজ্যের ব্যালিস্টিক মিসাইল সজ্জিত পরমাণু সাবমেরিনের বহরটি স্কটল্যান্ডে। স্কটল্যান্ডের উত্তর সাগরের জলসীমায় অবস্থিত জ্বালানি তেলের খনি থেকে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রীয় কোষাগারে সবচেয়ে বেশি অর্থ জমা পড়ে। এসব নিয়েই তখন টান দেবে স্বাধীন স্কটল্যান্ড।
বিশ্লেষকেরা বলেছেন, স্কটল্যান্ড স্বাধীন হলে আন্তর্জাতিক শক্তি হিসেবে ব্রিটেন দুর্বল হয়ে পড়বে। জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে এর গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস পাবে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে অবস্থান দুর্বল হয়ে যাবে।
No comments