দেশে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে খুন-ধর্ষণের ঘটনা। তারই জের ধরে গত বৃহস্পতিবার দিবালোকে চলন্ত বাসের মধ্যে ধর্ষিত হয়েছে এক তরুণী। প্রায় প্রতিদিনই খবরের কাগজে আসছে একাধিক ধর্ষণের ঘটনা। বাড়ছে গুম-খুনের ঘটনাও।
বৃহস্পতিবার একই দিনে মুন্সীগঞ্জে রাস্তার পাশে পাওয়া গেছে তিন যুবকের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ। তিনজনেরই হত্যার ধরন একই রকম। কোথায় চলেছে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি!
দিল্লিতে বাসে একটি গণধর্ষণের ঘটনায় সারা ভারতে তোলপাড় হয়েছিল। কিন্তু মানিকগঞ্জে বাসে ধর্ষণের ঘটনায় তেমন প্রতিবাদ কই? তাহলে আমাদের চেতনা কি ভোঁতা হয়ে গেছে? কিংবা আমাদের নৈতিকতাবোধ কি হারিয়ে গেছে? আমরা কি পারি না ভারতের মতো সরকারের টুঁটি টিপে ধরে ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে? শুধু ধর্ষণ নয়, একই সঙ্গে ধর্ষণ ও হত্যার বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে এরই মধ্যে। টাঙ্গাইল, মধুপুর, রাজবাড়ী, পিরোজপুর, গাজীপুরের কাপাসিয়া কিংবা ঢাকার সেগুনবাগিচায় স্থানীয়ভাবে কিছু মানুষ প্রতিবাদে নেমেছিল। কিন্তু কোনো ঘটনায়ই জাতীয়ভাবে বড় কোনো প্রতিবাদ গড়ে ওঠেনি। আর বড় ধরনের প্রতিবাদ গড়ে ওঠেনি বলেই পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে টালবাহানা করে, অপরাধীদের বাঁচিয়ে প্রতিবেদন দেয় কিংবা অপরাধী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের দেখতে পায় না। কাপাসিয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক ক্ষমতাসীন দলের হোমরাচোমরা হওয়ায় পুলিশ এখনো তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এমনকি মামলা নিতেও গড়িমসি করেছিল। মানিকগঞ্জের ঘটনায়ও পুলিশ এর মধ্যেই দু-তিন রকমের কথা বলতে শুরু করেছে। বহুল আলোচিত বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন পেতে হাইকোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে। এগুলোই কি দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির প্রধান কারণ নয়? অপরাধ বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন, পুলিশ তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর দায়িত্বে অবহেলা, অদক্ষতা ও অনৈতিক আচরণের কারণেই দেশে খুন-ধর্ষণসহ নানা অপরাধ দ্রুত বেড়ে চলেছে। সেই সঙ্গে আছে বিচারকদের দীর্ঘসূত্রতা এবং নানা উপায়ে অপরাধীদের পার পেয়ে যাওয়া। অপরাধ বৃদ্ধির এই গতি যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে এই সমাজে মানুষ বাস করবে কিভাবে?
সাধারণত দরিদ্র ও দুর্বল ঘরের মেয়েরাই ধর্ষণের শিকার হয়। বেঁচে থাকাটাই যেখানে বড় চ্যালেঞ্জ, সেখানে দীর্ঘ মেয়াদে মামলা চালানোর মতো অর্থ ও সময় তারা দিতে পারে না। সামাজিকভাবেও তাদের কণ্ঠ শক্তিশালী নয়। তার পরও তারা বেঁচে থাকতে পারে, যদি রাষ্ট্রে সুশাসন থাকে এবং সমাজে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ থাকে। রাষ্ট্রে সুশাসনের অভাব যে কতটা তীব্র, তা তো আমরা প্রতিনিয়ত দেখতেই পাচ্ছি। অপরাধীরা এখানে রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় প্রবল প্রতাপে ঘুরে বেড়ায়। দুষ্টের দমনে নয়, পুলিশ এখানে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বাকি থাকে সামাজিক প্রতিরোধ। কিন্তু তাও যেন ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে, যা মোটেও কাম্য নয়। মানিকগঞ্জে বাসে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি একজন গার্মেন্টকর্মী। তার বা তার পরিবারের পক্ষে দিনের পর দিন মামলা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়, রাষ্ট্রকেই এর দায়িত্ব নিতে হবে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যেসব সংগঠন কাজ করছে, তাদেরও মেয়েটির সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে। আর সমাজ থেকে এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ দূর করার জন্য দ্রুত অভিযুক্তদের বিচার নিশ্চিত করে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
দিল্লিতে বাসে একটি গণধর্ষণের ঘটনায় সারা ভারতে তোলপাড় হয়েছিল। কিন্তু মানিকগঞ্জে বাসে ধর্ষণের ঘটনায় তেমন প্রতিবাদ কই? তাহলে আমাদের চেতনা কি ভোঁতা হয়ে গেছে? কিংবা আমাদের নৈতিকতাবোধ কি হারিয়ে গেছে? আমরা কি পারি না ভারতের মতো সরকারের টুঁটি টিপে ধরে ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে? শুধু ধর্ষণ নয়, একই সঙ্গে ধর্ষণ ও হত্যার বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে এরই মধ্যে। টাঙ্গাইল, মধুপুর, রাজবাড়ী, পিরোজপুর, গাজীপুরের কাপাসিয়া কিংবা ঢাকার সেগুনবাগিচায় স্থানীয়ভাবে কিছু মানুষ প্রতিবাদে নেমেছিল। কিন্তু কোনো ঘটনায়ই জাতীয়ভাবে বড় কোনো প্রতিবাদ গড়ে ওঠেনি। আর বড় ধরনের প্রতিবাদ গড়ে ওঠেনি বলেই পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে টালবাহানা করে, অপরাধীদের বাঁচিয়ে প্রতিবেদন দেয় কিংবা অপরাধী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের দেখতে পায় না। কাপাসিয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক ক্ষমতাসীন দলের হোমরাচোমরা হওয়ায় পুলিশ এখনো তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এমনকি মামলা নিতেও গড়িমসি করেছিল। মানিকগঞ্জের ঘটনায়ও পুলিশ এর মধ্যেই দু-তিন রকমের কথা বলতে শুরু করেছে। বহুল আলোচিত বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন পেতে হাইকোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে। এগুলোই কি দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির প্রধান কারণ নয়? অপরাধ বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন, পুলিশ তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর দায়িত্বে অবহেলা, অদক্ষতা ও অনৈতিক আচরণের কারণেই দেশে খুন-ধর্ষণসহ নানা অপরাধ দ্রুত বেড়ে চলেছে। সেই সঙ্গে আছে বিচারকদের দীর্ঘসূত্রতা এবং নানা উপায়ে অপরাধীদের পার পেয়ে যাওয়া। অপরাধ বৃদ্ধির এই গতি যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে এই সমাজে মানুষ বাস করবে কিভাবে?
সাধারণত দরিদ্র ও দুর্বল ঘরের মেয়েরাই ধর্ষণের শিকার হয়। বেঁচে থাকাটাই যেখানে বড় চ্যালেঞ্জ, সেখানে দীর্ঘ মেয়াদে মামলা চালানোর মতো অর্থ ও সময় তারা দিতে পারে না। সামাজিকভাবেও তাদের কণ্ঠ শক্তিশালী নয়। তার পরও তারা বেঁচে থাকতে পারে, যদি রাষ্ট্রে সুশাসন থাকে এবং সমাজে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ থাকে। রাষ্ট্রে সুশাসনের অভাব যে কতটা তীব্র, তা তো আমরা প্রতিনিয়ত দেখতেই পাচ্ছি। অপরাধীরা এখানে রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় প্রবল প্রতাপে ঘুরে বেড়ায়। দুষ্টের দমনে নয়, পুলিশ এখানে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বাকি থাকে সামাজিক প্রতিরোধ। কিন্তু তাও যেন ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে, যা মোটেও কাম্য নয়। মানিকগঞ্জে বাসে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি একজন গার্মেন্টকর্মী। তার বা তার পরিবারের পক্ষে দিনের পর দিন মামলা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়, রাষ্ট্রকেই এর দায়িত্ব নিতে হবে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যেসব সংগঠন কাজ করছে, তাদেরও মেয়েটির সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে। আর সমাজ থেকে এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ দূর করার জন্য দ্রুত অভিযুক্তদের বিচার নিশ্চিত করে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
No comments