মোশাররফ ও ফেরদৌস গ্রেপ্তার-ওপরের নির্দেশেই সব হয়েছে by হায়দার আলী
পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সব বিষয়ে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'ওপরের দিকে তাকান, ওপরের নির্দেশ ছাড়া কিছুই হয়নি। আমি একজন সরকারি কর্মকর্তা, আমাকে যেভাবে বলা হয়েছে, সেভাবেই সব কিছু হয়েছে।' দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একজন তদন্ত কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দুদকের করা মামলার প্রধান আসামি মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ দুজনকে গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ এলাকার জাদুঘরের পাশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত অন্য আসামি হলেন সেতু কর্তৃপক্ষের নদীশাসন বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস। দুদকের পরিচালক উইং কমান্ডার তাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে তদন্তদল র্যাবের সহযোগিতায় তাঁদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর আসামিদের সেগুনবাগিচার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মোশাররফ হোসেন তদন্ত কর্মকর্তাদের জানান, কমিটি ভাঙা এবং নতুন কমিটি গঠন সব কিছু করা হয়েছে ওপরের নির্দেশে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে তিনি বলেন, 'পদ্মা সেতু একটি বিশাল প্রকল্প, এই প্রকল্পের আমিই সব কিছু নই, তাহলে আমাকেই বা কেন পদ্মা সেতুর বলির পাঠা বানানো হলো। আমি ন্যায়বিচার চাই।'
দুদক সূত্রে জানা যায়, গতকাল হাইকোর্ট এই দুই আসামির জামিন আবেদন ফিরিয়ে দেওয়ার পর তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। হাইকোর্টের অবকাশকালীন বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ তাঁদের জামিন আবেদনের শুনানি না করে আবেদনটি নিয়মিত বেঞ্চে উত্থাপন করতে বলেন। এরপর হাইকোর্ট এলাকা থেকে মোশাররফ ও ফেরদৌস বের হয়ে জাদুঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে ওত পেতে থাকা দুদকের তদন্তদল ও র্যাব তাঁদের গ্রেপ্তার করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের একজন তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মামলার অন্য আসামিরাও দুদকের নজরদারির মধ্যে আছেন, যেকোনো মুহূর্তে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে।
দুদকের পরিচালক উইং কমান্ডার তাহিদুল ইসলাম দুদক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, 'এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত ছিল, সেই অভিযানের চলমান ধারায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই জাদুঘরের সামনে আমরা অবস্থান নিই। দুপুরে একটি সাদা গাড়ি করে যাওয়ার সময় পথরোধ করে তাঁদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।' তিনি বলেন, 'আসামিদের আজ (বুধবার) শাহবাগ থানা হেফাজতে রাখা হবে কাল (বৃহস্পতিবার) আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চওয়া হবে।' অন্য আসামিদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাঁদের অবস্থান মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া গেছে, দ্রুত তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে।
দুদকের কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা যে অ্যাকশনে ছিলাম, তা আসামিদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমেই প্রমাণ করেছি। কারণ মামলার প্রধান আসামি মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ও কাজী মো. ফেরদৌসকে গ্রেপ্তার করেছি। তাঁদের রিমান্ড চাইবে দুদক।' কত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, দুদকের পক্ষ থেকে সাত থেকে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানী মডেল থানায় দুদকের সিনিয়র উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল জাহিদ মামলাটি করেন। মামলার এজাহারভুক্ত সাত আসামির অন্য পাঁচজন হলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ জাবের, এসএনসি-লাভালিনের কেভিন ওয়ালিস, রমেশ সাহা, মো. ঈসমাইল এবং লাভালিনের বাংলাদেশের লোকাল এজেন্ট মোহাম্মদ মোস্তফা। সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকে সরাসরি আসামি করা না হলেও মামলায় তাঁদের নামও রয়েছে।
ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দুদকের করা মামলার প্রধান আসামি মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ দুজনকে গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ এলাকার জাদুঘরের পাশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত অন্য আসামি হলেন সেতু কর্তৃপক্ষের নদীশাসন বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস। দুদকের পরিচালক উইং কমান্ডার তাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে তদন্তদল র্যাবের সহযোগিতায় তাঁদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর আসামিদের সেগুনবাগিচার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মোশাররফ হোসেন তদন্ত কর্মকর্তাদের জানান, কমিটি ভাঙা এবং নতুন কমিটি গঠন সব কিছু করা হয়েছে ওপরের নির্দেশে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে তিনি বলেন, 'পদ্মা সেতু একটি বিশাল প্রকল্প, এই প্রকল্পের আমিই সব কিছু নই, তাহলে আমাকেই বা কেন পদ্মা সেতুর বলির পাঠা বানানো হলো। আমি ন্যায়বিচার চাই।'
দুদক সূত্রে জানা যায়, গতকাল হাইকোর্ট এই দুই আসামির জামিন আবেদন ফিরিয়ে দেওয়ার পর তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। হাইকোর্টের অবকাশকালীন বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ তাঁদের জামিন আবেদনের শুনানি না করে আবেদনটি নিয়মিত বেঞ্চে উত্থাপন করতে বলেন। এরপর হাইকোর্ট এলাকা থেকে মোশাররফ ও ফেরদৌস বের হয়ে জাদুঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে ওত পেতে থাকা দুদকের তদন্তদল ও র্যাব তাঁদের গ্রেপ্তার করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের একজন তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মামলার অন্য আসামিরাও দুদকের নজরদারির মধ্যে আছেন, যেকোনো মুহূর্তে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে।
দুদকের পরিচালক উইং কমান্ডার তাহিদুল ইসলাম দুদক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, 'এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত ছিল, সেই অভিযানের চলমান ধারায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই জাদুঘরের সামনে আমরা অবস্থান নিই। দুপুরে একটি সাদা গাড়ি করে যাওয়ার সময় পথরোধ করে তাঁদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।' তিনি বলেন, 'আসামিদের আজ (বুধবার) শাহবাগ থানা হেফাজতে রাখা হবে কাল (বৃহস্পতিবার) আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চওয়া হবে।' অন্য আসামিদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাঁদের অবস্থান মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া গেছে, দ্রুত তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে।
দুদকের কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা যে অ্যাকশনে ছিলাম, তা আসামিদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমেই প্রমাণ করেছি। কারণ মামলার প্রধান আসামি মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ও কাজী মো. ফেরদৌসকে গ্রেপ্তার করেছি। তাঁদের রিমান্ড চাইবে দুদক।' কত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, দুদকের পক্ষ থেকে সাত থেকে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানী মডেল থানায় দুদকের সিনিয়র উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল জাহিদ মামলাটি করেন। মামলার এজাহারভুক্ত সাত আসামির অন্য পাঁচজন হলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ জাবের, এসএনসি-লাভালিনের কেভিন ওয়ালিস, রমেশ সাহা, মো. ঈসমাইল এবং লাভালিনের বাংলাদেশের লোকাল এজেন্ট মোহাম্মদ মোস্তফা। সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকে সরাসরি আসামি করা না হলেও মামলায় তাঁদের নামও রয়েছে।
No comments